ওকিনাওয়া যুদ্ধ সমাপ্তির ৭০তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তোপের মুখে জাপানি প্রধানমন্ত্রী
নানা
আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার ওকিনাওয়া যুদ্ধ সমাপ্তির ৭০ বছর পূর্তি পালন করেছে
জাপান। দেশের দক্ষিণ উপকূলের দ্বীপটিতে আজও মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে
অসন্তোষের প্রেক্ষাপটে জাপানি প্রধানমন্ত্রী গতকাল অনুষ্ঠানস্থলে গেলে
তোপের মুখে পড়েন। খবর এএফপির।
ওকিনাওয়া দ্বীপের আইতোমান শহরে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ভাষণ দেওয়ার জন্য মঞ্চে উপস্থিত হলে স্থানীয় লোকজন ‘চলে যাও, চলে যাও’ বলে চিৎকার দিতে শুরু করে। জাপানি কোনো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার নজির নেই বললেই চলে।
অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় আবেকে বিরক্ত দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দশকের পর দশক ধরে শান্তির সুফল পেয়েছে। ওকিনাওয়ার জনগণ দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের সমাজকে বড় একটা বোঝা বহন করার আহ্বান জানিয়ে আসছে। আমরা (সেই বোঝা) কমাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাব।’
ভাষণে ওকিনাওয়ায় মার্কিন ঘাঁটির ‘বিরাট বোঝা’ অব্যাহত থাকার নিন্দা জানিয়ে দর্শকদের প্রশংসা কুড়ান গভর্নর তাকেশি ওনাগা। কার্যত জাপানে বর্তমানে যে ৪৭ হাজার মার্কিন সেনাসদস্য রয়েছে, তার অর্ধেকের বেশিই থাকে ওকিনাওয়ায়। ভাষণে গভর্নর বলেন, ‘(জাপানে) মার্কিন সামরিক স্থাপনাগুলোর ৭৩ শতাংশই এখনো আমাদের প্রশাসনিক এলাকায় অবস্থিত, যা দেশের মোট ভূখণ্ডের মাত্র শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ।’
গতকালের স্মরণানুষ্ঠান আইতোমান শহরের সেই স্থানের কাছে আয়োজন করা হয়, যেখানে ১৯৪৫ সালে জুন মাসে জাপানি বাহিনীর সঙ্গে মার্কিন বাহিনীর লড়াইয়ের সময় ভীতসন্ত্রস্ত দ্বীপবাসী উঁচু পাহাড় থেকে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে বা আত্মসমর্পণ করতে না শেখা জাপানি বাহিনী তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওকিনাওয়া দ্বীপে ৮২ দিনের ওই লড়াইয়ে ওকিনাওয়ার এক লাখের বেশি বেসামরিক লোক এবং ৮০ হাজার জাপানি সেনা নিহত হয়।
গতকালের অনুষ্ঠানে ওই যুদ্ধে প্রাণে বেঁচে যাওয়া অনেকই ছিলেন। তাঁদেরই একজন তাকেকো কাকাজু (৯৭) বলেন, ‘নির্দোষ বেসামরিক লোকজনকেই দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছিল। সেই ঘটনার ৭০ বছর পার হয়েছে। কিন্তু সেই নিষ্ঠুরতা আজও আমাদের সঙ্গে রয়ে গেছে।’
ওকিনাওয়া যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ১২ হাজারের বেশি সেনাও নিহত হয়। আর এই লড়াইকে তখন জাপানের মূল ভূখণ্ডে মার্কিন আগ্রাসনের পূর্বলক্ষণ হিসেবে দেখছিলেন অনেকেই। তবে ওকিনাওয়ার পর জাপানের আর কোথাও স্থল অভিযানে যায়নি মার্কিনরা। অংশত, হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা মারার পর তার আর প্রয়োজন পড়েনি। ওই পারমাণবিক বোমা বিভীষিকা পর ১৯৪৫ সালের আগস্টে জাপান আত্মসমর্পণ করেছিল।
এবার এমন একসময়ে যুদ্ধ সমাপ্তির বার্ষিকী পালিত হচ্ছে, যখন ওকিনাওয়ার বাসিন্দারা বেশ উত্তেজিত। একটি বিতর্কিত মার্কিন বিমানঘাঁটিকে শহুরে এলাকা থেকে একটি গ্রামীণ এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়ায় ওকিনাওয়াবাসীর মধ্যে প্রচণ্ড অসন্তোষ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ নিয়ে বেশ বিক্ষোভও হয়েছে।
