খালেদার মামলায় বৃটিশ আইনজীবী নিয়োগ
খালেদা
জিয়ার বিরুদ্ধে মামলায় আইনি পরামর্শক হিসেবে খ্যাতনামা বৃটিশ আইনজীবী লর্ড
কার্লাইলকে নিয়োগ করেছে বিএনপি। গতকাল দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য
জানিয়েছেন। মির্জা আলমগীর বলেন, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলাগুলোতে
আইনি লড়াইয়ের জন্য দেশের আইনজীবীদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিতে বৃটিশ আইনজীবী
ব্যারিস্টার লর্ড কার্লাইলকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বৃটেনে প্রবাসী
বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা আমাদের রাজনীতির সমর্থক রয়েছেন সেখানকার
আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এই বৃটিশ আইনজীবী নিয়োগের উদ্যোগ ও সহযোগিতা
করেছেন। আমাদের তরফে প্রস্তাব পেয়ে তিনিও এ নিয়োগ গ্রহণ করেছেন। লর্ড
কার্লাইল একটা চিঠি পাঠিয়েছেন- হি একসেপটেড, এটা উনি একসেপ্ট করেছেন।
এই আইনজীবী প্যানেলে যুক্ত হওয়ার সম্মতি জানিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন লর্ড কার্লাইল। সেইসঙ্গে মামলার সব বিষয় গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এখন থেকে খালেদা জিয়ার মামলাগুলো পরিচালনা করার জন্য তিনি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দেবেন। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের তার পক্ষে প্রয়োজনীয় যতটুকু আইনি সহায়তা দেয়া সম্ভব তিনি ততটুকু পরামর্শ দেবেন। ওখান থেকে তিনি কাজ করবেন। প্রয়োজনে বাংলাদেশেও আসবেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে বর্তমানে ৩৬টি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় বেআইনি সাজা দেয়া হয়েছে নজিরবিহীনভাবে। এতে প্রমাণ হয়, দেশে আইনের শাসন নেই। খালেদা জিয়ার ৩৬টি মামলাতেই লর্র্ড কার্লাইল আইনি পরামর্শ দেবেন। আইনজীবী হিসেবে লর্ড কার্লাইলের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘকাল ধরে তিনি আইন পেশা ও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি কমনওয়েলথ রাইটস ইনিশিয়েটিভের চেয়ারম্যান। ২৮ বছর ধরে তিনি পার্টটাইম জজ হিসেবে কাজ করেছেন ইনক্লুডিং ইন দি হাইকোর্ট অব জাস্টিস। তিনি উচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবেও যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি নয় বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের স্বাধীন সমালোচক ছিলেন। ২০১২ সালে রানী কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষেবার জন্য কাজ করেছেন। বৃটিশ কুইন্স কাউন্সিল ও হাউজ অব লর্ডসের সদস্য লর্ড কার্লাইল একজন সাবেক এমপি। খালেদা জিয়ার মামলায় লড়তে দেশের আইনজীবীরা যথেষ্ট নয় বলেই কি বৃটিশ আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নট নেসেসারিলি। এনরিচ করা আর ইন্টারন্যাশনাল এরিনাতে এ বিষয়টাকে নিয়ে আসার জন্য এটা করা হয়েছে। এসব মামলার বিচার কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ড মেনে হচ্ছে কি না, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন তিনি। বিশ্ব সমপ্রদায়ের কাছে খালেদা জিয়ার মামলা ও সাজার বিষয়ে তুলে ধরতে কাজ করবেন লর্ড কার্লাইল। আমরা তাকে পেয়ে আনন্দিত। দেশের অন্যতম শীর্ষ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মামলায় আইনি পরামর্শ দেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন বলেছেন- উনি কেইসের বিষয়টা পড়ছেন। যখন মূল কেইসে শুনানি হবে তখন যতটুকু পরামর্শ প্রয়োজন তিনি তা দেবেন। লর্র্ড কার্লাইলের অফিস থেকে পাঠানো একটি চিঠিও পড়ে শোনান বিএনপি মহাসচিব। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম রিজভী আহমেদ ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক আইনে খালেদা জিয়াকে সহায়তা দেবো
