ভেলায় ভেসে গেল ৫০ কোটি টাকা
কৌশলে গ্রাহকদের ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ভেলা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামের বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। এতে তৃণমূল পর্যায়ের কয়েক হাজার গ্রাহক ৯ বছরের সঞ্চয় খুইয়ে পথে বসেছেন। প্রতারকচক্র গা-ঢাকা দেয়ার আগে তাদের কেরানীগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই ও মানিকগঞ্জের সব শাখা কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এসব এলাকা থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা সংগ্রহ করেছিল ভেলা সমিতি।
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তদন্ত শেষে সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের রিপোর্টে ভেলা সমিতির এ ঘটনার ব্যাপারে আশংকা প্রকাশ করে বলা হয়, অর্থ ফেরত না পেলে বিনিয়োগকারীরা যে কোনো সময় সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ, ধামরাই ও মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন, সড়ক অবরোধ ও ভাংচুরের মতো ঘটনা ঘটাতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সরকারবিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল ক্ষতিগ্রস্ত ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উত্তেজিত করে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোসহ যে কোনো ধরনের সুযোগ নিতে পারে।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট পেয়ে সমবায় অধিদফতরকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ভেলা সমিতি আমানতকারীকে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ৪০ শতাংশ সুদ ও আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে এই অর্ধশত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। সাভার ব্যাংক কলোনি ১৫/৩ নম্বর ঠিকানায় ২০০৫ সালে ভেলা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে সমিতি খোলা হয়। ঢাকা জেলা সমবায় নিবন্ধন থেকে এর রেজিস্ট্রেশন নেয়া হয়। রেজিস্ট্রেশন নম্বর-৫৩৬। সমিতির সভাপতি হচ্ছেন মাহমুদুল হাসান। ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকলেও তার একক নিয়ন্ত্রণে সমিতিটি পরিচালিত হয়েছে বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ভেলা সোসাইটি আমানতের বিপরীতে ৪০ শতাংশ মুনাফা দেয়ার প্রলোভন দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। কৌশলে এলাকার শিক্ষিত বেকার ছেলে ও মেয়েদের দিয়ে টাকা সংগ্রহ করে। এক্ষেত্রে ১ লাখ টাকা আমানত সংগ্রহ করলে কমিশন হিসাবে ২ হাজার টাকা এবং ২ লাখ টাকার জন্য কমিশন দেয়া হতো ৪ হাজার টাকা। এই কমিশন পেয়ে এলাকার অনেক বেকার শিক্ষিত যুবক আমানত সংগ্রহ শুরু করেন। ফলে বিভিন্ন পেশার মানুষ, স্থানীয় লোকজন আস্থাশীল হয়ে এখানে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ করেন। পরে এই ভেলা সমিতি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর, ধামরাই, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জে শাখা খুলে আমানত সংগ্রহ করে। সমিতিতে ১ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকার আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৮০০ জন। মোট আমানতের পরিমাণ ২৫ কোটি টাকা।
গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সমিতিতে জমা পড়া টাকা দিয়ে মাহমুদুল হাসান নিজের ও স্ত্রীসহ আত্মীয়স্বজনের নামে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাট ও সাভার-আশুলিয়া এলাকায় জমি কেনেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার কোথাও আত্মগোপন করে আছেন। ভেলা সমিতি সঞ্চয় প্রকল্পের বাইরে আবাসন প্রকল্পের নামেও গ্রাহকদের কাছ থেকে ১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও নানাভাবে আরও বিপুল অঙ্কের টাকা সংগ্রহ করে এ সমিতি। যার পরিমাণ ৫০ কোটি টাকার ওপরে।
গত তিন থেকে চার-মাস ধরে সমিতি গ্রাহকদের মুনাফা দেয়া বন্ধ রেখেছে। মাহমুদুল হাসান এখন আর আমানতকারীদের সঙ্গে দেখা দিচ্ছেন না। এ অবস্থায় হাজার হাজার গ্রাহক তাদের আমানতের ভবিষৎ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তারা এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা সমবায় সমিতি অফিসে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে জানানো হয় সমিতির সর্বশেষ অডিট হয়েছে ২০১২ সালের ৮ জুলাই। এরপর আর কোনো অডিট হয়নি।
ফলে গত দু’ বছরের আয় ও ব্যয়ের কোনো হিসাব নেই। সর্বশেষ অডিট তথ্য অনুযায়ী সমিতির কাছে গ্রাহকের সঞ্চয় রয়েছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৯৮০ টাকা। গোয়েন্দা রিপোর্টের সুপারিশে বলা হয়, ঢাকা জেলা সমবায় সমিতিসহ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে জরুরি ভিত্তিতে একটি সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে মাহমুদুল হাসানকে আটক করতে হবে। এরপর তার নামে ও বেনামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও ব্যাংকে রাখা টাকা আদায় করে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়।
