রাজনীতির বাংলাদেশ মডেল by সাজেদুল হক
কথাটা
পুরনো শোনায়। এক বিভক্ত এবং ভেঙে পড়া সমাজের বাসিন্দা আমরা। ঢাকার একজন
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক প্রায়ই বলেন, বিভক্তিটা এমন একপর্যায়ে গেছে যেন রক্তের
গ্রুপও আলাদা। আওয়ামী লীগের রক্তের গ্রুপ একটা। বিএনপির অন্যটা। ভাঙনটা
অবশ্য হঠাৎ করে হয়নি। বড় ক্যানভাসে বললে একদিনে হয়নি। সম্ভবত, এ বিভক্তির
কারণে বছরের পর বছর ধরে ভিনদেশিরা আমাদের শাসন করে গেছেন। বড় ব্যতিক্রম
হয়েছে ওই এক বারই। মহান মুক্তিযুদ্ধে। পুরো বাংলাদেশই যোগ দিয়েছিল সে
জনযুদ্ধে। গুটি কয়েক রাজাকার-আল বদরের কথা আলাদা। তারা অবশ্য হিসাবের মধ্যে
ছিল না। কিন্তু নেতাদের মধ্যে বিরোধ তখনো ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান তখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে প্রবাসী
সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে মহান ভূমিকা রেখেছিলেন
তাজউদ্দীন আহমদ। কিন্তু মুজিব বাহিনীর সঙ্গে নানা ব্যাপারেই বিরোধ তৈরি
হয়েছিল তার।
মহিউদ্দিন আহমদের ‘জাসদের উত্থান পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি’ বইতে লেখা হয়েছে ‘আমীর-উল ইসলামের সঙ্গে আলাপ করে তাজউদ্দীন আহমদ সিদ্ধান্ত নিলেন, স্বাধীন বাংলার সরকার গঠন করবেন এবং তিনি নিজে সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন। ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক হলে তাজউদ্দীন তাকে সরকার গঠনের ব্যাপারে অবহিত করেন। ততদিনে শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ কলকাতায় পূর্বনির্ধারিত চিত্তরঞ্জন সুতারের বাড়িতে এসে উপস্থিত। তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে তাজউদ্দীন দিল্লি গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন, এটা জেনে তারা খুব ক্ষুব্ধ হন।’
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক নূরে আলম সিদ্দিকীর বয়ানেও এই ইঙ্গিত মেলে। সাংবাদিক কাজল ঘোষের লেখা ‘এক খলিফার বয়ান’ শীর্ষক বইয়ে পাওয়া যায় নূরে আলম সিদ্দিকীর বর্ণনা-‘এফএফ বাহিনীর কথায় আসি। ফ্রিডম ফাইটার্স সম্পূর্ণ প্রবাসী সরকারি প্রণোদনায় গঠিত এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত। এরা সামগ্রিকভাবে মুক্তিবাহিনী হিসেবে পরিচিত এবং বিভিন্ন সেক্টরে; বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এরা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এরা ছিলেন অকুতোভয়; মৃত্যুঞ্জয়ী; স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবের ধন।.....দেশের প্রান্তিক জনতা, লুঙি পরা কাছা বেঁধে থাকা কৃষক এফএফ-এর সংগৃহীত লোকবল ছিল। এরা প্রশিক্ষণের পর তখনকার মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর জিয়া, মেজর জলিলসহ ১১টি সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এখানে বাস্তবতার নিরিখে একটা কথা নির্মোহচিত্তে উল্লেখ করা দরকার। মুজিব বাহিনী বলে যে একটি রাজনৈতিক, সামরিক ক্যাডার তৈরি করা হয়, দুর্ভাগ্যক্রমে তাদের মোটিভেশন দেয়া হয় ভিন্ন আঙ্গিকে। মুজিব বাহিনীর নেতৃচতুষ্টয়ের ধারণা ছিল মুজিব ভাইকে আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব না। পাকিস্তানিরা তাকে নিশ্চিতভাবেই হত্যা করবে। তখন স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মুজিব বাহিনীর মাধ্যমে একটি সামাজিক বিপ্লব সংগঠিত করে অনায়াসে তারা তাজউদ্দীন সাহেবের সরকারকে উৎখাত করে সমাজতান্ত্রিক একটি ভ্রান্ত বাম সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।’
সে বিভক্তির বীজের কড়া মূল্য অবশ্য পরে চুকাতে হয়েছে বাংলাদেশকে। যুদ্ধবিধস্ত দেশ গড়ার কাজে মনোনিবেশ করেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু বাধা আসতে থাকে নানা দিক থেকে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাজউদ্দীন আহমদের। বিভক্তির একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে সিরাজুল আলম খান এবং তার সহযোগীদের তৎপরতায় বাহাত্তরের ৩১শে অক্টোবর এক সভায় ‘জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। নানা রকম হঠকারী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে জাসদ। সংঘাত আর রক্তপাতের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। যদিও তা সফল হয়নি।
