তাঁরা এখন ইফতারি ব্যবসায়ী by আবদুর রশিদ
পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন গতকাল বিকেলের আগেই ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেন রাজধানীর চকবাজারের ব্যবসায়ীরা। আসতে থাকেন ক্রেতারাও l ছবি: প্রথম আলো |
গরম
তেলে পেঁয়াজু, আলুর চপ ছেড়ে দিচ্ছিলেন আখতার হোসেন। বারবার কনুই দিয়ে ঘাম
মুছছিলেন। আগে কিসের ব্যবসা করতেন?—জানতে চাইলে বললেন, ‘ভাত-পরোটার। রমজান
আসায় এক মাস ধইরা ইফতারির ব্যবসা করমু।’
গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আখতার হোসেনের মতো অনেক ব্যবসায়ী মূল ব্যবসা বাদ দিয়ে ইফতারির ব্যবসা শুরু করেছেন। রমজানজুড়ে তাঁরা এ ব্যবসা চালিয়ে যাবেন।
বেলা তিনটায় গুলশান ২ নম্বরের মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার ফুটপাতের দুটি দোকানে ইফতারসামগ্রী তৈরি হচ্ছে। এর আগে সেখানে ভাত-পরোটা বানানো হতো।
বারিধারার নতুন বাজারে ভ্যানের ওপর দোকান দিয়ে চানাচুর বিক্রি করতেন নয়ন মিয়া। এখন তিনি ইফতারির পসরা সাজিয়েছেন। এই বাজারে তাঁর মতো এমন ১২ জন মৌসুমি ইফতারি ব্যবসায়ী রয়েছেন।
উত্তর বাড্ডা বাজারে প্রতিদিন চটপটি বিক্রি করতেন মাহতাব হোসেন। তিনি বলেন, ‘দিনে ইফতারির ব্যবসা করমু, রাইতে চটপটি। রমজান আইলে প্রতিবছর এইডা করি।’
মধ্যবাড্ডায় ইমরান হাসানের দোকানের নাম লন্ডন সুইটস অ্যান্ড কনফেকশনারি। তিনিও দোকানের সামনের ফুটপাতে কাটলেট, আলুর চপ, সবজির পাকোড়া, রেশমি জিলাপির পসরা সাজিয়েছেন। ‘রোজায় মিষ্টি বিক্রি হয় না। কর্মচারীদের বসায় রাইখ্যা লাভ কী? তাগোরে দিয়া ইফতারির দোকান দিছি।’ বললেন তিনি। খিলগাঁওয়ের তালতলায় একটি মুদি দোকানের সামনে ইফতারসামগ্রী সাজাচ্ছিলেন চান মিয়া। তিনি জানান, প্রতি রমজানেই তিনি শখের বসে ইফতারির দোকান দেন। তিনি মূলত মুদি ব্যবসায়ী।
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে নতুন এক ইফতারির বাজারের দেখা মিলল। এখানে ২০-২২টি দোকান রয়েছে। বেশির ভাগই আশপাশের বিভিন্ন বিপণিবিতান থেকে এসেছে। কেউই আলু, বেগুনির চপ বানাতে জানেন না। তবে রমজানে বনে গেছেন ইফতারি ব্যবসায়ী। এখানকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী হাত উঁচিয়ে বলেন, ‘পরোটার দোকান আছিল। কর্মচারীদের নিয়া এই ফুটপাতে দোকান দিছি।’ সবকিছু কর্মচারীরা বানান। তিনি শুধু দেখভাল করেন।
পলাশী মোড়ের সবজির সঙ্গে ডিমের মিশ্রণে ‘চায়নিজ’ খুব নামকরা। এই দোকানের কর্মচারী মিজান জানান, প্রতিবছরই রমজানে বাড়তি লাভের আশায় ইফতারসামগ্রী বিক্রি করেন।
চকবাজারের ইফতারির বাজারের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। শুধু রমজানেই এখানে বাজার বসে। আশপাশের ব্যবসায়ীরা এখানে এসে ইফতারসামগ্রীর দোকান দেন। কথা হয় ব্যবসায়ী রঞ্জু খাঁর সঙ্গে। তিনি মূলত হাঁড়ি-পাতিল বিক্রি করেন। এই এক মাস কোথাও যাবেন না। ইফতারসামগ্রী বিক্রি করবেন।
মোহাম্মদপুরের বালুর মাঠে ইফতারির বাজারটি বড়সড়। চা-বিড়ি-পান বিক্রেতা হাসান দুই বন্ধুকে নিয়ে এখানে দিয়েছেন ইফতারির দোকান।
মিরপুর ১ নম্বরের টোলারবাগে রাস্তার ওপর ইফতারির দোকান দিয়েছেন আবুল খায়ের। তিনি এর আগে ফলের ব্যবসা করতেন। তিনি বলেন, ‘রোজা আইছে, তাই ইফতারির দোকান দিছি।’
