আখাউড়া দিয়ে পালাটানার ৫৫৬ টন স্টিল পাইপ গেল ত্রিপুরায়
বাংলাদেশ
ভূখণ্ডের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর ও আশুগঞ্জ নৌবন্দর ব্যবহার করে
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য এবার স্টিল পাইপ
পরিবহন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রথম চালান ৫৫৬ টন ভারতীয়
স্টিল পাইপ পরিবহন সম্পন্ন করা হয়। টনপ্রতি ১৯২ টাকা ২২ পয়সা হারে ওই স্টিল
পাইপ থেকে সরকার মাশুল পেয়েছে এক লাখ সাত হাজার টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে
জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত ১৯৭২ সালের নৌ-প্রটোকলের
চুক্তির আওতায় বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে মালামাল নিচ্ছে
ভারত। ট্রানজিট শিপমেন্ট চুক্তির আওতায় কোনো প্রকার শুল্ক ছাড়াই শুধু
প্রয়োজনীয় মাশুল দিয়ে আশুগঞ্জ নৌপথ ও আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করে আগেও
দফায় দফায় মালামাল পরিবহন করেছে ভারত। লোডিংয়ের দায়িত্বে থাকা গালফ
ওরিয়েন্ট সি-অয়েজ লজিস্টিক ম্যানেজার মো. নুরুজ্জামান যুগান্তরকে জানান, ১৪
মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত টানা সাত দিনে আশুগঞ্জ নৌবন্দর হয়ে আখাউড়া
স্থলবন্দর সীমান্তপথে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানা বিদ্যুৎ প্রকল্পের
প্রথম চালানের ৫৫৬ মেট্রিক টন স্টিল পাইপ পারাপার সম্পন্ন করা হয়েছে। এর
আগে স্টিল পাইপ নিয়ে কলকাতা হলদিয়া নৌবন্দর থেকে এমভি গালফ-৩ নামে ভারতীয়
জাহাজটি ১৩ ফেব্রুয়ারি আশুগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
প্রায় ১৫ দিন পর ২৮
ফেব্রুয়ারি জাহাজটি আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙর করে। মো. নুরুজ্জামান বলেন,
আশুগঞ্জ নৌবন্দর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও
আখাউড়া স্থলবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে মাশুল দিয়ে পালাটানা বিদ্যুৎ
প্রকল্পের মালামাল পরিবহন করা হয়। বিআইডব্লিউটিএর আশুগঞ্জ পরিদর্শক মো. শাহ
আলম যুগান্তরকে জানান, বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় ভারতীয় এসব
ট্রানজিট পণ্যপরিবহনে ভয়েজ পারমিট ফি, পাইলট ফি, বার্দিং (অবস্থান) ফি,
ল্যান্ডিং ফি, চ্যানেল চার্জ ও লেবার হোলিং চার্জসহ প্রতিটনে ১৯২ টাকা ২২
পয়সা হরে মাশুল আদায় হয়েছে এক লাখ সাত হাজার টাকা। উল্লেখ্য, এর আগে বিশেষ
মানবিক সুবিধার আওতায় ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তিন দফায় কোনো প্রকার ফি
ছাড়াই আশুগঞ্জ নৌবন্দর হয়ে আশুগঞ্জ-আখাউড়া পর্যন্ত প্রায় ৫২ কিলোমিটার
সড়কপথ ব্যবহার করে আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্ত পথে ত্রিপুরা রাজ্যে পালাটানা
বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামালবোঝাই ১২০ চাকার ট্রেইলর এবং খাদ্যপণ্য ট্রানজিট
করেছিল ভারত।
No comments