রাজনৈতিক বৈরিতার মধ্যে আঘাত হানে শত্রুরা। সপরিবারের হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। দৃশ্যপটে আবির্ভাব ঘটে খোন্দকার মোশতাকের। তারপর দীর্ঘ এক রক্তক্ষয়ী অধ্যায় অতিক্রম করে বাংলাদেশ। সামরিক ছাউনি থেকে আসা জিয়াউর রহমান শাসক হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। একাত্তরের কণ্ঠস্বর জিয়া সেনাবাহিনীতেও ছিলেন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। যদিও পরে নানা কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হন। সামরিক শাসক এরশাদ ৯ বছর পর্যন্ত টিকে যান। তার সময়ে রাজনৈতিক ময়দানে জনপ্রিয়তা পান দুই নেত্রী। গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াইয়ে বহু ত্যাগ স্বীকার করেন তারা। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী এরশাদের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। পতন হয় এরশাদের।
কথিত গণতান্ত্রিক জমানায় ওয়ান ইলেভেনের আগ পর্যন্ত দুই নেত্রীর ছিল সমান দাপট। রাস্তায় তখনো রক্ত ঝরেছে। শেরেবাংলা নগরের অপারেশন থিয়েটারে জন্ম নেয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত টেকেনি। সে দায় কার তা নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক হতে পারে।
২০০৭ সালের ‘বিখ্যাত’ ওয়ান ইলেভেন বাংলাদেশের রাজনীতির খোলনলছেই বদলে দেয়। এক পর্যায়ে গ্রেপ্তার হন দুই নেত্রী। অস্থায়ী কারাগারে সমঝোতার চেষ্টা চলে। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গেই সমঝোতা হয়। বিদেশিদের সবাই তখন দলটির পক্ষই নেয়। নির্বাচন হয়। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আওয়ামী লীগ। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সামনে আসে। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সবারই ফাঁসি হয়। একই পরিণতি ভোগ করেন কট্টরপন্থি হিসেবে পরিচিতি বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীও। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মৃত্যু হয়। তা ফেরাতে বিএনপি জোটের আন্দোলন কাজে আসেনি। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় না। ১৫ই ফেব্রুয়ারির পরিণতি হয়নি ৫ই জানুয়ারির। সরকার টিকে যায়। আরেকটি নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে।
কী হবে ডিসেম্বর নির্বাচনে, তা অবশ্য এখনই বেশ পরিষ্কার হয়ে গেছে। খুব সম্ভবত খালেদা জিয়া কারাগারেই থাকবেন। তাকে রেখে তার দল কি নির্বাচনে যাবে অথবা যাওয়ার সুযোগ পাবে? সেটা বুঝতে আরো খানিকটা সময় লাগবে। একটা কথা বলা দরকার, বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে আগে বলা হতো, অনিশ্চয়তাই একমাত্র নিশ্চয়তা। কিন্তু সেদিন এখন আমরা ফেরিয়ে এসেছি। এখন সবকিছুই যেন নিশ্চিত।
মহিউদ্দিন আহমদের ‘জাসদের উত্থান পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি’ বইতে লেখা হয়েছে ‘আমীর-উল ইসলামের সঙ্গে আলাপ করে তাজউদ্দীন আহমদ সিদ্ধান্ত নিলেন, স্বাধীন বাংলার সরকার গঠন করবেন এবং তিনি নিজে সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন। ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক হলে তাজউদ্দীন তাকে সরকার গঠনের ব্যাপারে অবহিত করেন। ততদিনে শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ কলকাতায় পূর্বনির্ধারিত চিত্তরঞ্জন সুতারের বাড়িতে এসে উপস্থিত। তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে তাজউদ্দীন দিল্লি গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন, এটা জেনে তারা খুব ক্ষুব্ধ হন।’
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক নূরে আলম সিদ্দিকীর বয়ানেও এই ইঙ্গিত মেলে। সাংবাদিক কাজল ঘোষের লেখা ‘এক খলিফার বয়ান’ শীর্ষক বইয়ে পাওয়া যায় নূরে আলম সিদ্দিকীর বর্ণনা-‘এফএফ বাহিনীর কথায় আসি। ফ্রিডম ফাইটার্স সম্পূর্ণ প্রবাসী সরকারি প্রণোদনায় গঠিত এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত। এরা সামগ্রিকভাবে মুক্তিবাহিনী হিসেবে পরিচিত এবং বিভিন্ন সেক্টরে; বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এরা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এরা ছিলেন অকুতোভয়; মৃত্যুঞ্জয়ী; স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবের ধন।.....