ইতিহাস না অপেক্ষা by ইশতিয়াক পারভেজ
ভারতের
বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজটি শুরু হয় অনেক লক্ষ্য নিয়ে। টাইগারদের
র্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বরে ওঠা, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা ছাড়াও ব্যক্তিগত
অর্জনের লক্ষ্য তো ছিলই। এরই মধ্যে প্রথম ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে ৭৯ রানের
দাপুটে জয় বাংলাদেশকে র্যাঙ্কিংয়ে তুলে দিয়েছে সপ্তম স্থানে। আজ জিতলেই
নিশ্চিত হবে চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে খেলার স্বপ্নও। শুধু তাই নয় মিরপুর শেরে
বাংলা মাঠে আজ অপেক্ষা করছে নতুন এক ইতিহাসের। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয়
ওয়ানডে জিতলেই সিরিজ জিতে নেবে বাংলাদেশ। এটি হবে ভারতের বিপক্ষে
বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়। এই পর্যন্ত ৬০টি একদিনের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ
খেলেছে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি চতুর্থ দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে
সিরিজ। এর আগে তিনটি সিরিজেই হার দেখে বাংলাদেশ। শুধু ২০০৪ সালে সিরিজের
একটি ম্যাচে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। আজ জয় পেলে শুধু
সিরিজ জয় হবে না, বাংলাদেশের সামনে খুলে যাবে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করার
সুযোগ। সব মিলিয়ে আজ দুপুর ৩ টায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি বাংলাদেশের পাওয়া ও
ভারতের জন্য শঙ্কা বাঁচানোর লড়াই। দুই দলই ব্যাটে-বলে আগ্রাসী নৈপুণ্য
দেখাতে চায়। বাংলাদেশের প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেন, আজ মাঠে আরও
আগ্রাসী নৈপুণ্যে দেখা যাবে টাইগারদের। অন্যদিকে ভারত তারকা রোহিত শর্মাও
বলেন, ব্যাচে-বলে আগ্রাসী মুডে দেখা যাবে ভারত দলকেও। সব মিলিয়ে আজ
বাংলাদেশ দলের সামনে হাতছানি দিচ্ছে ইতিহাস গড়ার। সে ইতিহাস কি তারা গড়তে
পারবেন? নাকি অপেক্ষা করতে হবে তাদের।
বাংলাদেশ এখন আর ছোট দল নয়। সেটি ব্যাটে-বলে যেমন বাংলাদেশ বুঝিয়েছে তেমনি ভারতও পূর্নশক্তির দল নিয়ে এসে সেটি প্রমাণ করেছে। কিন্তু প্রথম ওয়ানডেতে টসে হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার যে ঝড় তুলেছিলেন বৃষ্টি না হলে ভারতের বোলাররা তা কিভাবে থামাতেন তা হয়তো বলা কঠিন। কিন্তু আজ ভারত প্রস্তুত বাংলাদেশের রানের চাকা থামাতে। তা নাহলে মাশরাফিবাহিনী শেষ ম্যাচে ৩০৭ রান করে দেখিয়েছে সুযোগ পেলে তারা চারশ’ও করে ফেলতে পারে। প্রথম ম্যাচের মত এই ম্যাচেও ওপেনিংয়ে বাংলাদেশ দলের ভরসা তামিম ইকাবল ও সৌম্য সরকার। এরপর ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া লিটন দাসের সামনে সুযোগ নিজেকে প্রমাণ করার। কারণ অভিষেক ম্যাচে মাত্র ৮ রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি। এরপর দলের মূল ব্যাটিং ভরসা মুশফিকুর রহীম ও সাকিব আল হাসান। শেষ ম্যাচে সাকিব ব্যাটে-বলে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। কিন্তু দলের সবচেয়ে বড় ভরসা মুশফিকুর রহীম যেন নেই তার সেই ছন্দে। টেস্ট এমনকি ওয়ানডে সিরিজেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ তিনি। এমনকি ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতে ছিল তার নজিরবিহীন ব্যর্থতা। তবে প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে মুশফিকের উপর ভরসা রাখতে চান। তিনি বলেন, ‘সে দেশের সেরা ব্যাটসম্যাস হিসেবে দলে ছিল এখনও আছে। তার সময় হয়তো কিছুটা খারাপ যাচ্ছে তবে এমন নয় যে, সে ভাল করবে না। দলের হয়ে তার ৩/৪টা সেঞ্চুরি আছে।’ মুশফিক আর সাকিবের পর সাব্বির রহমান রুম্মান ও নাসির হোসেন ৬/৭ নম্বরে নিজেকে প্রমাণ করেছেন ব্যাটে ঝড় তুলে। নাসির ৩৪ ও সাব্বিরের ৪১ রান দলের স্কোর বোর্ডে ৩শ’ ছাড়াতে বড় ভূমিকা রাখে। এরপর ৮ নম্বরে মাশরাফিতো থাকছেনই। বাংলাদেশের বোলিংয়ে আজও নজর থাকবে তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের ওপর। বাংলাদেশের তরুণ দুই পেসার প্রথম ওয়ানডেতে ৭টি উইকেট ভাগাভাগি করে ধসিয়ে দেন ভারতের ব্যাটিং লাইন। তবে আজ রুবেল হোসেনের খেলা নিয়ে একটু শঙ্কা আছে। হয়তো ভারতকে আরও একবার চমকে দিতে পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনে চার পেসারের পরিবর্তে আজ বাংলাদেশ দলে খেলতে পারে তিন পেসার ও এক স্পিনার। সেক্ষেত্রে রুবেল হোসেনের পরিবর্তে স্পিনার আরাফাত সানির খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ যেমনই হোক না কেন ভারত প্রস্তুত বলে হুংকার দিয়েছেন রোহিত শর্মা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ৩ পেসার নিয়ে খেলেছে। এখানে একজন বেশি নিয়ে খেলেছে। প্রতিপক্ষ দল কি কম্বিনেশন নিয়ে খেলছে আমরা আসলে তা নিয়ে ভাবি না। আমাদের চিন্তায় থাকে আমরা কি করবো।’ তবে প্রথম ম্যাচের উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখলে আজ হয়তো দলে কোন পরিবতর্ন করবে না বাংলাদেশ।
অন্যদিকে আজ ভারত দলে একটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। পেসার মোহিত শর্মার পরিবর্তে স্টুয়ার্ট বিনি অথবা ধাওয়াল কুলকার্নি খেলতে পারেন।
বাংলাদেশ এখন আর ছোট দল নয়। সেটি ব্যাটে-বলে যেমন বাংলাদেশ বুঝিয়েছে তেমনি ভারতও পূর্নশক্তির দল নিয়ে এসে সেটি প্রমাণ করেছে। কিন্তু প্রথম ওয়ানডেতে টসে হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার যে ঝড় তুলেছিলেন বৃষ্টি না হলে ভারতের বোলাররা তা কিভাবে থামাতেন তা হয়তো বলা কঠিন। কিন্তু আজ ভারত প্রস্তুত বাংলাদেশের রানের চাকা থামাতে। তা নাহলে মাশরাফিবাহিনী শেষ ম্যাচে ৩০৭ রান করে দেখিয়েছে সুযোগ পেলে তারা চারশ’ও করে ফেলতে পারে। প্রথম ম্যাচের মত এই ম্যাচেও ওপেনিংয়ে বাংলাদেশ দলের ভরসা তামিম ইকাবল ও সৌম্য সরকার। এরপর ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া লিটন দাসের সামনে সুযোগ নিজেকে প্রমাণ করার। কারণ অভিষেক ম্যাচে মাত্র ৮ রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি। এরপর দলের মূল ব্যাটিং ভরসা মুশফিকুর রহীম ও সাকিব আল হাসান। শেষ ম্যাচে সাকিব ব্যাটে-বলে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। কিন্তু দলের সবচেয়ে বড় ভরসা মুশফিকুর রহীম যেন নেই তার সেই ছন্দে। টেস্ট এমনকি ওয়ানডে সিরিজেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ তিনি। এমনকি ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতে ছিল তার নজিরবিহীন ব্যর্থতা। তবে প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে মুশফিকের উপর ভরসা রাখতে চান। তিনি বলেন, ‘সে দেশের সেরা ব্যাটসম্যাস হিসেবে দলে ছিল এখনও আছে। তার সময় হয়তো কিছুটা খারাপ যাচ্ছে তবে এমন নয় যে, সে ভাল করবে না। দলের হয়ে তার ৩/৪টা সেঞ্চুরি আছে।’ মুশফিক আর সাকিবের পর সাব্বির রহমান রুম্মান ও নাসির হোসেন ৬/৭ নম্বরে নিজেকে প্রমাণ করেছেন ব্যাটে ঝড় তুলে। নাসির ৩৪ ও সাব্বিরের ৪১ রান দলের স্কোর বোর্ডে ৩শ’ ছাড়াতে বড় ভূমিকা রাখে। এরপর ৮ নম্বরে মাশরাফিতো থাকছেনই। বাংলাদেশের বোলিংয়ে আজও নজর থাকবে তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের ওপর। বাংলাদেশের তরুণ দুই পেসার প্রথম ওয়ানডেতে ৭টি উইকেট ভাগাভাগি করে ধসিয়ে দেন ভারতের ব্যাটিং লাইন। তবে আজ রুবেল হোসেনের খেলা নিয়ে একটু শঙ্কা আছে। হয়তো ভারতকে আরও একবার চমকে দিতে পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনে চার পেসারের পরিবর্তে আজ বাংলাদেশ দলে খেলতে পারে তিন পেসার ও এক স্পিনার। সেক্ষেত্রে রুবেল হোসেনের পরিবর্তে স্পিনার আরাফাত সানির খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ যেমনই হোক না কেন ভারত প্রস্তুত বলে হুংকার দিয়েছেন রোহিত শর্মা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ৩ পেসার নিয়ে খেলেছে। এখানে একজন বেশি নিয়ে খেলেছে। প্রতিপক্ষ দল কি কম্বিনেশন নিয়ে খেলছে আমরা আসলে তা নিয়ে ভাবি না। আমাদের চিন্তায় থাকে আমরা কি করবো।’ তবে প্রথম ম্যাচের উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখলে আজ হয়তো দলে কোন পরিবতর্ন করবে না বাংলাদেশ।
অন্যদিকে আজ ভারত দলে একটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। পেসার মোহিত শর্মার পরিবর্তে স্টুয়ার্ট বিনি অথবা ধাওয়াল কুলকার্নি খেলতে পারেন।
No comments