আবিদের স্ত্রীর অবস্থা অপরিবর্তিত
নেপালে
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট আবিদ সুলতানের স্ত্রী
আফসানা খানমের অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। সোমবার থেকে তিনি রাজধানীর
নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। তবে তার হার্ট, কিডনি
লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন
চিকিৎসকরা। আফসানার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে
নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের অবহিত করা হয়। হাসপাতালের
যুগ্ম পরিচালক প্রফেসর বদরুল আলম মণ্ডল সাংবাদিকদের জানান, আফসানার অবস্থা
সংকটাপন্ন। তবে তার হার্টবিট আছে।
কিডনি, লিভার সবই কাজ করছে। ব্লাডপ্রেসার ১২০ বাই ৮০। আমরা তার চিকিৎসা চালিয়ে যাবো। আফসানা খানমের বর্তমান অবস্থার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তার মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বিঘ্ন ঘটায় আমরা সিটি স্ক্যান করার পর অস্ত্রোপচার করি। কিন্তু পরশু রাতে তিনি আবার স্ট্রোক করেন। এরপর রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আমরা আরেকটা অপারেশন করি। এরপর আমরা তার মাথার খুলি খুলে রেখেছি। এটা তখনই করা হয় যখন কারো মস্তিষ্কের ওপর অতিরিক্ত চাপ যায়। ‘কেউ ন্যাচারালি ডেড না হওয়া পর্যন্ত আমরা তাকে ডেড বলব না’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধায় রোববার সকালে আফসানাকে বাসা থেকে উত্তরার একটি ক্লিনিকে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে নিউরোসায়েন্সে আনা হয়। রোববার রাত ১১টার দিকে আফসানা আবার স্ট্রোক করেন। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল দেখে আবার অপারেশন করেন চিকিৎসকরা। অপারেশনের পর তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তার অবস্থা সংকটাপন্ন। ডায়াবেটিস থাকায় অবস্থা আরও জটিল বলেও জানান তারা। গত ১২ই মার্চ নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পরের দিন মারা যান ওই বিমান সংস্থার প্রধান বৈমানিক আবিদ সুলতান। সোমবার ২২ বাংলাদেশির সঙ্গে আবিদ সুলতানের লাশও দেশে আসে। ওইদিনই তার লাশ বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আবিদ-আফসানা দম্পতির একমাত্র ছেলে তামজিদ সুলতান মাহি ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী। আফসানার এক আত্মীয় জানান, স্বামীর মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না আফসানা। স্বামীকে হারিয়ে কখনো বাকরুদ্ধ কখনো অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। এ অবস্থায় রোববার বাসায় ব্রেইন স্ট্রোক করেন তিনি। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে আগারগাঁওয়ের নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।
কিডনি, লিভার সবই কাজ করছে। ব্লাডপ্রেসার ১২০ বাই ৮০। আমরা তার চিকিৎসা চালিয়ে যাবো। আফসানা খানমের বর্তমান অবস্থার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তার মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বিঘ্ন ঘটায় আমরা সিটি স্ক্যান করার পর অস্ত্রোপচার করি। কিন্তু পরশু রাতে তিনি আবার স্ট্রোক করেন। এরপর রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আমরা আরেকটা অপারেশন করি। এরপর আমরা তার মাথার খুলি খুলে রেখেছি। এটা তখনই করা হয় যখন কারো মস্তিষ্কের ওপর অতিরিক্ত চাপ যায়। ‘কেউ ন্যাচারালি ডেড না হওয়া পর্যন্ত আমরা তাকে ডেড বলব না’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধায় রোববার সকালে আফসানাকে বাসা থেকে উত্তরার একটি ক্লিনিকে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে নিউরোসায়েন্সে আনা হয়। রোববার রাত ১১টার দিকে আফসানা আবার স্ট্রোক করেন। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল দেখে আবার অপারেশন করেন চিকিৎসকরা। অপারেশনের পর তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তার অবস্থা সংকটাপন্ন। ডায়াবেটিস থাকায় অবস্থা আরও জটিল বলেও জানান তারা। গত ১২ই মার্চ নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পরের দিন মারা যান ওই বিমান সংস্থার প্রধান বৈমানিক আবিদ সুলতান। সোমবার ২২ বাংলাদেশির সঙ্গে আবিদ সুলতানের লাশও দেশে আসে। ওইদিনই তার লাশ বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আবিদ-আফসানা দম্পতির একমাত্র ছেলে তামজিদ সুলতান মাহি ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী। আফসানার এক আত্মীয় জানান, স্বামীর মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না আফসানা। স্বামীকে হারিয়ে কখনো বাকরুদ্ধ কখনো অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। এ অবস্থায় রোববার বাসায় ব্রেইন স্ট্রোক করেন তিনি। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে আগারগাঁওয়ের নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।
No comments