বিলুপ্তির ষষ্ঠ পর্যায়ে পৃথিবী!
বিলুপ্তির ষষ্ঠ পর্যায়ে পা দিয়েছে পৃথিবী। এই বিলুপ্তি পর্যায়ের প্রথম শিকার হচ্ছে মানুষসহ বিভিন্ন মেরুদণ্ডী প্রাণী। অতীতে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মানুবর্তিতা অনুযায়ী যে হারে প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে বর্তমানে তার চেয়ে প্রায় ১০০ গুণ বেশি গতিতে বিভিন্ন প্রজাতি বিলুপ্ত হচ্ছে।
এই গতির রাশ টেনে ধরা না গেলে অতীতের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসবে। লুপ্ত হবে মনুষ্য সভ্যতা।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথভাবে গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে। আজ শনিবার বিবিসির খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, প্রায় সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে প্রকাণ্ড উল্কা পতনে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয় পৃথিবী থেকে। সেটি ছিল পৃথিবী বিলুপ্তির পঞ্চম পর্যায়। সে সময়েও এত দ্রুত গতিতে কোনো প্রাণী বিলুপ্ত হয়নি।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক ও গবেষণাপত্রটির সহকারি রচয়িতা পল এলরিচ বলেন, ‘কোনো রকম সন্দেহ ছাড়াই বলা যায় আমরা এখন বিলুপ্তি ষষ্ঠ পর্যায়ে পদার্পণ করেছি। তিনি বলেন, বর্তমানে এমন অনেক প্রাণী আছে যারা আসলে মৃত্যু পথযাত্রী।’
সায়েন্স অ্যাডভান্স নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটিতে জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ এবং বন ধ্বংস করাকে বিলুপ্তির কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। গবেষণাপত্রটির প্রধান রচয়িতা ও অটোনোমা দো মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের জেরার্ডো সিবালোস বলেন, ‘যদি এভাবে চলতে থাকে তবে, কয়েক মিলিয়ন বছর লাগবে হারিয়ে যাওয়া জীবনগুলো পুনরুদ্ধার করতে। এবং আমাদের প্রজাতিটিই সবার আগে হারিয়ে যাবে।’
গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়েছে হারিয়ে যাওয়া মেরুদণ্ডী প্রাণী, ব্যাঙ, সরীসৃপ, বাঘের ফসিলের যে নমুনা এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক তথ্য আছে তা বিশ্লেষণ করে। তবে যেহেতু পৃথিবীর সাড়ে চার শ কোটি বছরের ইতিহাসে কীভাবে, কী পরিমাণ প্রাণী বিলুপ্তি ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে খুব একটা তথ্য নেই; তাই এ ক্ষেত্রে গবেষকেরা রক্ষণশীল নীতি অনুসরণ করেছেন।
গবেষণায় পাওয়া গেছে, পৃথিবীতে মানুষের আধিপত্যের আগে প্রাকৃতিকভাবে যে হারে প্রাণী বিলুপ্ত হতো বর্তমানের বিলুপ্তির হারটাও তার সমান। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন টু ন্যাচারের মতে, প্রায় ৪১ শতাংশ উভচর প্রাণী এবং ২৬ শতাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণী বর্তমানে বিলুপ্তির হুমকিতে আছে।
গবেষণায় বলা হয় যে সকল প্রাণী বর্তমানে হুমকির সম্মুখীন আছে তাদের রক্ষার্থে দ্রুত এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও অধিক অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য প্রাণীগুলোর আবাসস্থল হুমকির সম্মুখীন হয় এবং তাদের জনসংখ্যার ওপর কোনোরূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এই গতির রাশ টেনে ধরা না গেলে অতীতের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসবে। লুপ্ত হবে মনুষ্য সভ্যতা।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথভাবে গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে। আজ শনিবার বিবিসির খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, প্রায় সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে প্রকাণ্ড উল্কা পতনে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয় পৃথিবী থেকে। সেটি ছিল পৃথিবী বিলুপ্তির পঞ্চম পর্যায়। সে সময়েও এত দ্রুত গতিতে কোনো প্রাণী বিলুপ্ত হয়নি।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক ও গবেষণাপত্রটির সহকারি রচয়িতা পল এলরিচ বলেন, ‘কোনো রকম সন্দেহ ছাড়াই বলা যায় আমরা এখন বিলুপ্তি ষষ্ঠ পর্যায়ে পদার্পণ করেছি। তিনি বলেন, বর্তমানে এমন অনেক প্রাণী আছে যারা আসলে মৃত্যু পথযাত্রী।’
সায়েন্স অ্যাডভান্স নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটিতে জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ এবং বন ধ্বংস করাকে বিলুপ্তির কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। গবেষণাপত্রটির প্রধান রচয়িতা ও অটোনোমা দো মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের জেরার্ডো সিবালোস বলেন, ‘যদি এভাবে চলতে থাকে তবে, কয়েক মিলিয়ন বছর লাগবে হারিয়ে যাওয়া জীবনগুলো পুনরুদ্ধার করতে। এবং আমাদের প্রজাতিটিই সবার আগে হারিয়ে যাবে।’
গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়েছে হারিয়ে যাওয়া মেরুদণ্ডী প্রাণী, ব্যাঙ, সরীসৃপ, বাঘের ফসিলের যে নমুনা এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক তথ্য আছে তা বিশ্লেষণ করে। তবে যেহেতু পৃথিবীর সাড়ে চার শ কোটি বছরের ইতিহাসে কীভাবে, কী পরিমাণ প্রাণী বিলুপ্তি ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে খুব একটা তথ্য নেই; তাই এ ক্ষেত্রে গবেষকেরা রক্ষণশীল নীতি অনুসরণ করেছেন।
গবেষণায় পাওয়া গেছে, পৃথিবীতে মানুষের আধিপত্যের আগে প্রাকৃতিকভাবে যে হারে প্রাণী বিলুপ্ত হতো বর্তমানের বিলুপ্তির হারটাও তার সমান। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন টু ন্যাচারের মতে, প্রায় ৪১ শতাংশ উভচর প্রাণী এবং ২৬ শতাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণী বর্তমানে বিলুপ্তির হুমকিতে আছে।
গবেষণায় বলা হয় যে সকল প্রাণী বর্তমানে হুমকির সম্মুখীন আছে তাদের রক্ষার্থে দ্রুত এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও অধিক অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য প্রাণীগুলোর আবাসস্থল হুমকির সম্মুখীন হয় এবং তাদের জনসংখ্যার ওপর কোনোরূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
No comments