‘বাংলাদেশের বিপক্ষে ইচ্ছা করে হেরেছে ভারত’!
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য সরফরাজের। ফাইল ছবি |
ষড়যন্ত্র!
বাংলাদেশের কাছে ইচ্ছে করে হেরেছে ভারত! পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
থেকে ছিটকে দিতে বিরাট ষড়যন্ত্র হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে! এ কী বললেন
সরফরাজ নেওয়াজ! তাহলে মুস্তাফিজুর রহমানের হিরোন্ময় অভিষেক, তাসকিন
আহমেদের দারুণ বোলিং, সৌম্য সরকারের চোখজুড়োনো ইনিংস—সব মিথ্যে?
অবশ্য সরফরাজ সব সময়ই এমন আলটপকা মন্তব্য করেই আলোচিত হয়েছেন। পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘দুনিয়া নিউজে’র অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করলেন সরফরাজ। গতকাল ওই টিভির এক অনুষ্ঠানে সরফরাজের কাছে উপস্থাপক বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে মন্তব্য জানতে চান। ৫৫ টেস্টে ১৭৭ উইকেট নেওয়া সরফরাজ উপস্থাপকদের টেলিফোনে জানান তাঁর অভিমত।
সরফরাজের মতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশকে সুযোগ দিতে ইচ্ছে করে ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছে ভারত! অনুষ্ঠানের এক উপস্থাপক সরফরাজকে জিজ্ঞেস করেন, ‘এখানে আরও একটি বিষয় আছে। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছে ৭৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে ভারত। পাকিস্তান যেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে (২০১৭ সালে) অংশ নিতে না পারে, এ কারণেই ষড়যন্ত্র মূলকভাবে বাংলাদেশকে ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছে ভারত। সরফরাজ সাহেব, আপনার কী মনে হয়? বাংলাদেশ কি আগের চেয়ে বেশি ভালো খেলছে, না কি ভারত এর মধ্যে কিছু যুক্ত করেছে। এটা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র নয় তো?’
জবাবে সরফরাজ বলেন, ‘ষড়যন্ত্র তো অবশ্যই আছে। ভারত কখনোই চায় না, পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলুক। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ-ভারতের প্রধানমন্ত্রীর যে বৈঠক হয়েছে, মোদি যেভাবে পাকিস্তানের বিপক্ষে কথা বলেছেন, এ থেকে বোঝা যায় ভারত চেষ্টা করেছে পাকিস্তান যেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বাদ পড়ে। তাই প্রথম ম্যাচে জয় তাদের (বাংলাদেশ) পাতে তুলে দিয়ে দিয়েছে।’
অবশ্য গত ম্যাচে ভারতকে হারানোর পর সমীকরণটা তুলনামূলক সহজ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছয় ওয়ানডের দুটিতেই জিতলেই ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলা নিশ্চিত। আর বাংলাদেশ এ টুর্নামেন্টে সুযোগ পেলে কপাল পুড়বে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেকোনো একটি দলের।
এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ওয়ানডে সিরিজ নেই। কাজেই নজর থাকতে হবে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের ওয়ানডে সিরিজগুলোর দিকে। এ সময়ে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে খেলবে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এই ছয় ম্যাচের দুটি জিতলেই চলবে বাংলাদেশের। ওদিকে পাকিস্তান ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততে হবে অন্তত ৩-২ ব্যবধানে। সে ক্ষেত্রে বাদ পড়বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এই যখন অবস্থা, স্বাভাবিকভাবেই গভীর চিন্তায় পাকিস্তান ক্রিকেট। কিন্তু তাই বলে সরফরাজের দাবিটা তো যৌক্তিকও হতে হবে। উপস্থাপক অবশ্য সরফরাজকে মনে করিয়ে দিলেন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে দারুণ উন্নতি করছে, ‘তারা কিন্তু নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে, পাকিস্তানকে হারিয়েছে। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে দলের কথা বললে তাদের উন্নতির কথা বলতে হবে। তাহলে একে কেন ‘‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব’’ বলবেন? নাকি সত্যিই মনে করেন যে বাংলাদেশ সত্যি উন্নতি করছে?’
