সৌদিকে শাস্তির পথ খোলা রেখেই প্রিন্স মোহাম্মদের পিঠ চুলকে দিলেন ট্রাম্প
সৌদি
রাজতন্ত্রের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানকে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে উষ্ণ
সংবর্ধনা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময়ে সৌদি
আরবকে 'মহান বন্ধু' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু দুই পক্ষের বিকশিত
হওয়া সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে তাদের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে
প্রকাশ্যে কোনো কথাবার্তা হয়নি।-খবর এএফপির। ক্যামেরার সামনে তারা পরষ্পরকে
পিঠ চাপড়েছেন, হাত মিলিয়েছেন, উষ্ণ হাসি ও হৃদ্যতাপূর্ণ কথাবার্তার বিনিময়
করেছেন। ট্রাম্প বলেন, সৌদি আরবের ভবিষ্যৎ বাদশাহ আমাদের সঙ্গে আছেন। এতে
আমরা সম্মনিত বোধ করছি। যে কোনো সময়ের চেয়ে আমাদের সম্পর্ক অনেক বেশি
ঘনিষ্ঠ। আমরা পরস্পরকে খুব ভালো বুঝতে পারছি। সৌদি রাজতন্ত্রের কার্যত
রাজনৈতিক নেতা ৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ বিন সালমান নিজের ক্ষমতা সুসংহত করার
পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে সফরে গিয়েছেন। দেশটিতে পশ্চিমাদের বহুদিনের
চাওয়া অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের বিশাল উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। সৌদির
ভেতরে স্পর্শকাতর সংস্কারের কথা উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন,
গুরুত্বপূর্ণ বহু কাজ আপনি করেছেন। পদাধিকারে আপনি সিংহাসনের উত্তরসূরি।
কিন্তু আপনি এখন কেবল উত্তরসূরিই না, আরও ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন।
বাদশাহ
সালমানকেও স্মরণ করে ট্রাম্প বলেন, আশা করছি, শিগগির তার সঙ্গে দেখা হবে।
নিজ দেশে ব্যাপক সংস্কার ও যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতির
কারণে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার
জামাতা জারেড কুশনারের প্রিয়ভাজনে পরিণত হতে পেরেছেন। ট্রাম্প বলেন, সৌদি
আরব খুবই ধনী দেশ। কর্মস্থলের সুযোগ তৈরি করে দিয়ে ও সামরিক অস্ত্র ক্রয়ের
মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রকেও কিছু সম্পদ দিতে যাচ্ছে। তবে দুই পক্ষ অনেক
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও এড়িয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। ৯/১১ হামলার প্রেক্ষাপটে
সৌদি আরবকে শাস্তি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো
কথা হয়নি। ওই আইন অকার্যকর করা হবে বলে আশা করে আছে রিয়াদ। ইউরেশিয়া
গ্রুপের আয়হাম কামাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই আইনে কোনো পরিবর্তন আনা হবে
বলে ট্রাম্প প্রশাসন সৌদি আরবকে কোনো নিশ্চিয়তা দিতে পারবে না। ইয়ামেনে
হুতিদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ব্যাপক নৃশংসতার
অভিযোগ রয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র, গোয়েন্দা ও যুদ্ধ বিমান দিয়ে সৌদি
জোটকে সহায়তা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা তিন বছর ধরে চলা ওই যুদ্ধ
নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
No comments