দীঘিনালায় বাড়ছে শ্বাসকষ্টের রোগী- বেশির ভাগ জড়িত তামাক চাষে
খাগড়ছড়ির দীঘিনালার বাঁচামরুং এলাকায় একটি তামাক কারখানায় কাজ করছেন নারী শ্রমিকেরা। প্রথম আলো, ১৭ মে |
খাগড়াছড়ির
দীঘিনালায় বাড়ছে শ্বাসকষ্টের রোগী। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হিসাবমতে,
এক বছরের ব্যবধানে শ্বাসকষ্টের রোগী বেড়েছে প্রায় দুই হাজার। চিকিৎসকেরা
জানান, শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা প্রায় রোগীই কোনো না কোনোভাবে
তামাক চাষের সঙ্গে জড়িত।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৩ সালে দীঘিনালা উপজেলায় শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২০৩ জন। কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে ২০১৪ সালে শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৪২ জনে। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৫৭৭ জন। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৫১০, ফেব্রুয়ারিতে ৬৫৫, মার্চে ৫০০, এপ্রিলে ৩৯৩ ও মে মাসে ৫১৯ জন শ্বাসকষ্টের রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপজেলার বাঁচা মরুং এলাকার বাসিন্দা হাসিনা বেগম (৩৫), শাহনাজ বেগম (৩০), মাজেদা বেগম (২৫), রাবিয়া বেগম (১৯), বিনা আক্তার (৪০), নাজমা বেগম (৪২) ও আয়শা বেগম (৬০) জানান, তাঁরা তামাকখেতে কাজ করেন। তামাকের কাজ করার পর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
তামাকের কাজ করা কয়েকজন শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তামাকখেতে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের অধিকাংশই শ্বাসকষ্টে ভোগেন।
দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা রকি দাশগুপ্ত বলেন, শ্বাসকষ্টের রোগী বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ তামাক। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে প্রায় রোগীই তামাক চাষে জড়িত। এঁদের বেশির ভাগ নারী।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, এবার দীঘিনালায় ৬৪৬ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। চাষির সংখ্যা ১ হাজার ৫৮ জন। তামাকচুল্লি রয়েছে ছয় শতাধিক। এ ছাড়া তামাক চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে জড়িত প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৩ সালে দীঘিনালা উপজেলায় শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২০৩ জন। কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে ২০১৪ সালে শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৪২ জনে। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৫৭৭ জন। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৫১০, ফেব্রুয়ারিতে ৬৫৫, মার্চে ৫০০, এপ্রিলে ৩৯৩ ও মে মাসে ৫১৯ জন শ্বাসকষ্টের রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপজেলার বাঁচা মরুং এলাকার বাসিন্দা হাসিনা বেগম (৩৫), শাহনাজ বেগম (৩০), মাজেদা বেগম (২৫), রাবিয়া বেগম (১৯), বিনা আক্তার (৪০), নাজমা বেগম (৪২) ও আয়শা বেগম (৬০) জানান, তাঁরা তামাকখেতে কাজ করেন। তামাকের কাজ করার পর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
তামাকের কাজ করা কয়েকজন শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তামাকখেতে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের অধিকাংশই শ্বাসকষ্টে ভোগেন।
দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা রকি দাশগুপ্ত বলেন, শ্বাসকষ্টের রোগী বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ তামাক। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে প্রায় রোগীই তামাক চাষে জড়িত। এঁদের বেশির ভাগ নারী।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, এবার দীঘিনালায় ৬৪৬ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। চাষির সংখ্যা ১ হাজার ৫৮ জন। তামাকচুল্লি রয়েছে ছয় শতাধিক। এ ছাড়া তামাক চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে জড়িত প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক।
No comments