জবাবে সরফরাজ বলেন, ‘পাকিস্তানের সেই সফরের কথা যদি বলা হয়, দল নির্বাচন ঠিক ছিল না। তা ছাড়া অধিনায়ক করা হয়েছিল এক জুনিয়র খেলোয়াড়কে। কোচ ওয়াকার ইউনিস কিছু ভালো খেলোয়াড়কেও সিরিজ থেকে বাদ দেয়। উমর আকমল, আহমেদ শেহজাদ দলের বাইরে ছিল। এ বিষয়গুলোও তো দেখতে হবে।’
এ ছাড়া জুয়া মাফিয়াদের কথাও উল্লেখ করেন সরফরাজ। নইলে পাকিস্তান নাকি বাংলাদেশের বিপক্ষে ধবলধোলাই হতো না! অন্তত একটা ম্যাচ জিতে ফিরত।
সরফরাজের উল্টোপাল্টা মন্তব্য নতুন নয়। বিস্ফোরক মন্তব্য পাওয়ার আশায় পাকিস্তানি সাংবাদিকেরাও যেন তাঁকেই খুঁজে পেতে বের করেন। এই তো কমাস আগে তিনি একই টিভির অনুষ্ঠানে শহীদ আফ্রিদির ব্যাটিংকে ‘চায়না মোবাইল’ বলেছিলেন।
সম্প্রতি নিজাম শেঠিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে পড়েছেন আরেক ঝামেলায়। লাহোরের আদালতে মানহানির মামলার পর আজ স্থগিত আদেশ (স্টে-অর্ডার) পেয়েছেন। এ ছাড়া অনেক আগে থেকেই তিনি পাকিস্তানের বিভিন্ন পরাজয়ের নেপথ্য কারণ হিসেবে পাতানো খেলার গন্ধ আবিষ্কার করেছেন। কিন্তু কোনো অভিযোগের সপক্ষেই তিনি জুতসই কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তান হেরে যাওয়ার পর সরফরাজ পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি এই ‘পাতানো’ খেলার মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ইমরান খান ও সহ-অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদকে!
সরফরাজের বেফাঁস কথা বলার ইতিহাসটা অনেক পুরোনোই।
অবশ্য সরফরাজ সব সময়ই এমন আলটপকা মন্তব্য করেই আলোচিত হয়েছেন। পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘দুনিয়া নিউজে’র অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করলেন সরফরাজ। গতকাল ওই টিভির এক অনুষ্ঠানে সরফরাজের কাছে উপস্থাপক বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে মন্তব্য জানতে চান। ৫৫ টেস্টে ১৭৭ উইকেট নেওয়া সরফরাজ উপস্থাপকদের টেলিফোনে জানান তাঁর অভিমত।
সরফরাজের মতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশকে সুযোগ দিতে ইচ্ছে করে ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছে ভারত! অনুষ্ঠানের এক উপস্থাপক সরফরাজকে জিজ্ঞেস করেন, ‘এখানে আরও একটি বিষয় আছে। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছে ৭৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে ভারত। পাকিস্তান যেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে (২০১৭ সালে) অংশ নিতে না পারে, এ কারণেই ষড়যন্ত্র মূলকভাবে বাংলাদেশকে ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছে ভারত। সরফরাজ সাহেব, আপনার কী মনে হয়? বাংলাদেশ কি আগের চেয়ে বেশি ভালো খেলছে, না কি ভারত এর মধ্যে কিছু যুক্ত করেছে। এটা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র নয় তো?’
