প্রগতি সরণি- যানজট ও ভাগাড়ের ভোগান্তি by মামুনুর রশীদ
মধ্য বাড্ডার প্রগতি সরণির ওপরেই এভাবে ফেলে রাখা হয় ময়লা। এই উন্মুক্ত ভাগাড় যানজট ও দুর্ভোগের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। ছবিটি গতকাল দুপুরে তোলা l প্রথম আলো |
নগরের
অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক প্রগতি সরণির দুপাশের ফুটপাতসহ রাস্তার একটি বড় অংশ
এখন বেদখলে। ফলে সংকুচিত হয়ে আসা এই সড়কে খানিক পর পর রিকশা স্ট্যান্ড,
রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে যানবাহনে যাত্রী ওঠানো-নামানো প্রতিদিনের
যানজটের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। উপরন্তু, তীব্র যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা
আটকে থাকা অবস্থায় এই পথে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে
সড়কের যেখানে-সেখানে আবর্জনার স্তূপ এবং রাস্তার ওপরেই সিটি করপোরেশনের
একটি খোলা ভাগাড় থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধ।
গুলশান ১ নম্বর এলাকা থেকে সংযোগ সড়কটি ধরে মধ্য বাড্ডা মোড়ে পৌঁছে একটু বাঁয়ে এগোলেই খোলা ভাগাড়টি চোখে পড়ে। এখানে মূল রাস্তার প্রায় অর্ধেকটা জুড়েই ময়লা-আবর্জনা স্তূপ করা অবস্থায় রাখা আছে। যানবাহনের চাকার সঙ্গে লেগে সেই ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি ছড়িয়ে পড়ছে বহুদূর পর্যন্ত।
এই পথে নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রী একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত আসিফুর রহমান বললেন, প্রতিদিন এই অংশটুকু পার হতে তাঁর অন্তত আধা ঘণ্টা সময় লাগে। এই সময়ে প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে তীব্র দুর্গন্ধে অনেককে অসুস্থ হয়ে পড়তেও দেখেছেন তিনি।
পথচলতি আরেকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লতিফ শেখ জানালেন, ভাগাড় থেকে একটু দূরেই তাঁর একটি মুদিদোকান আছে। সেখানে সারা দিন কাটানোর পর এই দুর্গন্ধের কারণে তাঁর খাওয়ার রুচি থাকে না। এ ছাড়া সারা দিনের বিভিন্ন সময়ে সিটি করপোরেশনের যে ট্রাকগুলো এখান থেকে ময়লা সংগ্রহ করে, সেগুলোর কারণে যানজটের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়।
গতকাল বেলা তিনটার পর মধ্য বাড্ডায় ভাগাড়ের অংশটুকু পার হয়ে উত্তর বাড্ডা ছাড়িয়ে শাহাজাদপুর পর্যন্ত পৌঁছাতে এ অঞ্চলে যানজটের আরও কয়েকটি কারণ চোখে পড়ল। প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ হেঁটে দেখা গেল, মূল রাস্তার সঙ্গে আশপাশের যে সংযোগ সড়কগুলো রয়েছে, তার প্রায় প্রতিটির মুখে একটি করে রিকশা স্ট্যান্ড, যার সংখ্যা অন্তত ১৬টি। এসব স্ট্যান্ডের রিকশাগুলো মূল রাস্তার বেশ খানিকটা অংশজুড়ে একটি জটলা তৈরি করেছে। এতে চলাচলকারী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও হিউম্যান হলারগুলোর এই জায়গাগুলো পার হতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। অনেক জায়গায় রাস্তার ওপরেই চোখে পড়ল অস্থায়ী টং দোকান, মৌসুমি ফলের আড়ত এবং ভবন নির্মাণের জন্য রাখা ইট-বালুর স্তূপ।
কর্মদিবসগুলোতে হকার এবং রাস্তা-সংলগ্ন দোকানগুলোর গাড়ি দিয়ে বেদখল হওয়া ফুটপাতের কারণে পথচারীরা মূল সড়ক ধরে হাঁটতে বাধ্য হন বলে জানালেন এলাকার কয়েকজন। যানজট বাড়ার ক্ষেত্রে এটিও একটি কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, রাতে পণ্যবাহী ট্রাক এবং সড়কের পাশে থাকা বিভিন্ন গার্মেন্টসের পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানগুলোও যানজট তৈরির জন্য অনেকাংশে দায়ী।
এই রুটে চলাচলকারী উইনার পরিবহনের একটি বাসের সহকারী আবদুল হালিমের ভাষ্য, ‘দিন-রাইত যাই হোক, এই রাস্তায় জামের (জ্যাম) কামাই (বিরতি) নাই। জাম হইবোই।’
