যুক্তরাষ্ট্রে গির্জায় বর্ণবাদী হামলা- প্রকাশ্য হলো পুরোনো ক্ষত
যুক্তরাষ্ট্রের
সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের চার্লসটন শহরে কৃষ্ণাঙ্গদের একটি গির্জায়
হামলার ঘটনার মধ্য দিয়ে মার্কিন ইতিহাসের পুরোনো ক্ষতগুলো আবার সামনে চলে
এসেছে। বর্ণবাদ বৈষম্যের শিকার কালো মানুষেরা মার্কিন ভূখণ্ডে বহু আগে
থেকেই শ্বেতাঙ্গদের নিগ্রহের শিকার। তবে ষাটের দশকে নাগরিক অধিকার
আন্দোলনের পর থেকে দেশটির এসব ক্ষত কিছুটা আড়াল হয়েছিল। খবর এএফপি,
রয়টার্স ও বিবিসির।
সমঅধিকারের জন্য কালো মানুষদের সংগ্রাম কেবলই একটি সামাজিক বিপ্লব নয়। অনেকের জন্য এটি একটি ধর্মযুদ্ধের মতো। চার্লসটনের গির্জাটিকে কেন্দ্র করেই সেই লড়াই পরিচালিত হতো। নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সময় কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন গির্জা থেকে তখন ঐক্যের প্রেরণা নিয়ে রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হতো। তা ছাড়া বর্ণবৈষম্যের শিকার মানুষজন এসব গির্জায় গিয়ে মানসিক প্রশান্তিও পেতেন। হামলা এড়াতে সেখানকার দরজা কখনো কখনো দৃঢ়ভাবে বন্ধ রাখা হতো। এসব কারণেই চার্লসটনের সাম্প্রতিক হামলাটি অত্যন্ত জঘন্য ও বেদনাদায়ক, বিশেষ করে কালো মানুষদের জন্য। এই আঘাত ইতিহাসের অনেক পুরোনো আঘাত নতুন করে উন্মোচন করেছে। সর্বশেষ এ রকম হামলা হয়েছিল ১৯৬৩ সালে। আলাবামা অঙ্গরাজ্যের বার্মিংহাম শহরে এক রোববার সকালে শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদীরা বোমা মেরেছিল।
চার্লসটনের এমানুয়েল আফ্রিকান মেথডিস্ট এপিস্কোপাল চার্চে গত বুধবার সন্ধ্যায় প্রার্থনারত নয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন শ্বেতাঙ্গ তরুণ ডিলান রুফকে পার্শ্ববর্তী নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্য থেকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ডিলান রুফ: নয়জনকে হত্যার অভিযোগে ডিলান রুফকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, জাতিগত লড়াই শুরু করায় উসকানি দিতে চেয়েছিলেন রুফ। জাতিগত বিদ্বেষ থেকেই ওই হামলা চালানো হয়েছিল বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। গুলি চালানোর আগে প্রার্থনাকারীদের সঙ্গে এক ঘণ্টা গির্জায় ছিলেন রুফ। তাঁর এক আত্মীয় বলেছেন, গত এপ্রিলে জন্মদিনের উপহার হিসেবে বাবার দেওয়া বন্দুকটিই (পয়েন্ট ফোর ফাইভ-ক্যালিবার) হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করেন রুফ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত বৃত্তান্ত বলছে, তিনি শ্বেতাঙ্গদের প্রভুত্ব নিয়ে মোহাবিষ্ট মানুষ। তবে ফেসবুকে তাঁর বেশ কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ বন্ধুকে দেখা যায়।
সমঅধিকারের জন্য কালো মানুষদের সংগ্রাম কেবলই একটি সামাজিক বিপ্লব নয়। অনেকের জন্য এটি একটি ধর্মযুদ্ধের মতো। চার্লসটনের গির্জাটিকে কেন্দ্র করেই সেই লড়াই পরিচালিত হতো। নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সময় কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন গির্জা থেকে তখন ঐক্যের প্রেরণা নিয়ে রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হতো। তা ছাড়া বর্ণবৈষম্যের শিকার মানুষজন এসব গির্জায় গিয়ে মানসিক প্রশান্তিও পেতেন। হামলা এড়াতে সেখানকার দরজা কখনো কখনো দৃঢ়ভাবে বন্ধ রাখা হতো। এসব কারণেই চার্লসটনের সাম্প্রতিক হামলাটি অত্যন্ত জঘন্য ও বেদনাদায়ক, বিশেষ করে কালো মানুষদের জন্য। এই আঘাত ইতিহাসের অনেক পুরোনো আঘাত নতুন করে উন্মোচন করেছে। সর্বশেষ এ রকম হামলা হয়েছিল ১৯৬৩ সালে। আলাবামা অঙ্গরাজ্যের বার্মিংহাম শহরে এক রোববার সকালে শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদীরা বোমা মেরেছিল।
চার্লসটনের এমানুয়েল আফ্রিকান মেথডিস্ট এপিস্কোপাল চার্চে গত বুধবার সন্ধ্যায় প্রার্থনারত নয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন শ্বেতাঙ্গ তরুণ ডিলান রুফকে পার্শ্ববর্তী নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্য থেকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ডিলান রুফ: নয়জনকে হত্যার অভিযোগে ডিলান রুফকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, জাতিগত লড়াই শুরু করায় উসকানি দিতে চেয়েছিলেন রুফ। জাতিগত বিদ্বেষ থেকেই ওই হামলা চালানো হয়েছিল বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। গুলি চালানোর আগে প্রার্থনাকারীদের সঙ্গে এক ঘণ্টা গির্জায় ছিলেন রুফ। তাঁর এক আত্মীয় বলেছেন, গত এপ্রিলে জন্মদিনের উপহার হিসেবে বাবার দেওয়া বন্দুকটিই (পয়েন্ট ফোর ফাইভ-ক্যালিবার) হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করেন রুফ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত বৃত্তান্ত বলছে, তিনি শ্বেতাঙ্গদের প্রভুত্ব নিয়ে মোহাবিষ্ট মানুষ। তবে ফেসবুকে তাঁর বেশ কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ বন্ধুকে দেখা যায়।
No comments