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তদন্ত শেষে সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের রিপোর্টে ভেলা সমিতির এ ঘটনার ব্যাপারে আশংকা প্রকাশ করে বলা হয়, অর্থ ফেরত না পেলে বিনিয়োগকারীরা যে কোনো সময় সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ, ধামরাই ও মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন, সড়ক অবরোধ ও ভাংচুরের মতো ঘটনা ঘটাতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সরকারবিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল ক্ষতিগ্রস্ত ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উত্তেজিত করে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোসহ যে কোনো ধরনের সুযোগ নিতে পারে।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট পেয়ে সমবায় অধিদফতরকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ভেলা সমিতি আমানতকারীকে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ৪০ শতাংশ সুদ ও আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে এই অর্ধশত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। সাভার ব্যাংক কলোনি ১৫/৩ নম্বর ঠিকানায় ২০০৫ সালে ভেলা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে সমিতি খোলা হয়। ঢাকা জেলা সমবায় নিবন্ধন থেকে এর রেজিস্ট্রেশন নেয়া হয়। রেজিস্ট্রেশন নম্বর-৫৩৬। সমিতির সভাপতি হচ্ছেন মাহমুদুল হাসান। ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকলেও তার একক নিয়ন্ত্রণে সমিতিটি পরিচালিত হয়েছে বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ভেলা সোসাইটি আমানতের বিপরীতে ৪০ শতাংশ মুনাফা দেয়ার প্রলোভন দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। কৌশলে এলাকার শিক্ষিত বেকার ছেলে ও মেয়েদের দিয়ে টাকা সংগ্রহ করে। এক্ষেত্রে ১ লাখ টাকা আমানত সংগ্রহ করলে কমিশন হিসাবে ২ হাজার টাকা এবং ২ লাখ টাকার জন্য কমিশন দেয়া হতো ৪ হাজার টাকা। এই কমিশন পেয়ে এলাকার অনেক বেকার শিক্ষিত যুবক আমানত সংগ্রহ শুরু করেন। ফলে বিভিন্ন পেশার মানুষ, স্থানীয় লোকজন আস্থাশীল হয়ে এখানে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ করেন। পরে এই ভেলা সমিতি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর, ধামরাই, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জে শাখা খুলে আমানত সংগ্রহ করে। সমিতিতে ১ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকার আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৮০০ জন। মোট আমানতের পরিমাণ ২৫ কোটি টাকা।
গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সমিতিতে জমা পড়া টাকা দিয়ে মাহমুদুল হাসান নিজের ও স্ত্রীসহ আত্মীয়স্বজনের নামে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাট ও সাভার-আশুলিয়া এলাকায় জমি কেনেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার কোথাও আত্মগোপন করে আছেন। ভেলা সমিতি সঞ্চয় প্রকল্পের বাইরে আবাসন প্রকল্পের নামেও গ্রাহকদের কাছ থেকে ১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও নানাভাবে আরও বিপুল অঙ্কের টাকা সংগ্রহ করে এ সমিতি। যার পরিমাণ ৫০ কোটি টাকার ওপরে।
গত তিন থেকে চার-মাস ধরে সমিতি গ্রাহকদের মুনাফা দেয়া বন্ধ রেখেছে। মাহমুদুল হাসান এখন আর আমানতকারীদের সঙ্গে দেখা দিচ্ছেন না। এ অবস্থায় হাজার হাজার গ্রাহক তাদের আমানতের ভবিষৎ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তারা এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা সমবায় সমিতি অফিসে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে জানানো হয় সমিতির সর্বশেষ অডিট হয়েছে ২০১২ সালের ৮ জুলাই। এরপর আর কোনো অডিট হয়নি।
ফলে গত দু’ বছরের আয় ও ব্যয়ের কোনো হিসাব নেই। সর্বশেষ অডিট তথ্য অনুযায়ী সমিতির কাছে গ্রাহকের সঞ্চয় রয়েছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৯৮০ টাকা। গোয়েন্দা রিপোর্টের সুপারিশে বলা হয়, ঢাকা জেলা সমবায় সমিতিসহ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে জরুরি ভিত্তিতে একটি সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে মাহমুদুল হাসানকে আটক করতে হবে। এরপর তার নামে ও বেনামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও ব্যাংকে রাখা টাকা আদায় করে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়।
No comments