বাড়ি ফিরলেই ছেলের নাম রাখা হবে
মিয়ানমার
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) হাতে আটক বিজিবির নায়েক আবদুর রাজ্জাককে
হস্তান্তর করেছে বিজিপি। এ খবর শোনার পর নাটোরের সিংড়া উপজেলার বলিয়াবাড়ি
রাজ্জাকের গ্রামের বাড়িতে চলছে আনন্দ। এতে যোগ দিয়েছে প্রতিবেশীরাও।
রাজ্জাকের ছাড়া পাওয়ার খবরের পর গতকাল বিকালে সদ্যোজাত সন্তানকে কোলে এবং
অন্য দুসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে আসেন
রাজ্জাকের স্ত্রী আসমা বেগম। স্বামীর মুক্তির শুনে তার চোখমুখ আনন্দে
উজ্জ্বল হয়ে উঠে। তিনি জানান, নবজাতককে ওর পিতার কোলে তুলে দেয়ার অপেক্ষায়
আছি। অন্য ছেলেমেয়েরাও পিতাকে জড়িয়ে ধরার অপেক্ষায় আছে। পিতার ছাড়া পাওয়ার
কথা শোনার পর থেকে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে ছেলেমেয়েরা টেলিভিশনের সামনে বসে
থাকে বলেও জানান তিনি। রাজ্জাক ছাড়া পাওয়ার খবরে তার বাড়িতে শুকরিয়া
মোনাজাত করে। রাজ্জাকের মা বুলবুলি বেগম বলেন, ছেলে বাড়ি এলেই সদ্যোজাত
নাতির নাম রাখা হবে। তার আকিকা দেয়া হবে। গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত
পরিবারের সদস্যদের এক মুহূর্তের জন্যও চোখ সরেনি টিভির পর্দা থেকে। অবশেষে
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজ্জাককে বিজিবির কাছে হস্তান্তরের খবর টিভিতে
প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায়ে বিশেষ মোনাজাত করে
পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। এ সময় তারা রাজ্জাককে ফেরত আনার ব্যাপারে
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও সহযোগিতার জন্য সরকার ও মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার সীমান্তে কর্মরত থাকা অবস্থায় গত বুধবার ১৭ই জুন
মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ খবর
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে জানার পর থেকে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটছিল তার
পরিবারের সদস্যদের। অপরদিকে গত রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজ্জাকের স্ত্রী
আসমা বেগম একটি ফুটফুটে পুত্রসন্তান প্রসব করেন। অবশেষে গতকাল বেলা সাড়ে
৩টার দিকে রাজ্জাককে বিজিবির কাছে হস্তান্তরের খবর টিভিতে প্রচারের সঙ্গে
সঙ্গে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায়ে বিশেষ মোনাজাত করে পরিবারের সদস্য ও
স্বজনরা।
No comments