দেশ এখন ধর্ষণের রঙ্গমঞ্চ: সংসদে মেনন
দেশ
এখন ধর্ষণের রঙ্গমঞ্চ বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও
পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬
অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারের শরিক
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এ মন্তব্য করেন। তিনি
বিদ্যুৎ, পে-স্কেলসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনাও করেন। আলোচনায়
অংশ নিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশ এখন ধর্ষণের রঙ্গমঞ্চ। সারা দেশেই
ধর্ষণ বেড়ে গেছে। নারীরা নিরাপদে চলাফেরা করতে না পারলে সভ্য দেশ বলে গণ্য
করা যাবে না।
মেনন বলেন, বাজেটের দুর্বলতা হলো মানুষের মধ্যে সম্পদের বৈষম্য বাড়ছে। অর্থমন্ত্রী এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করলেও গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এ বৈষম্য বেড়েই চলেছে। এর ফলে সামাজিক অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা একসময় বিস্ফোরণে রূপ নিতে পারে। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির সুফল মানুষের কাছে পৌঁছাতে বড় বাধা হচ্ছে দুর্নীতি। দেশে দুর্নীতির জন্য প্রবৃদ্ধির আড়াই ভাগ হারিয়ে যাচ্ছে বলে বিশ্বব্যাংকের হিসাবে বলা হয়েছে। দেশে সুশাসন প্রয়োজন। টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, হত্যা-এসব ঘটনা জাতীয় অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে।
বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারের প্রশংসা করলেও বিদ্যুৎ খাতের নানা দিক নিয়ে সমালোচনা করে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বিশেষ আইন করে অতীতে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট করা হয়েছে। এটা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধেই গেছে, পক্ষে গেছে তা বলব না। এ ধরনের আইনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আদানি ও রিলায়েন্স গ্রুপ আমাদের জাতীয় স্বার্থের পক্ষে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি না।’ এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য তিনি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
মেনন বলেন, বিদ্যুতের সবকিছু বেসরকারি খাতে চলে যাচ্ছে। জ্বালানি খাত পুরোটাই ব্যক্তি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সাগরের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে গতি নেই। বিনিয়োগ নেই। অবকাঠামো উন্নয়নে গতি নেই। তিনি বলেন, শিক্ষার বরাদ্দ তুলনামূলক কম। শিক্ষামন্ত্রী পাঁচ বছর ধরে শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেলের কথা বলছেন। বর্তমান পে-স্কেলে শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা পে-স্কেল প্রত্যাখ্যান করেছেন। টাইম স্কেল বাদ দেওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই পে-স্কেল মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হলে সারা দেশে শিক্ষক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়বে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা না থাকলেও ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সহজ হবে না। আজ পর্যন্ত বেগম জিয়া অবরোধ প্রত্যাহার করে নেননি। জানি না এ অবরোধ আছে কি না। এখন তাঁরা বলছেন রাজনৈতিক সমঝোতার কথা। রাজনৈতিক সমঝোতা হতে হলে বিএনপিকে অবশ্যই সহিংসতা ছেড়ে গণতন্ত্রের ধারায় ফিরে আসতে হবে। জামায়াতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ছেদ ঘটাতে হবে।’
বাজেট আলোচনায় আরও বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ, হাছান মাহমুদ, সিমিন হোসেন রিমি প্রমুখ।
মেনন বলেন, বাজেটের দুর্বলতা হলো মানুষের মধ্যে সম্পদের বৈষম্য বাড়ছে। অর্থমন্ত্রী এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করলেও গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এ বৈষম্য বেড়েই চলেছে। এর ফলে সামাজিক অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা একসময় বিস্ফোরণে রূপ নিতে পারে। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির সুফল মানুষের কাছে পৌঁছাতে বড় বাধা হচ্ছে দুর্নীতি। দেশে দুর্নীতির জন্য প্রবৃদ্ধির আড়াই ভাগ হারিয়ে যাচ্ছে বলে বিশ্বব্যাংকের হিসাবে বলা হয়েছে। দেশে সুশাসন প্রয়োজন। টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, হত্যা-এসব ঘটনা জাতীয় অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে।
বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারের প্রশংসা করলেও বিদ্যুৎ খাতের নানা দিক নিয়ে সমালোচনা করে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বিশেষ আইন করে অতীতে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট করা হয়েছে। এটা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধেই গেছে, পক্ষে গেছে তা বলব না। এ ধরনের আইনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আদানি ও রিলায়েন্স গ্রুপ আমাদের জাতীয় স্বার্থের পক্ষে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি না।’ এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য তিনি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
মেনন বলেন, বিদ্যুতের সবকিছু বেসরকারি খাতে চলে যাচ্ছে। জ্বালানি খাত পুরোটাই ব্যক্তি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সাগরের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে গতি নেই। বিনিয়োগ নেই। অবকাঠামো উন্নয়নে গতি নেই। তিনি বলেন, শিক্ষার বরাদ্দ তুলনামূলক কম। শিক্ষামন্ত্রী পাঁচ বছর ধরে শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেলের কথা বলছেন। বর্তমান পে-স্কেলে শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা পে-স্কেল প্রত্যাখ্যান করেছেন। টাইম স্কেল বাদ দেওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই পে-স্কেল মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হলে সারা দেশে শিক্ষক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়বে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা না থাকলেও ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সহজ হবে না। আজ পর্যন্ত বেগম জিয়া অবরোধ প্রত্যাহার করে নেননি। জানি না এ অবরোধ আছে কি না। এখন তাঁরা বলছেন রাজনৈতিক সমঝোতার কথা। রাজনৈতিক সমঝোতা হতে হলে বিএনপিকে অবশ্যই সহিংসতা ছেড়ে গণতন্ত্রের ধারায় ফিরে আসতে হবে। জামায়াতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ছেদ ঘটাতে হবে।’
বাজেট আলোচনায় আরও বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ, হাছান মাহমুদ, সিমিন হোসেন রিমি প্রমুখ।
No comments