উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়ক
পাহাড়ের ওপর দিয়ে এঁকে-বেঁকে চলা দেশের সবচেয়ে উঁচু থানচি-আলীকদম সড়ক। এপ্রিলে নির্মাণ শেষ হলেও এটির উদ্বোধন হয়নি। ডিম পাহাড় এলাকা থেকে সম্প্রতি তোলা ছবি |
বান্দরবানে
পাহাড়ের ওপর দিয়ে নির্মিত থানচি-আলীকদম সড়কটি দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়ক।
এপ্রিলে এটির কাজ শেষ করে সেনাবাহিনী। কিন্তু উদ্বোধন না হওয়ায় সড়কটি এখনো
যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি।
সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় আড়াই হাজার ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের ওপর নির্মিত এটি দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়ক। গত ২২ এপ্রিল যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সড়কটি পরিদর্শন করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এখনো সময়সূচি পাওয়া যায়নি।
নির্মাণকাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর ১৬ ও ১৭ প্রকৌশল নির্মাণ ব্যাটালিয়নের (ইসিবি) কর্মকর্তারা জানান, সাঙ্গু নদ ও মাতামুহুরী নদী উপত্যকা বিভাজনকারী চিম্বুক পাহাড়শ্রেণির ডিম পাহাড় এলাকার ওপর দিয়ে সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২ হাজার ৫০০ ফুট উঁচুতে পাথুরে পাহাড়ের গায়ে আঁকাবাঁকা ধাপ কেটে ৩৫ কিলোমিটারের সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয় ১১৭ কোটি টাকা। ২০০৬ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। শেষ হয় গত এপ্রিলে।
ইসিবির কর্মকর্তারা বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রেখে পাহাড়ে সড়ক নির্মাণ যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি কষ্টসাধ্য। শুকনো মৌসুমে ৬০-৭০টি পাহাড়ের ধাপ কেটে সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটির কোনো কোনো অংশ বর্ষায় পাহাড়ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জন্য সড়কের একই অংশে তিন-চার বছর ধরে নির্মাণকাজ করতে হয়েছে। এভাবে এক কিলোমিটার সড়কে সোয়া তিন কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে।
থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যহ্লা চিং মারমা ও আলীকদমের ভাইস চেয়ারম্যান কাইথপ ম্রো বলেন, সড়কটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এটি আলীকদম হয়ে কক্সবাজারের সঙ্গে মিশেছে। সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হলে এ এলাকার আদিবাসীদের উন্নয়নের দুয়ার খুলে যাবে। তবে বহিরাগত ভূমিদস্যু, কাঠ পাচারকারী চক্রের তৎপরতা বেড়ে যেতে পারে। এ জন্য প্রশাসনকে কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে।
আলীকদমের মোটর-জিপ মালিক সমিতির সভাপতি আবদুস শুক্কুর বলেন, উদ্বোধন না হওয়ায় তাঁরা চাঁদের গাড়িও চালাচ্ছেন না। তা ছাড়া অত্যধিক উঁচু পাহাড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। চাঁদাবাজদের ভয়ও আছে। ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ভাড়া নির্ধারণ না করা পর্যন্ত গাড়ির মালিক-শ্রমিকেরা যান চালাতে উৎসাহী হচ্ছেন না।
সেনাবাহিনীর ১৭ প্রকৌশল নির্মাণ ব্যাটালিয়নের (ইসিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এপ্রিল মাস থেকে সড়কটি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। উদ্বোধনের পর সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য সড়কটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এ সড়ক উন্মুক্ত করে দিলে পর্যটন ও স্থানীয় মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে।
সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় আড়াই হাজার ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের ওপর নির্মিত এটি দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়ক। গত ২২ এপ্রিল যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সড়কটি পরিদর্শন করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এখনো সময়সূচি পাওয়া যায়নি।
নির্মাণকাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর ১৬ ও ১৭ প্রকৌশল নির্মাণ ব্যাটালিয়নের (ইসিবি) কর্মকর্তারা জানান, সাঙ্গু নদ ও মাতামুহুরী নদী উপত্যকা বিভাজনকারী চিম্বুক পাহাড়শ্রেণির ডিম পাহাড় এলাকার ওপর দিয়ে সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২ হাজার ৫০০ ফুট উঁচুতে পাথুরে পাহাড়ের গায়ে আঁকাবাঁকা ধাপ কেটে ৩৫ কিলোমিটারের সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয় ১১৭ কোটি টাকা। ২০০৬ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। শেষ হয় গত এপ্রিলে।
ইসিবির কর্মকর্তারা বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রেখে পাহাড়ে সড়ক নির্মাণ যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি কষ্টসাধ্য। শুকনো মৌসুমে ৬০-৭০টি পাহাড়ের ধাপ কেটে সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটির কোনো কোনো অংশ বর্ষায় পাহাড়ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জন্য সড়কের একই অংশে তিন-চার বছর ধরে নির্মাণকাজ করতে হয়েছে। এভাবে এক কিলোমিটার সড়কে সোয়া তিন কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে।
থানচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যহ্লা চিং মারমা ও আলীকদমের ভাইস চেয়ারম্যান কাইথপ ম্রো বলেন, সড়কটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এটি আলীকদম হয়ে কক্সবাজারের সঙ্গে মিশেছে। সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হলে এ এলাকার আদিবাসীদের উন্নয়নের দুয়ার খুলে যাবে। তবে বহিরাগত ভূমিদস্যু, কাঠ পাচারকারী চক্রের তৎপরতা বেড়ে যেতে পারে। এ জন্য প্রশাসনকে কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে।
আলীকদমের মোটর-জিপ মালিক সমিতির সভাপতি আবদুস শুক্কুর বলেন, উদ্বোধন না হওয়ায় তাঁরা চাঁদের গাড়িও চালাচ্ছেন না। তা ছাড়া অত্যধিক উঁচু পাহাড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। চাঁদাবাজদের ভয়ও আছে। ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ভাড়া নির্ধারণ না করা পর্যন্ত গাড়ির মালিক-শ্রমিকেরা যান চালাতে উৎসাহী হচ্ছেন না।
সেনাবাহিনীর ১৭ প্রকৌশল নির্মাণ ব্যাটালিয়নের (ইসিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এপ্রিল মাস থেকে সড়কটি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। উদ্বোধনের পর সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য সড়কটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এ সড়ক উন্মুক্ত করে দিলে পর্যটন ও স্থানীয় মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে।
No comments