সাড়ে ৩০০০ কোটি টাকার নতুন উড়াল সেতু নিয়ে প্রশ্ন by মহিউদ্দীন জুয়েল
যানজট নিরসনের জন্য তৈরি করা হলেও আদৌ চট্টগ্রামে কোন কাজে আসছে না কোটি টাকার ফ্লাইওভারগুলো। বরং উল্টো বেড়েছে দুর্ভোগ। ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। একের পর এক ফ্লাইওভার নির্মাণের পর সর্বশেষ সাড়ে ৩০০০ কোটি টাকার আরেকটি উড়াল সেতুর কাজ শুরু হওয়ায় এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নগর বিশেষজ্ঞরা।
তারা জানিয়েছেন, নগরকে যানজট মুক্ত করতে দুটি ফ্লাইওভার ইতিমধ্যে নির্মাণ করা হলেও সেগুলোর কোন সুফল পাচ্ছেন না নগরবাসী। সঠিক কোন পরিকল্পনা না থাকায় ফ্লাইওভারগুলোর কারণে অনেক জায়গায় যানজট বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি। কেবল তাই নয়, গত কয়েক বছর ধরে এসব উড়াল সেতুর নির্মাণের জন্য নাকাল হতে হচ্ছে ৬০ লাখ নগরীর মানুষকে। এমন অবস্থায় নতুন করে ফ্লাইওভার তৈরির ব্যাপারে মতামত যাচাইয়ের কথা বলেছেন অনেকে। সবক’টি সেতুই নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা সিডিএ।
সরজমিন দেখা যায়, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার ও দেওয়ানহাট উড়াল সেতুর কারণে ওই এলাকায় যানজটের কোন পরিবর্তন হয়নি। এই রমজান মওসুমে তা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই দুটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। অন্যদিকে আরও দুটি ফ্লাইওভারের কাজ চলছে। এর একটি প্রায় শেষের দিকে। সেটি হলো ৫০ কোটি টাকার কদমতলী ফ্লাইওভারের কাজ। নতুন করে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মুরাদপুরে নির্মাণ করা হচ্ছে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার।
বিশেষজ্ঞরা জানান, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারটি দ্রুত নির্মাণ করতে গিয়ে এর বেশ কয়েকটি বড় পিলার ধসে পড়ে নিহতের ঘটনায় জনমনে এখনও উদ্বেগ রয়েছে। কেবল তাই নয়, সেখানকার বেশ কয়েকটি গার্ডারে আবার বড় ধরনের ফাটল তৈরি হওয়ার পর চলাচলে আশংকা প্রকাশ করেছেন গাড়ি চালকরাও। নতুন ফ্লাইওভার নির্মাণের সময় বন্দর ও ইপিজেড এলাকায় প্রয়োজনীয় লুপ রাখার পরামর্শ দেন অনেকে। না হলে তা কোন কাজে আসার সুযোগ নেই বলে অভিমত তাদের।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র জানায়, এক সময় ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত আক্তারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার নির্মাণের কথা ছিলো। পরবর্তীতে সেগুলোর ব্যয় আরও ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়। এই বিষয়ে জানতে চাইলে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম মানবজমিনের সঙ্গে আলাপকালে ফ্লাইওভারগুলো একসময় নগরবাসীর উপকারে আসবে বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যেভাবে যানজট বাড়ছে তাতে উড়াল সেতুর কোন বিকল্প নেই। পুরো শহরকে এই কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। বিশেষ করে বন্দর ও ইপিজেড এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।
আবদুচ ছালাম এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শেষ করা যায়। তিনি প্ল্যান করেই নগরকে উড়াল সেতুর আওতায় নিয়ে এসেছেন বলে উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে তার এই কথায় ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, পুরো শহরকে ঢেকে ফেলা হয়েছে। ফ্লাইওভারগুলোর কারণে ঢাকা পড়েছে এই নগরীর সৌন্দর্য্য। যানজটতো নিরসন হয়নি, বরং সেখানে গিয়ে দেখা যাবে আশপাশে গাড়িচালকদের দুর্ভোগ। মানুষের ভোগান্তি।
নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, আমি মনে করি সুষ্ঠু সায়েন্টিফিক ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ছাড়া এগুলোকে কাজে লাগানোর কোন সুযোগ নেই। এক হিসেবে বলা যায়, অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম বন্দরের একটি সূত্র জানায়, বন্দরের অর্থায়নে মুরাদপুরে নির্মিত নতুন ফ্লাইওভারটি শেষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু তহবিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় সিডিএ’র চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে গেলে বন্দরকে এই মুহূর্তে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হবে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, নগরকে যানজট মুক্ত করতে দুটি ফ্লাইওভার ইতিমধ্যে নির্মাণ করা হলেও সেগুলোর কোন সুফল পাচ্ছেন না নগরবাসী। সঠিক কোন পরিকল্পনা না থাকায় ফ্লাইওভারগুলোর কারণে অনেক জায়গায় যানজট বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি। কেবল তাই নয়, গত কয়েক বছর ধরে এসব উড়াল সেতুর নির্মাণের জন্য নাকাল হতে হচ্ছে ৬০ লাখ নগরীর মানুষকে। এমন অবস্থায় নতুন করে ফ্লাইওভার তৈরির ব্যাপারে মতামত যাচাইয়ের কথা বলেছেন অনেকে। সবক’টি সেতুই নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা সিডিএ।
সরজমিন দেখা যায়, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার ও দেওয়ানহাট উড়াল সেতুর কারণে ওই এলাকায় যানজটের কোন পরিবর্তন হয়নি। এই রমজান মওসুমে তা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই দুটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। অন্যদিকে আরও দুটি ফ্লাইওভারের কাজ চলছে। এর একটি প্রায় শেষের দিকে। সেটি হলো ৫০ কোটি টাকার কদমতলী ফ্লাইওভারের কাজ। নতুন করে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মুরাদপুরে নির্মাণ করা হচ্ছে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার।
বিশেষজ্ঞরা জানান, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারটি দ্রুত নির্মাণ করতে গিয়ে এর বেশ কয়েকটি বড় পিলার ধসে পড়ে নিহতের ঘটনায় জনমনে এখনও উদ্বেগ রয়েছে। কেবল তাই নয়, সেখানকার বেশ কয়েকটি গার্ডারে আবার বড় ধরনের ফাটল তৈরি হওয়ার পর চলাচলে আশংকা প্রকাশ করেছেন গাড়ি চালকরাও। নতুন ফ্লাইওভার নির্মাণের সময় বন্দর ও ইপিজেড এলাকায় প্রয়োজনীয় লুপ রাখার পরামর্শ দেন অনেকে। না হলে তা কোন কাজে আসার সুযোগ নেই বলে অভিমত তাদের।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র জানায়, এক সময় ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত আক্তারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার নির্মাণের কথা ছিলো। পরবর্তীতে সেগুলোর ব্যয় আরও ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়। এই বিষয়ে জানতে চাইলে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম মানবজমিনের সঙ্গে আলাপকালে ফ্লাইওভারগুলো একসময় নগরবাসীর উপকারে আসবে বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যেভাবে যানজট বাড়ছে তাতে উড়াল সেতুর কোন বিকল্প নেই। পুরো শহরকে এই কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। বিশেষ করে বন্দর ও ইপিজেড এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।
আবদুচ ছালাম এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শেষ করা যায়। তিনি প্ল্যান করেই নগরকে উড়াল সেতুর আওতায় নিয়ে এসেছেন বলে উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে তার এই কথায় ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, পুরো শহরকে ঢেকে ফেলা হয়েছে। ফ্লাইওভারগুলোর কারণে ঢাকা পড়েছে এই নগরীর সৌন্দর্য্য। যানজটতো নিরসন হয়নি, বরং সেখানে গিয়ে দেখা যাবে আশপাশে গাড়িচালকদের দুর্ভোগ। মানুষের ভোগান্তি।
নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, আমি মনে করি সুষ্ঠু সায়েন্টিফিক ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ছাড়া এগুলোকে কাজে লাগানোর কোন সুযোগ নেই। এক হিসেবে বলা যায়, অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম বন্দরের একটি সূত্র জানায়, বন্দরের অর্থায়নে মুরাদপুরে নির্মিত নতুন ফ্লাইওভারটি শেষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু তহবিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় সিডিএ’র চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে গেলে বন্দরকে এই মুহূর্তে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হবে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
No comments