এলাকাবাসীর মতে, এই সড়ক থেকে যানজট নির্মূলের একমাত্র উপায় হচ্ছে রাস্তা ও ফুটপাত থেকে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রাস্তার পরিসর বাড়ানো। সেই সঙ্গে তাঁদের আকুতি, যেভাবেই হোক রাস্তার ওপর থেকে ময়লার ভাগাড়টি যেন সরিয়ে নেয় সিটি করপোরেশন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকায় এ রকম অন্তত ৮০টি উন্মুক্ত ভাগাড় আছে, যা অনেক মানুষের দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে। এ সমস্যার স্থায়ী একটি সমাধানের জন্য যত দ্রুত সম্ভব ৩৬টি ওয়ার্ডে নতুন ৬০টি স্থায়ী বর্জ্য ফেলার জায়গা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সিটি করপোরেশনের। এর জন্য জোর তৎপরতা চলছে।
গুলশান ১ নম্বর এলাকা থেকে সংযোগ সড়কটি ধরে মধ্য বাড্ডা মোড়ে পৌঁছে একটু বাঁয়ে এগোলেই খোলা ভাগাড়টি চোখে পড়ে। এখানে মূল রাস্তার প্রায় অর্ধেকটা জুড়েই ময়লা-আবর্জনা স্তূপ করা অবস্থায় রাখা আছে। যানবাহনের চাকার সঙ্গে লেগে সেই ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি ছড়িয়ে পড়ছে বহুদূর পর্যন্ত।
এই পথে নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রী একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত আসিফুর রহমান বললেন, প্রতিদিন এই অংশটুকু পার হতে তাঁর অন্তত আধা ঘণ্টা সময় লাগে। এই সময়ে প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে তীব্র দুর্গন্ধে অনেককে অসুস্থ হয়ে পড়তেও দেখেছেন তিনি।
পথচলতি আরেকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লতিফ শেখ জানালেন, ভাগাড় থেকে একটু দূরেই তাঁর একটি মুদিদোকান আছে। সেখানে সারা দিন কাটানোর পর এই দুর্গন্ধের কারণে তাঁর খাওয়ার রুচি থাকে না। এ ছাড়া সারা দিনের বিভিন্ন সময়ে সিটি করপোরেশনের যে ট্রাকগুলো এখান থেকে ময়লা সংগ্রহ করে, সেগুলোর কারণে যানজটের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়।
গতকাল বেলা তিনটার পর মধ্য বাড্ডায় ভাগাড়ের অংশটুকু পার হয়ে উত্তর বাড্ডা ছাড়িয়ে শাহাজাদপুর পর্যন্ত পৌঁছাতে এ অঞ্চলে যানজটের আরও কয়েকটি কারণ চোখে পড়ল। প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ হেঁটে দেখা গেল, মূল রাস্তার সঙ্গে আশপাশের যে সংযোগ সড়কগুলো রয়েছে, তার প্রায় প্রতিটির মুখে একটি করে রিকশা স্ট্যান্ড, যার সংখ্যা অন্তত ১৬টি। এসব স্ট্যান্ডের রিকশাগুলো মূল রাস্তার বেশ খানিকটা অংশজুড়ে একটি জটলা তৈরি করেছে। এতে চলাচলকারী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও হিউম্যান হলারগুলোর এই জায়গাগুলো পার হতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। অনেক জায়গায় রাস্তার ওপরেই চোখে পড়ল অস্থায়ী টং দোকান, মৌসুমি ফলের আড়ত এবং ভবন নির্মাণের জন্য রাখা ইট-বালুর স্তূপ।
কর্মদিবসগুলোতে হকার এবং রাস্তা-সংলগ্ন দোকানগুলোর গাড়ি দিয়ে বেদখল হওয়া ফুটপাতের কারণে পথচারীরা মূল সড়ক ধরে হাঁটতে বাধ্য হন বলে জানালেন এলাকার কয়েকজন। যানজট বাড়ার ক্ষেত্রে এটিও একটি কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, রাতে পণ্যবাহী ট্রাক এবং সড়কের পাশে থাকা বিভিন্ন গার্মেন্টসের পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানগুলোও যানজট তৈরির জন্য অনেকাংশে দায়ী।
এই রুটে চলাচলকারী উইনার পরিবহনের একটি বাসের সহকারী আবদুল হালিমের ভাষ্য, ‘দিন-রাইত যাই হোক, এই রাস্তায় জামের (জ্যাম) কামাই (বিরতি) নাই। জাম হইবোই।’
এলাকাবাসীর মতে, এই সড়ক থেকে যানজট নির্মূলের একমাত্র উপায় হচ্ছে রাস্তা ও ফুটপাত থেকে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রাস্তার পরিসর বাড়ানো। সেই সঙ্গে তাঁদের আকুতি, যেভাবেই হোক রাস্তার ওপর থেকে ময়লার ভাগাড়টি যেন সরিয়ে নেয় সিটি করপোরেশন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকায় এ রকম অন্তত ৮০টি উন্মুক্ত ভাগাড় আছে, যা অনেক মানুষের দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে। এ সমস্যার স্থায়ী একটি সমাধানের জন্য যত দ্রুত সম্ভব ৩৬টি ওয়ার্ডে নতুন ৬০টি স্থায়ী বর্জ্য ফেলার জায়গা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সিটি করপোরেশনের। এর জন্য জোর তৎপরতা চলছে।
No comments