রোহিঙ্গা জঙ্গি খালিদ জেএমবির বোমা গুরু
বর্ধমান বিস্ফোরণ-কাণ্ডের জেএমবি জঙ্গিরা ট্রেনিং নিয়েছিল চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে ডেরা বাধা জঙ্গি সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের কাছে। ট্রেনিং দিয়েছিল আফগানিস্তানে তেহরিক-ই-তালিবানের জঙ্গিদের কাছ থেকে ট্রেনিং নিয়ে আসা রোহিঙ্গা জঙ্গি খালিদ ওরফে খালিদ মোহাম্মদ। কীভাবে আইইডি বিস্ফোরক তৈরি করতে হয়, গ্রেনেড দ্রুত তৈরি করে ফেলা যায় তার সব কিছুই জেএমবি সন্ত্রাসীদের শিখিয়েছিল খালিদ। দক্ষিণ ভারতের হায়দরাবাদে বর্ধমান-কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে এনআইএর হাতে ধরা পড়া খালিদ মঙ্গলবার জেএমবির এ প্রশিক্ষণের কথা জানিয়েছে। এইদিনই ধৃত খালিদকে হায়দরাবাদ আদালতে তোলার পর ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এনআইএ সূত্র জানিয়েছে, দমদম বিমানবন্দরের কাছ থেকে ধরা পড়া নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা জেএমবি জঙ্গি সাজিদকে জেরা করেই মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা জঙ্গি খালিদের সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
খালিদকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে সিরিয়া ও ইরাকের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএসের বিভিন্ন বই পাওয়া গেছে। আইসিস অর্থাৎ ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লিভ্যান্ট গোষ্ঠীর সঙ্গে যে তার যোগাযোগ ছিল তা স্পষ্ট। পাওয়া গেছে বিস্ফোরক তৈরির ভিডিও, বিভিন্ন জেহাদি বই। মিলেছে উসকানিমূলক ভিডিও। পাকিস্তানের তেহরিক-ই-তালিবান গোষ্ঠীর কাছে প্রশিক্ষণের পর খালিদ মিয়ানমারে চলে আসে। ঘাঁটি গাড়েন পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে। জেএমবির সঙ্গে সে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখত। সে সূত্রেই বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ-কাণ্ডের সঙ্গে খালিদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত হয়েছেন গোয়েন্দারা। খালিদ সন্ত্রাসবাদী মহলে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। রীতিমতো আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ চালাত সে।
গ্রেফতারের পর জেরায় জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই সে হায়দরাবাদের আরাথন এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। বাড়ি ভাড়ার জন্য ভুয়া নথিও ব্যবহার করেছিল। বাংলাদেশের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে খালিদের। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে বিভিন্ন জঙ্গি ঘাঁটির দায়িত্বে ছিল খালিদ। মূলত চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ শিবির চালাত। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের সঙ্গে খালিদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের প্রমাণও মিলেছে। বিস্ফোরক তৈরিতে পটু খালিদই জঙ্গিদের বিস্ফোরক তৈরির পাঠ দিত বলে জানা গেছে। বর্ধমান বিস্ফোরণের দিন সে কোথায় ছিল, সে ব্যাপারে গোয়েন্দারা অবশ্য কিছু জানাতে চাননি। শনিবারই বর্ধমান বিস্ফোরণ-কাণ্ডে আসামের নলবাড়ি জেলা থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। সেও বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িয়েছিল বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। ধৃতের নাম সুবুরুদ্দিন আলি। বর্ধমান-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সাহানুর আলমের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এই সুবুরুদ্দিন। এ নিয়ে ২ অক্টোবরের বিস্ফোরণের যোগে আসাম থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ জনকে। সাহানুরের বিষয়ে জানতে এনআইএ পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছে।
খালিদের গ্রেফতার বর্ধমান-কাণ্ডে জঙ্গি যোগে বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। তাকে গ্রেফতারের সূত্র ধরেই আন্তর্জাতিক চক্রের যোগাযোগও স্পষ্ট হয়েছে। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরই এনআইএ হায়দরাবাদ, গুয়াহাটিসহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি জোরদার করে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গি মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানের পরই কিছু জঙ্গি ভারতে চলে আসে। জেএমবি জঙ্গিরা অনেকেই সীমান্ত টপকে পশ্চিমবঙ্গে ঘাঁটি গাড়ে। সারা দেশেই তাদের জাল ছড়িয়ে ছিল বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। এনআইএ দায়িত্ব নেয়ার পর বিধাননগরের সিআরপিএফ ক্যাম্পে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতকারীরা। বিস্ফোরণে জড়িত অভিযুক্তদের এ রাজ্য ছাড়াও আসাম ও অন্য রাজ্য থেকে ধরা হয়েছে। মূল পাণ্ডা সাজিদকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এক পাণ্ডা কাওসার এখনও পলাতক।