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী নিযুক্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কারলাইল জানিয়েছেন, তিনি আন্তর্জাতিক আইন ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে আইনগত পরামর্শ দেবেন। বাংলা ট্রিবিউনের রিপোর্টে বলা হয়, তাদের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য কারলাইলের সঙ্গে ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফিরতি ই-মেইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী হিসেবে নিযুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমি আরও জানিয়ে রাখি, সমপ্রতি আমি কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছি। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতার বণ্টন নিয়ে এই সংস্থাটির গভীর আগ্রহ রয়েছে। আমি নিজেও এই বিষয়ে অনেক আগ্রহী।
এই আইনজীবী প্যানেলে যুক্ত হওয়ার সম্মতি জানিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন লর্ড কার্লাইল। সেইসঙ্গে মামলার সব বিষয় গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এখন থেকে খালেদা জিয়ার মামলাগুলো পরিচালনা করার জন্য তিনি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দেবেন। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের তার পক্ষে প্রয়োজনীয় যতটুকু আইনি সহায়তা দেয়া সম্ভব তিনি ততটুকু পরামর্শ দেবেন। ওখান থেকে তিনি কাজ করবেন। প্রয়োজনে বাংলাদেশেও আসবেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে বর্তমানে ৩৬টি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় বেআইনি সাজা দেয়া হয়েছে নজিরবিহীনভাবে। এতে প্রমাণ হয়, দেশে আইনের শাসন নেই। খালেদা জিয়ার ৩৬টি মামলাতেই লর্র্ড কার্লাইল আইনি পরামর্শ দেবেন। আইনজীবী হিসেবে লর্ড কার্লাইলের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘকাল ধরে তিনি আইন পেশা ও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি কমনওয়েলথ রাইটস ইনিশিয়েটিভের চেয়ারম্যান। ২৮ বছর ধরে তিনি পার্টটাইম জজ হিসেবে কাজ করেছেন ইনক্লুডিং ইন দি হাইকোর্ট অব জাস্টিস। তিনি উচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবেও যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি নয় বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের স্বাধীন সমালোচক ছিলেন। ২০১২ সালে রানী কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষেবার জন্য কাজ করেছেন। বৃটিশ কুইন্স কাউন্সিল ও হাউজ অব লর্ডসের সদস্য লর্ড কার্লাইল একজন সাবেক এমপি। খালেদা জিয়ার মামলায় লড়তে দেশের আইনজীবীরা যথেষ্ট নয় বলেই কি বৃটিশ আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নট নেসেসারিলি। এনরিচ করা আর ইন্টারন্যাশনাল এরিনাতে এ বিষয়টাকে নিয়ে আসার জন্য এটা করা হয়েছে। এসব মামলার বিচার কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ড মেনে হচ্ছে কি না, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন তিনি। বিশ্ব সমপ্রদায়ের কাছে খালেদা জিয়ার মামলা ও সাজার বিষয়ে তুলে ধরতে কাজ করবেন লর্ড কার্লাইল। আমরা তাকে পেয়ে আনন্দিত। দেশের অন্যতম শীর্ষ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মামলায় আইনি পরামর্শ দেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন বলেছেন- উনি কেইসের বিষয়টা পড়ছেন। যখন মূল কেইসে শুনানি হবে তখন যতটুকু পরামর্শ প্রয়োজন তিনি তা দেবেন। লর্র্ড কার্লাইলের অফিস থেকে পাঠানো একটি চিঠিও পড়ে শোনান বিএনপি মহাসচিব। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম রিজভী আহমেদ ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক আইনে খালেদা জিয়াকে সহায়তা দেবো
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী নিযুক্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কারলাইল জানিয়েছেন, তিনি আন্তর্জাতিক আইন ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে আইনগত পরামর্শ দেবেন। বাংলা ট্রিবিউনের রিপোর্টে বলা হয়, তাদের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য কারলাইলের সঙ্গে ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফিরতি ই-মেইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী হিসেবে নিযুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমি আরও জানিয়ে রাখি, সমপ্রতি আমি কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছি। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতার বণ্টন নিয়ে এই সংস্থাটির গভীর আগ্রহ রয়েছে। আমি নিজেও এই বিষয়ে অনেক আগ্রহী।
No comments