কক্সবাজারে পাহাড় কাটা বন্ধ হচ্ছে না by আব্দুল কুদ্দুস
কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে পাহাড় কেটে চলছে বসতি স্থাপন |
কক্সবাজার
শহরের পাহাড় কাটা কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। দিনরাত সমানে চলছে পাহাড়
কেটে ঘরবাড়ি তৈরির কাজ। পরিবেশ অধিদপ্তর মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে কিছু
ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করলেও তা পুনরায় তৈরি হচ্ছে।
পরিবেশবাদী সংগঠনের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে শহরের ১১টির বেশি সরকারি পাহাড় দখল করে তৈরি করা হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থাপনায় বসবাস করছেন এক লাখের বেশি মানুষ।
১৮ জুন সকালে সৈকত তীরের কলাতলী পাহাড় ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি এই উঁচু পাহাড় কেটে ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে ৩০টির বেশি অস্থায়ী টিনের ঘর। সেখানে বসবাস করছেন ভাসমান লোকজন।
একটি ঘরের বাসিন্দা ছৈয়দ আলম (৪৪) জানান, এক মাস আগে পাহাড়ের এক খণ্ড জমিতে তিনি টিনের ঘরটি তৈরি করেন। পাশের আরও দুটি টিনের ঘর শহরের একজন প্রভাবশালী তৈরি করে পাহারাদার হিসেবে দুটি পরিবারকে থাকতে দিয়েছেন।
এই পাহাড়ের পাশে আদর্শগ্রাম, টিঅ্যান্ডটি টাওয়ার, লাইট হাউস, সার্কিট হাউস, পাহাড়তলী, লারপাড়া, এবিসি ঘোনাসহ শহরের আরও অন্তত ১০টি পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালীরা মিয়ানমারের অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে পাহাড় কাটা চালাচ্ছেন।
পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার বন পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান জানান, কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম করেও পাহাড় কাটা বন্ধ করা যাচ্ছে না। ১১টি পাহাড় থেকে ১৫ হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না গেলে ভবিষ্যতে শহরে কোনো পাহাড়ের চিহ্ন থাকবে না। তা ছাড়া বর্ষায় পাহাড়ধসে মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে ২৫টির বেশি পাহাড়ধসের ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
লারপাড়া ও পাহাড়তলীতে দেখা গেছে, শ্রমিকেরা ৫০ থেকে ৭০ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় ও পাদদেশে ঘরবাড়ি তৈরি করছেন। পাহাড় কাটার মাটি ঠেলা গাড়িতে করে ফেলা হচ্ছে শহরের বাঁকখালী নদীতে। এতে সামান্য বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।
পৌরসভার মেয়র সরওয়ার কামাল বলেন, পর্যটন শহরের গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় কয়েক লাখ ভাসমান মানুষ ঠাঁই নিয়েছে কক্সবাজার শহরে। তাঁরা পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি তৈরি করছে।
ফলে পাহাড় কাটার মাটি নেমে শহরের নালা ভরাট হচ্ছে। বাঁকখালী নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে সংকুচিত হয়ে পড়েছে নৌচলাচলের পথ। বর্ষায় পাহাড়ধসের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যাও বাড়ছে। তারপরও পাহাড় কাটা বন্ধ করা যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরকে কঠোর হতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, গত মে মাসেও একাধিক অভিযান চালিয়ে পাঁচটির বেশি ট্রাকসহ পাহাড় কাটার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই পুনরায় পাহাড় কাটা চলে।
জনবল–সংকটের কারণে নিয়মিত অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। শহরের একাধিক পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি তৈরির দায়ে গত কয়েক মাসে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় শতাধিক দখলদারের বিরুদ্ধে ১৫টির বেশি মামলা করা হয়েছে। অন্য দখলদারদেরও তালিকা তৈরি হচ্ছে।
পরিবেশবাদী সংগঠনের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে শহরের ১১টির বেশি সরকারি পাহাড় দখল করে তৈরি করা হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থাপনায় বসবাস করছেন এক লাখের বেশি মানুষ।
১৮ জুন সকালে সৈকত তীরের কলাতলী পাহাড় ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি এই উঁচু পাহাড় কেটে ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে ৩০টির বেশি অস্থায়ী টিনের ঘর। সেখানে বসবাস করছেন ভাসমান লোকজন।
একটি ঘরের বাসিন্দা ছৈয়দ আলম (৪৪) জানান, এক মাস আগে পাহাড়ের এক খণ্ড জমিতে তিনি টিনের ঘরটি তৈরি করেন। পাশের আরও দুটি টিনের ঘর শহরের একজন প্রভাবশালী তৈরি করে পাহারাদার হিসেবে দুটি পরিবারকে থাকতে দিয়েছেন।
এই পাহাড়ের পাশে আদর্শগ্রাম, টিঅ্যান্ডটি টাওয়ার, লাইট হাউস, সার্কিট হাউস, পাহাড়তলী, লারপাড়া, এবিসি ঘোনাসহ শহরের আরও অন্তত ১০টি পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালীরা মিয়ানমারের অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে পাহাড় কাটা চালাচ্ছেন।
পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার বন পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান জানান, কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম করেও পাহাড় কাটা বন্ধ করা যাচ্ছে না। ১১টি পাহাড় থেকে ১৫ হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না গেলে ভবিষ্যতে শহরে কোনো পাহাড়ের চিহ্ন থাকবে না। তা ছাড়া বর্ষায় পাহাড়ধসে মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে ২৫টির বেশি পাহাড়ধসের ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
লারপাড়া ও পাহাড়তলীতে দেখা গেছে, শ্রমিকেরা ৫০ থেকে ৭০ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় ও পাদদেশে ঘরবাড়ি তৈরি করছেন। পাহাড় কাটার মাটি ঠেলা গাড়িতে করে ফেলা হচ্ছে শহরের বাঁকখালী নদীতে। এতে সামান্য বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।
পৌরসভার মেয়র সরওয়ার কামাল বলেন, পর্যটন শহরের গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় কয়েক লাখ ভাসমান মানুষ ঠাঁই নিয়েছে কক্সবাজার শহরে। তাঁরা পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি তৈরি করছে।
ফলে পাহাড় কাটার মাটি নেমে শহরের নালা ভরাট হচ্ছে। বাঁকখালী নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে সংকুচিত হয়ে পড়েছে নৌচলাচলের পথ। বর্ষায় পাহাড়ধসের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যাও বাড়ছে। তারপরও পাহাড় কাটা বন্ধ করা যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরকে কঠোর হতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, গত মে মাসেও একাধিক অভিযান চালিয়ে পাঁচটির বেশি ট্রাকসহ পাহাড় কাটার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই পুনরায় পাহাড় কাটা চলে।
জনবল–সংকটের কারণে নিয়মিত অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। শহরের একাধিক পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি তৈরির দায়ে গত কয়েক মাসে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় শতাধিক দখলদারের বিরুদ্ধে ১৫টির বেশি মামলা করা হয়েছে। অন্য দখলদারদেরও তালিকা তৈরি হচ্ছে।
No comments