ভাষণে ওকিনাওয়ার গভর্নর ওনাগা বলেন, ‘আমাদের জোর দাবি, সরকার যেন হেনোকো এলাকায় নির্মাণকাজ বন্ধ করে এবং ওকিনাওয়ায় সামরিক ঘাঁটির বোঝা কমানোর বিষয়ে তাদের নীতিগুলো যেন আরেকবার পুনর্বিবেচনা করে।’
ওকিনাওয়া দ্বীপের আইতোমান শহরে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ভাষণ দেওয়ার জন্য মঞ্চে উপস্থিত হলে স্থানীয় লোকজন ‘চলে যাও, চলে যাও’ বলে চিৎকার দিতে শুরু করে। জাপানি কোনো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার নজির নেই বললেই চলে।
অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় আবেকে বিরক্ত দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দশকের পর দশক ধরে শান্তির সুফল পেয়েছে। ওকিনাওয়ার জনগণ দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের সমাজকে বড় একটা বোঝা বহন করার আহ্বান জানিয়ে আসছে। আমরা (সেই বোঝা) কমাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাব।’
ভাষণে ওকিনাওয়ায় মার্কিন ঘাঁটির ‘বিরাট বোঝা’ অব্যাহত থাকার নিন্দা জানিয়ে দর্শকদের প্রশংসা কুড়ান গভর্নর তাকেশি ওনাগা। কার্যত জাপানে বর্তমানে যে ৪৭ হাজার মার্কিন সেনাসদস্য রয়েছে, তার অর্ধেকের বেশিই থাকে ওকিনাওয়ায়। ভাষণে গভর্নর বলেন, ‘(জাপানে) মার্কিন সামরিক স্থাপনাগুলোর ৭৩ শতাংশই এখনো আমাদের প্রশাসনিক এলাকায় অবস্থিত, যা দেশের মোট ভূখণ্ডের মাত্র শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ।’
গতকালের স্মরণানুষ্ঠান আইতোমান শহরের সেই স্থানের কাছে আয়োজন করা হয়, যেখানে ১৯৪৫ সালে জুন মাসে জাপানি বাহিনীর সঙ্গে মার্কিন বাহিনীর লড়াইয়ের সময় ভীতসন্ত্রস্ত দ্বীপবাসী উঁচু পাহাড় থেকে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে বা আত্মসমর্পণ করতে না শেখা জাপানি বাহিনী তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওকিনাওয়া দ্বীপে ৮২ দিনের ওই লড়াইয়ে ওকিনাওয়ার এক লাখের বেশি বেসামরিক লোক এবং ৮০ হাজার জাপানি সেনা নিহত হয়।
গতকালের অনুষ্ঠানে ওই যুদ্ধে প্রাণে বেঁচে যাওয়া অনেকই ছিলেন। তাঁদেরই একজন তাকেকো কাকাজু (৯৭) বলেন, ‘নির্দোষ বেসামরিক লোকজনকেই দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছিল। সেই ঘটনার ৭০ বছর পার হয়েছে। কিন্তু সেই নিষ্ঠুরতা আজও আমাদের সঙ্গে রয়ে গেছে।’
ওকিনাওয়া যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ১২ হাজারের বেশি সেনাও নিহত হয়। আর এই লড়াইকে তখন জাপানের মূল ভূখণ্ডে মার্কিন আগ্রাসনের পূর্বলক্ষণ হিসেবে দেখছিলেন অনেকেই। তবে ওকিনাওয়ার পর জাপানের আর কোথাও স্থল অভিযানে যায়নি মার্কিনরা। অংশত, হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা মারার পর তার আর প্রয়োজন পড়েনি। ওই পারমাণবিক বোমা বিভীষিকা পর ১৯৪৫ সালের আগস্টে জাপান আত্মসমর্পণ করেছিল।
এবার এমন একসময়ে যুদ্ধ সমাপ্তির বার্ষিকী পালিত হচ্ছে, যখন ওকিনাওয়ার বাসিন্দারা বেশ উত্তেজিত। একটি বিতর্কিত মার্কিন বিমানঘাঁটিকে শহুরে এলাকা থেকে একটি গ্রামীণ এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়ায় ওকিনাওয়াবাসীর মধ্যে প্রচণ্ড অসন্তোষ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ নিয়ে বেশ বিক্ষোভও হয়েছে।
ভাষণে ওকিনাওয়ার গভর্নর ওনাগা বলেন, ‘আমাদের জোর দাবি, সরকার যেন হেনোকো এলাকায় নির্মাণকাজ বন্ধ করে এবং ওকিনাওয়ায় সামরিক ঘাঁটির বোঝা কমানোর বিষয়ে তাদের নীতিগুলো যেন আরেকবার পুনর্বিবেচনা করে।’
No comments