মাথার ওপর দণ্ড নিয়ে সাংসদ থাকা যায় না
দুর্নীতির
একটি মামলায় সাজা বহাল থাকায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল
হোসেন চৌধুরী আর সংসদ সদস্য থাকতে পারেন না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন
কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম। আজ শুক্রবার বিবিসি বাংলাকে তিনি এ কথা
বলেছেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী থাকতে পারেন কিনা তা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম বিবিসিকে বলেন, একটি দুর্নীতির মামলায় যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে সাজা বহাল রয়েছে, তাই তিনি আর সংসদ সদস্য থাকতে পারেন না।
২০০৮ সালে জ্ঞাত আয়ের বাইরে অবৈধভাবে ৬ কোটির বেশি টাকার সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ২০১০ সালের অক্টোবরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কেবলই আইনি প্রশ্নে ওই রায় বাতিল করেন। দুদক এর বিরুদ্ধে আপিল করে। ১৪ জুন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আপিলের পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নৈতিক স্খলন জনিত অপরাধে কেউ সাজা পেলে তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা হারান।
এদিকে, এই রায়ের দুই পক্ষের আইনজীবীরা দুই রকমের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম বলছেন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী যে আর সংসদ সদস্য থাকতে পারেন না, তা নিয়ে অস্পষ্টতার কোনো অবকাশ নেই। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে তিনি একটি ফৌজদারি আপিল মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামি, যার মাথার ওপর একটি দণ্ড ঝুলছে। কাজেই সেই অবস্থায় আমি মনে করি ওনার সদস্যপদ আর থাকে না সংবিধানের ৬৬ (২) ঘ ধারা অনুযায়ী।’
কিন্তু খুরশিদ আলমের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘নৈতিকতার প্রশ্ন ভিন্ন। আমি এটিকে আইনের বিচারে দেখতে চাই। আপিল বিভাগ মামলাটিকে বিচার করে আবার পুনর্বিচারের জন্য পাঠিয়েছেন। বিচারিক আদালত তাঁকে যে সাজা দিয়েছিলেন সেই সাজা এখন পুনর্বিচার করা হচ্ছে। সুতরাং এটার চূড়ান্ত মীমাংসা এখনো হয়নি। তাই জনপ্রতিনিধি হিসেবে বা মন্ত্রী হিসেবে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা যাবে না।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইতে সরকার দলীয় চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজও বিবিসি বাংলাকে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংসদ বলতে পারবে না যে তাঁর সংসদ সদস্যপদ নেই। কাজেই আইনি লড়াই শেষ হওয়ার পরই কেবল এর সিদ্ধান্ত দেওয়া যেতে পারে। আ স ম ফিরোজ বলেন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী এখনো সংসদ সদস্য আছেন এবং মন্ত্রিসভাতেও আছেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী থাকতে পারেন কিনা তা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম বিবিসিকে বলেন, একটি দুর্নীতির মামলায় যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে সাজা বহাল রয়েছে, তাই তিনি আর সংসদ সদস্য থাকতে পারেন না।
২০০৮ সালে জ্ঞাত আয়ের বাইরে অবৈধভাবে ৬ কোটির বেশি টাকার সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ২০১০ সালের অক্টোবরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কেবলই আইনি প্রশ্নে ওই রায় বাতিল করেন। দুদক এর বিরুদ্ধে আপিল করে। ১৪ জুন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আপিলের পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নৈতিক স্খলন জনিত অপরাধে কেউ সাজা পেলে তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা হারান।
এদিকে, এই রায়ের দুই পক্ষের আইনজীবীরা দুই রকমের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম বলছেন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী যে আর সংসদ সদস্য থাকতে পারেন না, তা নিয়ে অস্পষ্টতার কোনো অবকাশ নেই। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে তিনি একটি ফৌজদারি আপিল মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামি, যার মাথার ওপর একটি দণ্ড ঝুলছে। কাজেই সেই অবস্থায় আমি মনে করি ওনার সদস্যপদ আর থাকে না সংবিধানের ৬৬ (২) ঘ ধারা অনুযায়ী।’
কিন্তু খুরশিদ আলমের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘নৈতিকতার প্রশ্ন ভিন্ন। আমি এটিকে আইনের বিচারে দেখতে চাই। আপিল বিভাগ মামলাটিকে বিচার করে আবার পুনর্বিচারের জন্য পাঠিয়েছেন। বিচারিক আদালত তাঁকে যে সাজা দিয়েছিলেন সেই সাজা এখন পুনর্বিচার করা হচ্ছে। সুতরাং এটার চূড়ান্ত মীমাংসা এখনো হয়নি। তাই জনপ্রতিনিধি হিসেবে বা মন্ত্রী হিসেবে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা যাবে না।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইতে সরকার দলীয় চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজও বিবিসি বাংলাকে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংসদ বলতে পারবে না যে তাঁর সংসদ সদস্যপদ নেই। কাজেই আইনি লড়াই শেষ হওয়ার পরই কেবল এর সিদ্ধান্ত দেওয়া যেতে পারে। আ স ম ফিরোজ বলেন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী এখনো সংসদ সদস্য আছেন এবং মন্ত্রিসভাতেও আছেন।
No comments