জবাবে সরফরাজ বলেন, ‘ষড়যন্ত্র তো অবশ্যই আছে। ভারত কখনোই চায় না, পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলুক। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ-ভারতের প্রধানমন্ত্রীর যে বৈঠক হয়েছে, মোদি যেভাবে পাকিস্তানের বিপক্ষে কথা বলেছেন, এ থেকে বোঝা যায় ভারত চেষ্টা করেছে পাকিস্তান যেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বাদ পড়ে। তাই প্রথম ম্যাচে জয় তাদের (বাংলাদেশ) পাতে তুলে দিয়ে দিয়েছে।’
অবশ্য গত ম্যাচে ভারতকে হারানোর পর সমীকরণটা তুলনামূলক সহজ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছয় ওয়ানডের দুটিতেই জিতলেই ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলা নিশ্চিত। আর বাংলাদেশ এ টুর্নামেন্টে সুযোগ পেলে কপাল পুড়বে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেকোনো একটি দলের।
এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ওয়ানডে সিরিজ নেই। কাজেই নজর থাকতে হবে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের ওয়ানডে সিরিজগুলোর দিকে। এ সময়ে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে খেলবে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এই ছয় ম্যাচের দুটি জিতলেই চলবে বাংলাদেশের। ওদিকে পাকিস্তান ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততে হবে অন্তত ৩-২ ব্যবধানে। সে ক্ষেত্রে বাদ পড়বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এই যখন অবস্থা, স্বাভাবিকভাবেই গভীর চিন্তায় পাকিস্তান ক্রিকেট। কিন্তু তাই বলে সরফরাজের দাবিটা তো যৌক্তিকও হতে হবে। উপস্থাপক অবশ্য সরফরাজকে মনে করিয়ে দিলেন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে দারুণ উন্নতি করছে, ‘তারা কিন্তু নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে, পাকিস্তানকে হারিয়েছে। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে দলের কথা বললে তাদের উন্নতির কথা বলতে হবে। তাহলে একে কেন ‘‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব’’ বলবেন? নাকি সত্যিই মনে করেন যে বাংলাদেশ সত্যি উন্নতি করছে?’
জবাবে সরফরাজ বলেন, ‘পাকিস্তানের সেই সফরের কথা যদি বলা হয়, দল নির্বাচন ঠিক ছিল না। তা ছাড়া অধিনায়ক করা হয়েছিল এক জুনিয়র খেলোয়াড়কে। কোচ ওয়াকার ইউনিস কিছু ভালো খেলোয়াড়কেও সিরিজ থেকে বাদ দেয়। উমর আকমল, আহমেদ শেহজাদ দলের বাইরে ছিল। এ বিষয়গুলোও তো দেখতে হবে।’
এ ছাড়া জুয়া মাফিয়াদের কথাও উল্লেখ করেন সরফরাজ। নইলে পাকিস্তান নাকি বাংলাদেশের বিপক্ষে ধবলধোলাই হতো না! অন্তত একটা ম্যাচ জিতে ফিরত।
সরফরাজের উল্টোপাল্টা মন্তব্য নতুন নয়। বিস্ফোরক মন্তব্য পাওয়ার আশায় পাকিস্তানি সাংবাদিকেরাও যেন তাঁকেই খুঁজে পেতে বের করেন। এই তো কমাস আগে তিনি একই টিভির অনুষ্ঠানে শহীদ আফ্রিদির ব্যাটিংকে ‘চায়না মোবাইল’ বলেছিলেন।
সম্প্রতি নিজাম শেঠিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে পড়েছেন আরেক ঝামেলায়। লাহোরের আদালতে মানহানির মামলার পর আজ স্থগিত আদেশ (স্টে-অর্ডার) পেয়েছেন। এ ছাড়া অনেক আগে থেকেই তিনি পাকিস্তানের বিভিন্ন পরাজয়ের নেপথ্য কারণ হিসেবে পাতানো খেলার গন্ধ আবিষ্কার করেছেন। কিন্তু কোনো অভিযোগের সপক্ষেই তিনি জুতসই কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তান হেরে যাওয়ার পর সরফরাজ পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি এই ‘পাতানো’ খেলার মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ইমরান খান ও সহ-অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদকে!
সরফরাজের বেফাঁস কথা বলার ইতিহাসটা অনেক পুরোনোই।
No comments