এনআইএ সূত্র জানিয়েছে, দমদম বিমানবন্দরের কাছ থেকে ধরা পড়া নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা জেএমবি জঙ্গি সাজিদকে জেরা করেই মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা জঙ্গি খালিদের সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
খালিদকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে সিরিয়া ও ইরাকের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএসের বিভিন্ন বই পাওয়া গেছে। আইসিস অর্থাৎ ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লিভ্যান্ট গোষ্ঠীর সঙ্গে যে তার যোগাযোগ ছিল তা স্পষ্ট। পাওয়া গেছে বিস্ফোরক তৈরির ভিডিও, বিভিন্ন জেহাদি বই। মিলেছে উসকানিমূলক ভিডিও। পাকিস্তানের তেহরিক-ই-তালিবান গোষ্ঠীর কাছে প্রশিক্ষণের পর খালিদ মিয়ানমারে চলে আসে। ঘাঁটি গাড়েন পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে। জেএমবির সঙ্গে সে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখত। সে সূত্রেই বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ-কাণ্ডের সঙ্গে খালিদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত হয়েছেন গোয়েন্দারা। খালিদ সন্ত্রাসবাদী মহলে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। রীতিমতো আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ চালাত সে।
গ্রেফতারের পর জেরায় জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই সে হায়দরাবাদের আরাথন এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। বাড়ি ভাড়ার জন্য ভুয়া নথিও ব্যবহার করেছিল। বাংলাদেশের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে খালিদের। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে বিভিন্ন জঙ্গি ঘাঁটির দায়িত্বে ছিল খালিদ। মূলত চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ শিবির চালাত। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের সঙ্গে খালিদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের প্রমাণও মিলেছে। বিস্ফোরক তৈরিতে পটু খালিদই জঙ্গিদের বিস্ফোরক তৈরির পাঠ দিত বলে জানা গেছে। বর্ধমান বিস্ফোরণের দিন সে কোথায় ছিল, সে ব্যাপারে গোয়েন্দারা অবশ্য কিছু জানাতে চাননি। শনিবারই বর্ধমান বিস্ফোরণ-কাণ্ডে আসামের নলবাড়ি জেলা থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। সেও বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িয়েছিল বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। ধৃতের নাম সুবুরুদ্দিন আলি। বর্ধমান-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সাহানুর আলমের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এই সুবুরুদ্দিন। এ নিয়ে ২ অক্টোবরের বিস্ফোরণের যোগে আসাম থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ জনকে। সাহানুরের বিষয়ে জানতে এনআইএ পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছে।
খালিদের গ্রেফতার বর্ধমান-কাণ্ডে জঙ্গি যোগে বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। তাকে গ্রেফতারের সূত্র ধরেই আন্তর্জাতিক চক্রের যোগাযোগও স্পষ্ট হয়েছে। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরই এনআইএ হায়দরাবাদ, গুয়াহাটিসহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি জোরদার করে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গি মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানের পরই কিছু জঙ্গি ভারতে চলে আসে। জেএমবি জঙ্গিরা অনেকেই সীমান্ত টপকে পশ্চিমবঙ্গে ঘাঁটি গাড়ে। সারা দেশেই তাদের জাল ছড়িয়ে ছিল বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। এনআইএ দায়িত্ব নেয়ার পর বিধাননগরের সিআরপিএফ ক্যাম্পে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতকারীরা। বিস্ফোরণে জড়িত অভিযুক্তদের এ রাজ্য ছাড়াও আসাম ও অন্য রাজ্য থেকে ধরা হয়েছে। মূল পাণ্ডা সাজিদকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এক পাণ্ডা কাওসার এখনও পলাতক।
No comments