স্বাস্থ্য খাতের ৫০ বছরের অর্জন হুমকির মুখে
বিশ্বে
গত আধা শতাব্দীতে স্বাস্থ্য খাতে যে অগ্রগিত হয়েছে, তা হুমকির মুখে ফেলেছে
জলবায়ু পরিবর্তন। গবেষকেরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বর্তমান ধারা অব্যাহত
থাকলে তা মানবস্বাস্থ্য এবং মানুষের অস্তিত্বের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে
পারে।
তবে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণার ফলাফলে গবেষকেরা এ আশার বাণীও শুনিয়েছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এই শতকে স্বাস্থ্য খাতে বিস্ময়কর অগ্রগতি হতে পারে। সেটি হবে একুশ শতকের একটি বড় অর্জন। খবর গার্ডিয়ানের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান মার্গারেট চ্যানের তত্ত্বাবধানে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের গবেষকদের সহায়তায় প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ল্যানসেট/ইউসিএল কমিশন। ইউসিএল ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল হেলথের পরিচালক অ্যান্থনি কস্টেলো বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের স্বাস্থ্যগত প্রভাব ব্যাপক। তবে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যখন কোনো নীতিগত বিতর্ক হয়, তখন স্বাস্থ্য খাত উপেক্ষিতই থাকে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা বর্তমান ধারায় বেড়ে যদি চার ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে পৌঁছায়, তবে তা মানবস্বাস্থ্য এবং মানুষের অস্তিত্বের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। এতে মানবস্বাস্থ্যের উন্নয়নে অর্ধশতকে যেসব অর্জন হয়েছে, তা নষ্ট হয়ে যাবে।’
অ্যান্থনি কস্টেলো বলেন, ‘এখন যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, তাকে স্বাস্থ্য খাতের ওপর এক জরুরি পরিস্থিতি বলা যেতে পারে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা এর চেয়ে কমের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। আগামী ১০ বছরের মধ্যেই যা করার করতে হবে। নয়তো পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেবে।’
গবেষণায় বিশদ বিশ্লেষণে তাপদাহ, বন্যা, খরার সরাসরি স্বাস্থ্যগত প্রভাবের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এর পাশাপাশি বায়ুদূষণ, রোগ ছড়িয়ে পড়া এবং দুর্ভিক্ষের সঙ্গে অপ্রত্যক্ষ সম্পর্কও তুলে ধরা হয় গবেষণায়। প্রতিবেদনে কয়লানির্ভর জ্বালানি থেকে দ্রুত সরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কার্বন গ্যাস কম ব্যবহারের অর্থনীতি চালু করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবই মূল প্রতিবন্ধকতা। আর এর ফলেই স্বাস্থ্য, দারিদ্র্যের উন্নতি থমকে আছে। রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে সঠিক অর্থায়ন হচ্ছে না এবং নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে না।
গবেষকেরা বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের স্বাস্থ্যগত প্রভাবটি সব সময়ই অবহেলিত থেকেছে এ–সংক্রান্ত আলোচনার সময়। জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে বর্তমান সমাজের যে “আসক্তি”, তা দূর করতে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য খাতের পেশাজীবীদের একেবারে সামনের কাতারে এসে দাঁড়াতে হবে। অতীতে তামাকশিল্পের সঙ্গে যেভাবে তাঁরা লড়াই করেছেন, তেমন ভূমিকাই পালন করতে হবে তাঁদের। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টিকে সামনে এনে আমাদের পরিবার-পরিজন, সম্প্রদায় এবং দেশের মঙ্গলের জন্যই একাজ করতে হবে।’
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য কয়লা, গ্যাস, খনিজ তেলের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপক ব্যবহারকেই মূল কারণ বলে মনে করা হয়। এসব জ্বালানির ব্যাপক মাত্রায় ব্যবহারের ফলে কার্বন–ডাই অক্সাইডসহ গ্রিনহাউস গ্যাস উষ্ণায়ন বাড়াচ্ছে।
অ্যান্থনি কস্টেলো বলেন, ‘আমরা দিন দিন মুটিয়ে যাচ্ছি, বাড়ছে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, বিষণ্নতা, উদ্বিগ্নতা। উন্নত যানবাহন, হাঁটা, সাইকেল চালানো এবং সুষম খাবার খাওয়ার মতো অভ্যাসগুলো করতে পারলে বায়ুদূষণ কমবে। এর ফলে রোধ হবে জলবায়ু পরিবর্তন। এর ফলে স্বাস্থ্য খাতেও বড় লাভের সুযোগ থাকে।’
