সবুজ লতাপাতার অট্টালিকা by সৈয়দ মো. মুঈনুল হক
রংপুর নগরের জেল রোডে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীতে তাকাতেই চোখ আটকে যায়। সব ভবন আপাদমস্তক লতাপাতায় আচ্ছাদিত! নজরে এল সারি সারি শোভাবর্ধক গাছ। আছে ফলের গাছ ও মনোমুগ্ধকর ফুল। গাছপালা, তৃণলতা এত সুন্দর হয়! মূল ফটক দিয়ে পূর্ব দিকে যত দূর চোখ যায় সবুজ আর সবুজ। এটি কি বন বিভাগের কার্যালয়? কিছুক্ষণের মধ্যে এ প্রশ্নের জবাব পাই লতাপাতায় ঢাকা ভবনের গায়ে এক ফাঁকে ‘আরডিআরএস বাংলাদেশ’ লেখা দেখে।
>>আরডিআরএসের রংপুর কার্যালয়। ভবনজুড়ে লতাপাতার পলেস্তারা l ছবি মঈনুল ইসলাম
এটি বেসরকারি সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশের রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের কার্যালয় ও অতিথিশালা। পেশাগত কাজে দুই দিন এখানে অবস্থানকালে বারবার দেখি সবুজের সৌন্দর্য।
এখানকার বিভিন্ন গাছপালা, লতাপাতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে ‘ওয়াল ক্রিপার’। গাছটি এখানকার ভবনগুলোকে বেঁধেছে পরম মমতায়। এর ছোঁয়ায় দালানগুলো যেন পেয়েছে প্রাণ। হয়ে উঠেছে নান্দনিক। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রকাশিত উদ্ভিদ ও প্রাণি জ্ঞানকোষের তথ্য অনুযায়ী এটি লতাডুমুর বা দেয়ালডুমুর নামে পরিচিত। কেউ কেউ আবার লতাবটও বলেন। বৈজ্ঞানিক নাম Ficus pumila। ইংরেজি নাম Fig Ivy, Creeping Fig, Climbing Fig। ডুমুর প্রজাতির এই গাছের জন্ম চীন ও জাপানে। এটি বহুবর্ষজীবী অধিক শাখান্বিত লতানো গাছ। অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ফুল ও ফল হয়। ফল খাওয়া যায়। সাধারণত শোভাবর্ধক হিসেবেই দেয়ালে লাগানো হয়।
আরডিআরএস অতিথিশালার সিনিয়র সার্ভিস ম্যানেজার মো. আসলাম পারভেজ জানান, এই ক্যাম্পাসে শতাধিক প্রজাতির গাছ রয়েছে। ১৯৯৯ সালের শেষ কিংবা ২০০০ সালের শুরুতে ওয়াল ক্রিপার লাগানো হয়। পুরো ভবন ছেয়ে ফেলতে এটির ১০-১২ বছর লেগে গেছে। এটি পরিবেশবান্ধব। দেয়াল বা ভবনের কোনো ক্ষতি করে না। ছোট পাখিরা এসে এর মধ্যে ঘুরে ঘুরে পোকামাকড় খায়। বছরে দুই দফায় ছেঁটে দিলে মাসের পার মাস এর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
এখানকার বিভিন্ন গাছপালা, লতাপাতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে ‘ওয়াল ক্রিপার’। গাছটি এখানকার ভবনগুলোকে বেঁধেছে পরম মমতায়। এর ছোঁয়ায় দালানগুলো যেন পেয়েছে প্রাণ। হয়ে উঠেছে নান্দনিক। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রকাশিত উদ্ভিদ ও প্রাণি জ্ঞানকোষের তথ্য অনুযায়ী এটি লতাডুমুর বা দেয়ালডুমুর নামে পরিচিত। কেউ কেউ আবার লতাবটও বলেন। বৈজ্ঞানিক নাম Ficus pumila। ইংরেজি নাম Fig Ivy, Creeping Fig, Climbing Fig। ডুমুর প্রজাতির এই গাছের জন্ম চীন ও জাপানে। এটি বহুবর্ষজীবী অধিক শাখান্বিত লতানো গাছ। অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ফুল ও ফল হয়। ফল খাওয়া যায়। সাধারণত শোভাবর্ধক হিসেবেই দেয়ালে লাগানো হয়।
আরডিআরএস অতিথিশালার সিনিয়র সার্ভিস ম্যানেজার মো. আসলাম পারভেজ জানান, এই ক্যাম্পাসে শতাধিক প্রজাতির গাছ রয়েছে। ১৯৯৯ সালের শেষ কিংবা ২০০০ সালের শুরুতে ওয়াল ক্রিপার লাগানো হয়। পুরো ভবন ছেয়ে ফেলতে এটির ১০-১২ বছর লেগে গেছে। এটি পরিবেশবান্ধব। দেয়াল বা ভবনের কোনো ক্ষতি করে না। ছোট পাখিরা এসে এর মধ্যে ঘুরে ঘুরে পোকামাকড় খায়। বছরে দুই দফায় ছেঁটে দিলে মাসের পার মাস এর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
২ দশমিক ২৫ একর আয়তনের এই ক্যাম্পাসে মুগ্ধ হয়ে দেখতে হয় নানা ফুল। এর মধ্যে রয়েছে গোলাপ, জবা, পর্টুলেকা ইত্যাদি। আছে পেঁপে, পেয়ারা, গাব, লিচু, কাঁঠাল, আম, আমড়া, নারকেল, লটকন ফলের গাছ। রয়েছে অর্জুন, আমলকী, জলপাইয়ের মতো ঔষধি গাছ। নজর কাড়ে বর্ণিল পাতা বাহার, কাঁটামেহেদি ও থুজা গাছ বা ঝাউঝোপ। চোখ জুড়ায় ছোট-বড় অরকেরিয়া দেখে। আছে কফিগাছ, কয়েক ধরনের পাম ও পান্থ পাদপ। গ্রামের গৃহস্থ বাড়ির কথা মনে করিয়ে দেয় বাঁশের ঝাড়। ২৬ অক্টোবর বাগানে গাছপালার পরিচর্যা করছিলেন মালি আবদুর রহমান। বললেন, ‘সারা বছর আমি একাই গাছপালার যত্ন নিই।’
ওই দিন এখানে বাবার সঙ্গে বেড়াতে আসা আরাবি আলতাফ অপলক দৃষ্টিতে দেখছিল লতাডুমুরসহ বিভিন্ন গাছ। আরও একদল আগন্তুক বাগান ঘুরে গাছপালা দেখছিল। এখানকার শোভা বাড়িয়েছে ‘আম পুকুর’। আম আকৃতির এই পুকুরটির পৃষ্ঠভাগের পুরোটাই ইট-সিমেন্টে বাঁধানো।
No comments