যুক্তরাষ্ট্রকে ধমকালেন এরদোগান
সিরিয়ার
আফরিনে তুরস্কের অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চের সমালোচনা করা যুক্তরাষ্ট্রের
প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ
এরদোগান। তুরস্কের ক্ষমতাসীন একে পার্টির সংসদীয় দলের এক সভায় মঙ্গলবার
এরদোগান যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে ধমকের সুরে বলেন, আপনারা
আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করার চেষ্টা করেছেন। আপনারা যদি বন্ধু হন তাহলে
সম্মান করতে হবে। খবর আনাদলু এজেন্সির। যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশে এরদোগান
বলেন, আমরা কৌশলগত বন্ধু। যদি বন্ধু হন তাহলে সম্মান করতে হবে। কিন্তু
আপনারা প্রতারণা করার চেষ্টা করেছেন। আমরা আপনাদের কাছে অর্থের বিনিময়ে
অস্ত্র চাইলেও আপনারা দেন না। কিন্তু আপনারা সন্ত্রাসীদের অস্ত্র দেন। এটা
আপনাদের কেমন বন্ধুত্ব? আপনরা সন্ত্রাসী ট্রাক ভরে অস্ত্র দিয়েছেন। এখন সেই
অস্ত্র আমরা জব্দ করছি। এদিকে রোববার তুর্কি সামরিক বাহিনী ও তাদের
সমর্থিত ফ্রি সিরিয়ান আর্মি আফরিন শহরে প্রবেশ করে এর নিয়ন্ত্রণ নেয়।
সোমবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী বাকির বোজদাগ
সাংবাদিকদের জানান, আফরিন শহর দখল করার মাধ্যমে তুরস্ক তার সীমান্তের হুমকি
কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কুর্দি বাহিনীকে দেয়া
যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অস্ত্রই উদ্ধার করেছে তুর্কি বাহিনী।
ওয়াইপিজি এসব
অস্ত্র ফেলেই আফরিন থেকে পালিয়েছে। ২০ জানুয়ারি কুর্দি পিপলস প্রটেকশন
ইউনিটসের (ওয়াইপিজি) নিয়ন্ত্রণাধীন আফরিনে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক।
তুর্কিদের কাছে ওয়াইপিজি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান
ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) শাখা বলে পরিচিত। তুরস্কের অভিযানের লক্ষ্য
ছিল, আফরিন থেকে কুর্দি বিদ্রোহীদের উৎখাত করা। শহরটি দখল তুর্কিদের বড়
ধরনের সাফল্য। এর ফলে উত্তর সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের যে সীমান্ত রয়েছে
সেখানে দেশটির নিয়ন্ত্রণ আরো সুসংহত হয়েছে। এর আগ থেকেই তুরস্ক এ অঞ্চলে
বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সহযোগিতা করে আসছে। আফরিন দখলের মধ্যেই
তুরস্কের অভিযান শেষ হয়ে যাবে না। এরদোগান আগেই বারবার বলেছেন, আফরিন দখল
করেই তুর্কিরা থেমে যাবে না। ইরাক সীমান্তের কাছে ওয়াইপিজি নিয়ন্ত্রিত
আরেকটি শহরের দিকেও এগিয়ে যাবে তুর্কি বাহিনী।
No comments