মিরপুর ১০ নম্বরে আবদুল হালিম মুঠোফোনের মেকানিক। রমজানে দিয়েছেন ইফতারির দোকান। তিনি জানান, মুঠোফোন মেরামতের কারবারের চেয়ে ইফতারি বেচাকেনার ব্যবসা ভালো হবে মনে করে এই ব্যবসায় নেমেছেন।
গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আখতার হোসেনের মতো অনেক ব্যবসায়ী মূল ব্যবসা বাদ দিয়ে ইফতারির ব্যবসা শুরু করেছেন। রমজানজুড়ে তাঁরা এ ব্যবসা চালিয়ে যাবেন।
বেলা তিনটায় গুলশান ২ নম্বরের মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার ফুটপাতের দুটি দোকানে ইফতারসামগ্রী তৈরি হচ্ছে। এর আগে সেখানে ভাত-পরোটা বানানো হতো।
বারিধারার নতুন বাজারে ভ্যানের ওপর দোকান দিয়ে চানাচুর বিক্রি করতেন নয়ন মিয়া। এখন তিনি ইফতারির পসরা সাজিয়েছেন। এই বাজারে তাঁর মতো এমন ১২ জন মৌসুমি ইফতারি ব্যবসায়ী রয়েছেন।
উত্তর বাড্ডা বাজারে প্রতিদিন চটপটি বিক্রি করতেন মাহতাব হোসেন। তিনি বলেন, ‘দিনে ইফতারির ব্যবসা করমু, রাইতে চটপটি। রমজান আইলে প্রতিবছর এইডা করি।’
মধ্যবাড্ডায় ইমরান হাসানের দোকানের নাম লন্ডন সুইটস অ্যান্ড কনফেকশনারি। তিনিও দোকানের সামনের ফুটপাতে কাটলেট, আলুর চপ, সবজির পাকোড়া, রেশমি জিলাপির পসরা সাজিয়েছেন। ‘রোজায় মিষ্টি বিক্রি হয় না। কর্মচারীদের বসায় রাইখ্যা লাভ কী? তাগোরে দিয়া ইফতারির দোকান দিছি।’ বললেন তিনি। খিলগাঁওয়ের তালতলায় একটি মুদি দোকানের সামনে ইফতারসামগ্রী সাজাচ্ছিলেন চান মিয়া। তিনি জানান, প্রতি রমজানেই তিনি শখের বসে ইফতারির দোকান দেন। তিনি মূলত মুদি ব্যবসায়ী।
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে নতুন এক ইফতারির বাজারের দেখা মিলল। এখানে ২০-২২টি দোকান রয়েছে। বেশির ভাগই আশপাশের বিভিন্ন বিপণিবিতান থেকে এসেছে। কেউই আলু, বেগুনির চপ বানাতে জানেন না। তবে রমজানে বনে গেছেন ইফতারি ব্যবসায়ী। এখানকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী হাত উঁচিয়ে বলেন, ‘পরোটার দোকান আছিল। কর্মচারীদের নিয়া এই ফুটপাতে দোকান দিছি।’ সবকিছু কর্মচারীরা বানান। তিনি শুধু দেখভাল করেন।
পলাশী মোড়ের সবজির সঙ্গে ডিমের মিশ্রণে ‘চায়নিজ’ খুব নামকরা। এই দোকানের কর্মচারী মিজান জানান, প্রতিবছরই রমজানে বাড়তি লাভের আশায় ইফতারসামগ্রী বিক্রি করেন।
চকবাজারের ইফতারির বাজারের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। শুধু রমজানেই এখানে বাজার বসে। আশপাশের ব্যবসায়ীরা এখানে এসে ইফতারসামগ্রীর দোকান দেন। কথা হয় ব্যবসায়ী রঞ্জু খাঁর সঙ্গে। তিনি মূলত হাঁড়ি-পাতিল বিক্রি করেন। এই এক মাস কোথাও যাবেন না। ইফতারসামগ্রী বিক্রি করবেন।
মোহাম্মদপুরের বালুর মাঠে ইফতারির বাজারটি বড়সড়। চা-বিড়ি-পান বিক্রেতা হাসান দুই বন্ধুকে নিয়ে এখানে দিয়েছেন ইফতারির দোকান।
মিরপুর ১ নম্বরের টোলারবাগে রাস্তার ওপর ইফতারির দোকান দিয়েছেন আবুল খায়ের। তিনি এর আগে ফলের ব্যবসা করতেন। তিনি বলেন, ‘রোজা আইছে, তাই ইফতারির দোকান দিছি।’
মিরপুর ১০ নম্বরে আবদুল হালিম মুঠোফোনের মেকানিক। রমজানে দিয়েছেন ইফতারির দোকান। তিনি জানান, মুঠোফোন মেরামতের কারবারের চেয়ে ইফতারি বেচাকেনার ব্যবসা ভালো হবে মনে করে এই ব্যবসায় নেমেছেন।
No comments