মিরপুরে কলেজছাত্রী ধর্ষিত
এবার রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকায় ঢাকা সিটি কলেজের এক ছাত্রী (২০) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো, সোহেল (৩০), রকি (২২) ও নেওয়াজ শরীফ (২১)। তবে ধর্ষণের মূল হোতা সাকিব ওরফে শাওনকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। কয়েকদিন আগে খিলগাঁওয়ে পুলিশের এক নারী কনস্টেবল ও রামপুরায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর সিটি কলেজের ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলো। সূত্র জানায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় সাকিব ওরফে শাওন নামে এক পরিচিত বন্ধু ওই তরুণীকে পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ৫১১ নম্বর দোতলা বাড়ির নিচতলার একটি মেসে নিয়ে যায়। পরে সাকিব তাকে অপরিচিত এক যুবকের কাছে দিয়ে চলে যায়। অপরিচিত ওই যুবক তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার অপর দুই সহযোগী ধর্ষণের পুরো ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণের পর তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওই মেস থেকে চলে যেতে বলা হয়। পরে তরুণী মিরপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ করে। মিরপুর থানার এএসআই জাহিদ তাকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালে ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে তার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। এরপর চিকিৎসকরা তাকে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে উপস্থিত হন। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মিরপুর থানার এএসআই জাহিদ জানান, ওই তরুণী রামপুরার কবরস্থান রোডের একটি বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তিনি রাজধানীর সিটি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিন মাস আগে সাকিব নামে এক যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। মাঝে মধ্যে তাদের দেখা-সাক্ষাৎ হতো। তিনি আরও জানান, সাকিব ওই তরুণীকে হিসাববিজ্ঞানের একটি গাইড দেয়ার নাম করে শেওড়াপাড়ার ওই বাসায় নিয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী জানায়, এই ঘটনার সঙ্গে সাকিব জড়িত। তিনি সাকিবসহ সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
পুলিশের মিরপুর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) কায়েমুজ্জামান জানান, ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্র ধরে বাসায় ডেকে এনে তাকে ধর্ষণ করে। তবে ভিডিও করার অভিযোগ করা হলেও এমন কোনও চিত্র পাননি তারা। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশের মিরপুর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) কায়েমুজ্জামান জানান, ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্র ধরে বাসায় ডেকে এনে তাকে ধর্ষণ করে। তবে ভিডিও করার অভিযোগ করা হলেও এমন কোনও চিত্র পাননি তারা। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
No comments