সন্ত্রাসের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
বিশ্বের ১৩ দেশে সন্ত্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধির ঝুঁকি দেখছে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস। এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
সংস্থাটি মঙ্গলবার বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০১৪ প্রকাশ করে। এ নিয়ে প্রতিবেদনে এ আশংকার কথা প্রকাশ করা হয়েছে। সূচকে ১৬২টি দেশের মধ্যে সন্ত্রাসবাদে বাংলাদেশের অবস্থান ২৩। স্কোর ৫ দশমিক ২৫। এ সূচকে ২০১৩-তে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫৭। ১০ স্কোর নিয়ে এ বছরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইরাক, যেখানে গত বছর ৬ হাজার ৩৬২ জন নিহত হয়েছেন জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের হাতে। ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস বলছে, গত বছর বিশ্বে কেবল সন্ত্রাসের প্রাবল্যই বাড়েনি, এর বিস্তারও বেড়েছে। ২০১৩ সালে বিশ্বে সন্ত্রাসের বলি হয়েছে ১৭ হাজার ৯৫৮ জন, যা আগের বছরের তুলনায় ৬১ শতাংশ বেশি। এ এক বছরে প্রায় ১০ হাজার সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি। প্রতিবেদেনে আরও বলা হয়, গত বছর জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ৮২ শতাংশ প্রাণহানি ঘটেছে মাত্র ৫ দেশে। এগুলো হল- ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও সিরিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধ বা সংঘাতে জড়িয়ে নেই এমন ১৩ দেশও রাজনৈতিক সহিংসতা ও দলগত বিদ্বেষের কারণে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির ঝুঁকিতে আছে। দেশগুলো হল- অ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ, বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, আইভরি কোস্ট, ইথিওপিয়া, ইরান, ইসরাইল, মালি, মেক্সিকো, মিয়ানমার, শ্রীলংকা ও উগান্ডা।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৩ সালের প্রায় পুরোটা সময় ব্যাপক রাজনৈতিক সহিংসতা ও হানাহানি চলে। জামায়াতকর্মীরা একদিকে দেশজুড়ে নাশকতা চালায় এবং অন্যদিকে নির্বাচন ঠেকাতে জামায়াত-বিএনপি জোটের হরতাল অবরোধে সহিংসতায় বহু মানুষ হতাহত হয়।
ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস মনে করছে, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা-নিপীড়নের পাশাপাশি নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, দলগত সমঝোতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব রয়েছে। এ কারণেই ১৩ দেশের ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশকে রেখেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত বছরের অধিকাংশ ঘটনার পেছনে ছিল ইসলামী স্টেট, আল কায়দা, তালেবান ও বোকো হারামের মতো জঙ্গি সংগঠন। বেসামরিক নাগরিক ও ব্যক্তিগত সম্পত্তিই এসব সংগঠনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রধান লক্ষ্য ছিল।
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০১৪-এ বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান ৬। পাকিস্তান রয়েছে ৩-এ। এছাড়া নেপাল ২৪, মিয়ানমার ৩৫, শ্রীলংকা ৩৬ এবং আফগানিস্তান রয়েছে ২-এ।
(বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০১৪ নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন দশ দিগন্ত পাতায়)
সংস্থাটি মঙ্গলবার বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০১৪ প্রকাশ করে। এ নিয়ে প্রতিবেদনে এ আশংকার কথা প্রকাশ করা হয়েছে। সূচকে ১৬২টি দেশের মধ্যে সন্ত্রাসবাদে বাংলাদেশের অবস্থান ২৩। স্কোর ৫ দশমিক ২৫। এ সূচকে ২০১৩-তে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫৭। ১০ স্কোর নিয়ে এ বছরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইরাক, যেখানে গত বছর ৬ হাজার ৩৬২ জন নিহত হয়েছেন জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের হাতে। ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস বলছে, গত বছর বিশ্বে কেবল সন্ত্রাসের প্রাবল্যই বাড়েনি, এর বিস্তারও বেড়েছে। ২০১৩ সালে বিশ্বে সন্ত্রাসের বলি হয়েছে ১৭ হাজার ৯৫৮ জন, যা আগের বছরের তুলনায় ৬১ শতাংশ বেশি। এ এক বছরে প্রায় ১০ হাজার সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি। প্রতিবেদেনে আরও বলা হয়, গত বছর জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ৮২ শতাংশ প্রাণহানি ঘটেছে মাত্র ৫ দেশে। এগুলো হল- ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও সিরিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধ বা সংঘাতে জড়িয়ে নেই এমন ১৩ দেশও রাজনৈতিক সহিংসতা ও দলগত বিদ্বেষের কারণে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির ঝুঁকিতে আছে। দেশগুলো হল- অ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ, বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, আইভরি কোস্ট, ইথিওপিয়া, ইরান, ইসরাইল, মালি, মেক্সিকো, মিয়ানমার, শ্রীলংকা ও উগান্ডা।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৩ সালের প্রায় পুরোটা সময় ব্যাপক রাজনৈতিক সহিংসতা ও হানাহানি চলে। জামায়াতকর্মীরা একদিকে দেশজুড়ে নাশকতা চালায় এবং অন্যদিকে নির্বাচন ঠেকাতে জামায়াত-বিএনপি জোটের হরতাল অবরোধে সহিংসতায় বহু মানুষ হতাহত হয়।
ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস মনে করছে, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা-নিপীড়নের পাশাপাশি নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, দলগত সমঝোতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব রয়েছে। এ কারণেই ১৩ দেশের ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশকে রেখেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত বছরের অধিকাংশ ঘটনার পেছনে ছিল ইসলামী স্টেট, আল কায়দা, তালেবান ও বোকো হারামের মতো জঙ্গি সংগঠন। বেসামরিক নাগরিক ও ব্যক্তিগত সম্পত্তিই এসব সংগঠনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রধান লক্ষ্য ছিল।
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০১৪-এ বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান ৬। পাকিস্তান রয়েছে ৩-এ। এছাড়া নেপাল ২৪, মিয়ানমার ৩৫, শ্রীলংকা ৩৬ এবং আফগানিস্তান রয়েছে ২-এ।
(বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০১৪ নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন দশ দিগন্ত পাতায়)
No comments