ঢাকা উত্তর- সড়ক সংস্কারকাজের দীর্ঘসূত্রতায় দুর্ভোগ
ইন্দিরা রোডে পয়োনিষ্কাশনের জন্য পাইপ বসানোর কাজ চলছে। মাস খানেক ধরে এই পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। লোকজনকে হেঁটে যেতেও পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। ছবিটি গতকাল তোলা l সাহাদাত পারভেজ |
ফার্মগেট-সংলগ্ন
ইন্দিরা রোড থেকে রাজাবাজার এলাকায় আবাসিক এলাকার ভেতর দিয়ে
পয়োনিষ্কাশনের পাইপলাইন ও রাস্তা উন্নয়নকাজের দীর্ঘসূত্রতায় ভোগান্তিতে
পড়েছেন এখানকার মানুষ। মূল সড়কের যানজট এড়িয়ে এ পথটি ধরে স্বল্প সময়ে
পূর্ব ও পশ্চিম রাজাবাজার, সোবহানবাগ, পান্থপথ, কলাবাগানসহ আরও কয়েকটি
গন্তব্যে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু প্রায় এক মাস ধরে
রাস্তাটি বন্ধ থাকায় তাঁদের বিড়ম্বনার শেষ নেই।
গতকাল শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার ভেতরে আলাদা দুটি জায়গায় ৬০ ফুটের বেশি রাস্তা খোঁড়া। আরও কয়েকটি জায়গায় বড় বড় পাইপ ও নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখা। পাইপ বসাতে সেখানকার রাস্তাগুলো এখনো খোঁড়া হয়নি। কোনো যানবাহন চলছে না। লোকজন পথের মাঝ দিয়ে খনন করা গভীর গর্ত, পাশে স্তূপ করে রাখা মাটি ও পাইপের পাশ দিয়ে চলাচল করেছেন। এই এলাকাটি উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত।
স্থানীয় ব্যক্তিদের বক্তব্য, সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকাটি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য গত মাসের মাঝামাঝি থেকে উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে পয়োনিষ্কাশনের পুরাতন পাইপলাইন সরিয়ে সেখানে নতুন বড় পাইপ বসানো ও সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান কাজটি দেখভাল করছেন।
এ কাজের ধীর গতির অভিযোগ এনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, এক মাস ধরে কাজ বন্ধ থাকায় রাস্তাটিতে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ কোনো ধরনের যানবাহনই চলাচল করতে পারছে না। এ সময়ের মধ্যে অনেকে গাড়ি বের করতে পারেননি। বাড়ি থেকে বের হয়ে কোথাও যেতে হলে গ্রিন রোড, পান্থপথ কিংবা ফার্মগেট পর্যন্ত হেঁটে গিয়ে যানবাহনে উঠতে হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন প্রচুর মানুষ এলাকাটির ভেতর দিয়ে যাতায়াত করেন। জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করেও কাজটি আরও দ্রুত শেষ করা উচিত ছিল।
এ বিষয়ে কথা হয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খানের সঙ্গে। কবে নাগাদ কাজটি শুরু হয়েছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগ থেকে।’ তাহলে এক মাস ধরে রাস্তাটি বন্ধ রাখার কারণ কী—জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেন, ‘আমরা ধাপে ধাপে কাজ করছি তো, এ জন্য দেরি হচ্ছে।’
গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগেই যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটির দায়িত্ব পেয়েছে, সেটিতে তাঁর অংশীদারি ছিল। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি তা ছেড়ে দেন বলে জানান। তিনি বলেন, অংশীদারি ছেড়ে দিলেও এখন পর্যন্ত এক অর্থে তিনিই কাজটি দেখভাল করছেন। তবে কাজটি শুরু থেকে শেষে হওয়ার নির্ধারিত সময় সম্পর্কে তিনি স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি। বলেন, ‘আমরা দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। পুরোনো পাইপ বদলে নতুন পাইপ বসানোর জন্য লেভেলিংয়ের কাজটা সবচেয়ে কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’
তবে কাউন্সিলরের এই কথায় আশ্বস্ত হতে পারছেন না এলাকার লোকজন ও পথচলতি মানুষেরা। তাঁদের ধারণা, গোটা কাজটি শেষ হতে আরও অন্তত দুই মাস সময় লাগবে। তত দিন পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে এ ভোগান্তির হাত হাত থেকে তাঁদের নিষ্কৃতি নেই।
গতকাল শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার ভেতরে আলাদা দুটি জায়গায় ৬০ ফুটের বেশি রাস্তা খোঁড়া। আরও কয়েকটি জায়গায় বড় বড় পাইপ ও নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখা। পাইপ বসাতে সেখানকার রাস্তাগুলো এখনো খোঁড়া হয়নি। কোনো যানবাহন চলছে না। লোকজন পথের মাঝ দিয়ে খনন করা গভীর গর্ত, পাশে স্তূপ করে রাখা মাটি ও পাইপের পাশ দিয়ে চলাচল করেছেন। এই এলাকাটি উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত।
স্থানীয় ব্যক্তিদের বক্তব্য, সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকাটি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য গত মাসের মাঝামাঝি থেকে উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে পয়োনিষ্কাশনের পুরাতন পাইপলাইন সরিয়ে সেখানে নতুন বড় পাইপ বসানো ও সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান কাজটি দেখভাল করছেন।
এ কাজের ধীর গতির অভিযোগ এনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, এক মাস ধরে কাজ বন্ধ থাকায় রাস্তাটিতে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ কোনো ধরনের যানবাহনই চলাচল করতে পারছে না। এ সময়ের মধ্যে অনেকে গাড়ি বের করতে পারেননি। বাড়ি থেকে বের হয়ে কোথাও যেতে হলে গ্রিন রোড, পান্থপথ কিংবা ফার্মগেট পর্যন্ত হেঁটে গিয়ে যানবাহনে উঠতে হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন প্রচুর মানুষ এলাকাটির ভেতর দিয়ে যাতায়াত করেন। জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করেও কাজটি আরও দ্রুত শেষ করা উচিত ছিল।
এ বিষয়ে কথা হয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খানের সঙ্গে। কবে নাগাদ কাজটি শুরু হয়েছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগ থেকে।’ তাহলে এক মাস ধরে রাস্তাটি বন্ধ রাখার কারণ কী—জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেন, ‘আমরা ধাপে ধাপে কাজ করছি তো, এ জন্য দেরি হচ্ছে।’
গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগেই যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটির দায়িত্ব পেয়েছে, সেটিতে তাঁর অংশীদারি ছিল। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি তা ছেড়ে দেন বলে জানান। তিনি বলেন, অংশীদারি ছেড়ে দিলেও এখন পর্যন্ত এক অর্থে তিনিই কাজটি দেখভাল করছেন। তবে কাজটি শুরু থেকে শেষে হওয়ার নির্ধারিত সময় সম্পর্কে তিনি স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি। বলেন, ‘আমরা দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। পুরোনো পাইপ বদলে নতুন পাইপ বসানোর জন্য লেভেলিংয়ের কাজটা সবচেয়ে কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’
তবে কাউন্সিলরের এই কথায় আশ্বস্ত হতে পারছেন না এলাকার লোকজন ও পথচলতি মানুষেরা। তাঁদের ধারণা, গোটা কাজটি শেষ হতে আরও অন্তত দুই মাস সময় লাগবে। তত দিন পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে এ ভোগান্তির হাত হাত থেকে তাঁদের নিষ্কৃতি নেই।
No comments