আগামী ডিসেম্বর মাসে প্যারিসে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনের আগে এই প্রতিবেদনকে খুবই সময়োপযোগী বলে মনে করেন ডব্লিউএইচওর প্রধান মার্গারেট চ্যান। ওই সম্মেলনে কার্বন নির্গমন রোধে দেশগুলো একটি সর্বসম্মত চুক্তি করতে যাচ্ছে।
তবে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণার ফলাফলে গবেষকেরা এ আশার বাণীও শুনিয়েছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এই শতকে স্বাস্থ্য খাতে বিস্ময়কর অগ্রগতি হতে পারে। সেটি হবে একুশ শতকের একটি বড় অর্জন। খবর গার্ডিয়ানের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান মার্গারেট চ্যানের তত্ত্বাবধানে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের গবেষকদের সহায়তায় প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ল্যানসেট/ইউসিএল কমিশন। ইউসিএল ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল হেলথের পরিচালক অ্যান্থনি কস্টেলো বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের স্বাস্থ্যগত প্রভাব ব্যাপক। তবে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যখন কোনো নীতিগত বিতর্ক হয়, তখন স্বাস্থ্য খাত উপেক্ষিতই থাকে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা বর্তমান ধারায় বেড়ে যদি চার ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে পৌঁছায়, তবে তা মানবস্বাস্থ্য এবং মানুষের অস্তিত্বের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। এতে মানবস্বাস্থ্যের উন্নয়নে অর্ধশতকে যেসব অর্জন হয়েছে, তা নষ্ট হয়ে যাবে।’
অ্যান্থনি কস্টেলো বলেন, ‘এখন যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, তাকে স্বাস্থ্য খাতের ওপর এক জরুরি পরিস্থিতি বলা যেতে পারে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা এর চেয়ে কমের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। আগামী ১০ বছরের মধ্যেই যা করার করতে হবে। নয়তো পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেবে।’
গবেষণায় বিশদ বিশ্লেষণে তাপদাহ, বন্যা, খরার সরাসরি স্বাস্থ্যগত প্রভাবের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এর পাশাপাশি বায়ুদূষণ, রোগ ছড়িয়ে পড়া এবং দুর্ভিক্ষের সঙ্গে অপ্রত্যক্ষ সম্পর্কও তুলে ধরা হয় গবেষণায়। প্রতিবেদনে কয়লানির্ভর জ্বালানি থেকে দ্রুত সরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কার্বন গ্যাস কম ব্যবহারের অর্থনীতি চালু করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবই মূল প্রতিবন্ধকতা। আর এর ফলেই স্বাস্থ্য, দারিদ্র্যের উন্নতি থমকে আছে। রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে সঠিক অর্থায়ন হচ্ছে না এবং নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে না।
গবেষকেরা বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের স্বাস্থ্যগত প্রভাবটি সব সময়ই অবহেলিত থেকেছে এ–সংক্রান্ত আলোচনার সময়। জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে বর্তমান সমাজের যে “আসক্তি”, তা দূর করতে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য খাতের পেশাজীবীদের একেবারে সামনের কাতারে এসে দাঁড়াতে হবে। অতীতে তামাকশিল্পের সঙ্গে যেভাবে তাঁরা লড়াই করেছেন, তেমন ভূমিকাই পালন করতে হবে তাঁদের। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টিকে সামনে এনে আমাদের পরিবার-পরিজন, সম্প্রদায় এবং দেশের মঙ্গলের জন্যই একাজ করতে হবে।’
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য কয়লা, গ্যাস, খনিজ তেলের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপক ব্যবহারকেই মূল কারণ বলে মনে করা হয়। এসব জ্বালানির ব্যাপক মাত্রায় ব্যবহারের ফলে কার্বন–ডাই অক্সাইডসহ গ্রিনহাউস গ্যাস উষ্ণায়ন বাড়াচ্ছে।
অ্যান্থনি কস্টেলো বলেন, ‘আমরা দিন দিন মুটিয়ে যাচ্ছি, বাড়ছে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, বিষণ্নতা, উদ্বিগ্নতা। উন্নত যানবাহন, হাঁটা, সাইকেল চালানো এবং সুষম খাবার খাওয়ার মতো অভ্যাসগুলো করতে পারলে বায়ুদূষণ কমবে। এর ফলে রোধ হবে জলবায়ু পরিবর্তন। এর ফলে স্বাস্থ্য খাতেও বড় লাভের সুযোগ থাকে।’
আগামী ডিসেম্বর মাসে প্যারিসে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনের আগে এই প্রতিবেদনকে খুবই সময়োপযোগী বলে মনে করেন ডব্লিউএইচওর প্রধান মার্গারেট চ্যান। ওই সম্মেলনে কার্বন নির্গমন রোধে দেশগুলো একটি সর্বসম্মত চুক্তি করতে যাচ্ছে।
No comments