দেশের প্রান্তিক জনতা, লুঙি পরা কাছা বেঁধে থাকা কৃষক এফএফ-এর সংগৃহীত লোকবল ছিল। এরা প্রশিক্ষণের পর তখনকার মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর জিয়া, মেজর জলিলসহ ১১টি সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এখানে বাস্তবতার নিরিখে একটা কথা নির্মোহচিত্তে উল্লেখ করা দরকার। মুজিব বাহিনী বলে যে একটি রাজনৈতিক, সামরিক ক্যাডার তৈরি করা হয়, দুর্ভাগ্যক্রমে তাদের মোটিভেশন দেয়া হয় ভিন্ন আঙ্গিকে। মুজিব বাহিনীর নেতৃচতুষ্টয়ের ধারণা ছিল মুজিব ভাইকে আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব না। পাকিস্তানিরা তাকে নিশ্চিতভাবেই হত্যা করবে। তখন স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মুজিব বাহিনীর মাধ্যমে একটি সামাজিক বিপ্লব সংগঠিত করে অনায়াসে তারা তাজউদ্দীন সাহেবের সরকারকে উৎখাত করে সমাজতান্ত্রিক একটি ভ্রান্ত বাম সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।’
সে বিভক্তির বীজের কড়া মূল্য অবশ্য পরে চুকাতে হয়েছে বাংলাদেশকে। যুদ্ধবিধস্ত দেশ গড়ার কাজে মনোনিবেশ করেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু বাধা আসতে থাকে নানা দিক থেকে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাজউদ্দীন আহমদের। বিভক্তির একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে সিরাজুল আলম খান এবং তার সহযোগীদের তৎপরতায় বাহাত্তরের ৩১শে অক্টোবর এক সভায় ‘জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। নানা রকম হঠকারী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে জাসদ। সংঘাত আর রক্তপাতের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। যদিও তা সফল হয়নি।
রাজনৈতিক বৈরিতার মধ্যে আঘাত হানে শত্রুরা। সপরিবারের হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। দৃশ্যপটে আবির্ভাব ঘটে খোন্দকার মোশতাকের। তারপর দীর্ঘ এক রক্তক্ষয়ী অধ্যায় অতিক্রম করে বাংলাদেশ। সামরিক ছাউনি থেকে আসা জিয়াউর রহমান শাসক হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। একাত্তরের কণ্ঠস্বর জিয়া সেনাবাহিনীতেও ছিলেন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। যদিও পরে নানা কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হন। সামরিক শাসক এরশাদ ৯ বছর পর্যন্ত টিকে যান। তার সময়ে রাজনৈতিক ময়দানে জনপ্রিয়তা পান দুই নেত্রী। গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াইয়ে বহু ত্যাগ স্বীকার করেন তারা। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী এরশাদের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। পতন হয় এরশাদের।
কথিত গণতান্ত্রিক জমানায় ওয়ান ইলেভেনের আগ পর্যন্ত দুই নেত্রীর ছিল সমান দাপট। রাস্তায় তখনো রক্ত ঝরেছে। শেরেবাংলা নগরের অপারেশন থিয়েটারে জন্ম নেয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত টেকেনি। সে দায় কার তা নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক হতে পারে।
২০০৭ সালের ‘বিখ্যাত’ ওয়ান ইলেভেন বাংলাদেশের রাজনীতির খোলনলছেই বদলে দেয়। এক পর্যায়ে গ্রেপ্তার হন দুই নেত্রী। অস্থায়ী কারাগারে সমঝোতার চেষ্টা চলে। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গেই সমঝোতা হয়। বিদেশিদের সবাই তখন দলটির পক্ষই নেয়। নির্বাচন হয়। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আওয়ামী লীগ। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সামনে আসে। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সবারই ফাঁসি হয়। একই পরিণতি ভোগ করেন কট্টরপন্থি হিসেবে পরিচিতি বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীও। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মৃত্যু হয়। তা ফেরাতে বিএনপি জোটের আন্দোলন কাজে আসেনি। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় না। ১৫ই ফেব্রুয়ারির পরিণতি হয়নি ৫ই জানুয়ারির। সরকার টিকে যায়। আরেকটি নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে।
কী হবে ডিসেম্বর নির্বাচনে, তা অবশ্য এখনই বেশ পরিষ্কার হয়ে গেছে। খুব সম্ভবত খালেদা জিয়া কারাগারেই থাকবেন। তাকে রেখে তার দল কি নির্বাচনে যাবে অথবা যাওয়ার সুযোগ পাবে? সেটা বুঝতে আরো খানিকটা সময় লাগবে। একটা কথা বলা দরকার, বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে আগে বলা হতো, অনিশ্চয়তাই একমাত্র নিশ্চয়তা। কিন্তু সেদিন এখন আমরা ফেরিয়ে এসেছি। এখন সবকিছুই যেন নিশ্চিত।
No comments