বিলওয়াল কি নতুন দায়িত্ব পাচ্ছেন?
নতুন
গতি হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ছেলে বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির। শিগগিরই
পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে হয়তো তার ক্যারিয়ার শুরু হতে যাচ্ছে। প্রত্যন্ত
সিন্ধু প্রদেশের একটি আসন থেকে তাকে উপনির্বাচনে জয়ী করিয়ে আনার পরিকল্পনা
চলছে। শুধু তাই নয়, অনেকের ধারণা- তাকে পার্লামেন্টে বিরোধীদলীয় নেতার
দায়িত্বও দেয়া হতে পারে। এ সমপর্কিত অনেক কিছুই বিশ্লেষণ করা হয়েছে
পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডনের সমপাদকীয়তে। সেখানে বলা হয়েছে, সিন্ধু
প্রদেশের বাইরে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে বেশ বাজে ফলাফল করেছে ভুট্টো পরিবারের
করায়ত্বে থাকা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। তাই বিলওয়াল ভুট্টোর
রাজনীতিতে প্রবেশ হয়তো দলটিকে নতুন করে চাঙ্গা করে তুলতে পারে। পাকিস্তানের
জাতীয় রাজনীতিতেও এটি ব্যতিক্রমী ভাব নিয়ে আসতে পারে। তবে রাজনীতিতে
প্রবেশ এক কথা। পার্লামেন্টে বিরোধী দলের নেতার ভূমিকা পালন করা সমপূর্ণ
ভিন্ন কথা। এটি সত্য, একদিন তিনিই হতে যাচ্ছেন পিপিপির নেতা। কিন্তু এরপরও
তার নেই কোন অভিজ্ঞতা। এছাড়া, পার্লামেন্টে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে
দায়িত্ব পালনের জন্য যে মেজাজ থাকা উচিত, তার সেটিও নেই।
ডনের সমপাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, বিরোধীদলীয় নেতার পদ আলংকারিক পদ নয়। সংবিধানে বলা আছে যে, তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসন ও বিশেষ কিছু পদে নিয়োগের বেলায় বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। এছাড়া, পার্লামেন্টে বিভিন্ন বিতর্কে অন্যান্য বিরোধী দলকে সুযোগ দেয়া ও পরামর্শ করার দায়িত্বও বিরোধীদলীয় নেতার। বিভিন্ন পার্লামেন্টারি কমিটির ব্যবস্থাপনায় অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে পরামর্শ করতে হয় তাকে। তার যতই মেধা থাকুক না কেন, বিলওয়াল ভুট্টোর উচিত আরেকটু স্লথ কিন্তু ভদ্রোচিত পথে উপরে ওঠা। পিপিপিতে খুরশিদ শাহদের মতো অভিজ্ঞদের কাছ থেকে তার আগে শেখা উচিত।
এখন পার্লামেন্টে নিজেদের সর্বোচ্চ পদ বিলওয়ালের হাতে ছেড়ে দেয়ার আগে পিপিপির দ্বিতীয়বার চিন্তা করা উচিত আরেকটি কারণে। পিপিপি নেতৃত্ব হয়তো মনে করছে, পার্লামেন্টে নতুন নেতৃত্বের আধিক্য থাকলে, প্রচারণায়ও এগিয়ে থাকা যাবে। এছাড়া, মানুষকেও একটি বার্তা দেয়া হবে যে, অযোগ্যতা ও দুর্নীতির অভিযোগে বিধ্বস্ত পিপিপি নতুন ও সামর্থ্যবান নেতৃত্বের দিকে নজর দিচ্ছে বেশি। কিন্তু বিলওয়ালকে নিয়ে পার্লামেন্টের অন্যান্য দল হাস্যরস করতে পারে। সমালোচনা করতে পারে যে, পিপিপি হচ্ছে অতীতে আবদ্ধ একটি দল। তাই বিভিন্ন দিক থেকে ভাবলে দেখা যায়, বিলওয়াল ভুট্টোকে এখনই বিরোধী দলের নেতা বানানোটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
ডনের সমপাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, বিরোধীদলীয় নেতার পদ আলংকারিক পদ নয়। সংবিধানে বলা আছে যে, তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসন ও বিশেষ কিছু পদে নিয়োগের বেলায় বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। এছাড়া, পার্লামেন্টে বিভিন্ন বিতর্কে অন্যান্য বিরোধী দলকে সুযোগ দেয়া ও পরামর্শ করার দায়িত্বও বিরোধীদলীয় নেতার। বিভিন্ন পার্লামেন্টারি কমিটির ব্যবস্থাপনায় অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে পরামর্শ করতে হয় তাকে। তার যতই মেধা থাকুক না কেন, বিলওয়াল ভুট্টোর উচিত আরেকটু স্লথ কিন্তু ভদ্রোচিত পথে উপরে ওঠা। পিপিপিতে খুরশিদ শাহদের মতো অভিজ্ঞদের কাছ থেকে তার আগে শেখা উচিত।
এখন পার্লামেন্টে নিজেদের সর্বোচ্চ পদ বিলওয়ালের হাতে ছেড়ে দেয়ার আগে পিপিপির দ্বিতীয়বার চিন্তা করা উচিত আরেকটি কারণে। পিপিপি নেতৃত্ব হয়তো মনে করছে, পার্লামেন্টে নতুন নেতৃত্বের আধিক্য থাকলে, প্রচারণায়ও এগিয়ে থাকা যাবে। এছাড়া, মানুষকেও একটি বার্তা দেয়া হবে যে, অযোগ্যতা ও দুর্নীতির অভিযোগে বিধ্বস্ত পিপিপি নতুন ও সামর্থ্যবান নেতৃত্বের দিকে নজর দিচ্ছে বেশি। কিন্তু বিলওয়ালকে নিয়ে পার্লামেন্টের অন্যান্য দল হাস্যরস করতে পারে। সমালোচনা করতে পারে যে, পিপিপি হচ্ছে অতীতে আবদ্ধ একটি দল। তাই বিভিন্ন দিক থেকে ভাবলে দেখা যায়, বিলওয়াল ভুট্টোকে এখনই বিরোধী দলের নেতা বানানোটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
No comments