বাল্যবিয়ে বন্ধে রাজনৈতিক চাপ দেয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের
বাল্যবিয়ে
বন্ধে বাংলাদেশের ওপর রাজনৈতিক পর্যায়ে চাপ প্রয়োগ করা উচিত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার সরকারের। শুরুতেই তারা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মেয়েদের বিয়ের বয়স কম করা থেকে
বেরিয়ে আসার জন্য কথা বলতে পারে। তার প্রতি আহ্বান জানাতে পারে ছেলে ও
মেয়ে উভয়ের বিয়ের বয়সসীমা ১৮ করার জন্য। সময় পেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে
বাংলাদেশের মেয়েদের আরেকটি প্রজন্ম হারিয়ে যাচ্ছে বাল্যবিয়ে। এ ক্ষেত্রে
যুক্তরাষ্ট্র আরও অনেকটা সাহায্য করতে পারে এবং তাদের তা করা উচিত। গতকাল
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে এসব কথা লিখেছেন
লেইসল গার্নথেলটজ। তিনি এতে বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নারী অধিকারবিষয়ক পরিচালক। ওই নিবন্ধে তিনি আরও
লিখেছেন, বাংলাদেশে আরও সুনির্দিষ্ট কিছু খাতে অর্থায়ন করে এ সমস্যা
সমাধানে এগিয়ে আসতে পারে। নিবন্ধের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো এখানে তুলে ধরা
হলো: এটা নদীভাঙনের শিকার একটি এলাকা। আমার বাবা খুব গরিব। তাই তিনি দ্রুত
আমাকে বিয়ে দিয়ে দিলেন। এসব বলছিলেন বাংলাদেশের সুলতানা। ১৪ বছর বয়সে তার
বিয়ে হয় ২১-২২ বছর বয়সী এক লোকের সঙ্গে। নদীভাঙনের শিকার হয়ে নিজেদের ঘর
হারানোর কয়েক মাস পরই সুলতানার বিয়ে হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আমার বাবা
বলেন, আমাকে ঘরে রাখা তার পক্ষে আর সম্ভব নয়। যেটুকু জমি ও ঘর আমার বাবার
ছিল, সব নদীভাঙনের কারণে পানিতে তলিয়ে গেছে। এজন্যই আমার পরিবার আমাকে বিয়ে
দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যখন সুলতানার
(ছদ্মনাম) সাক্ষাৎকার নেয়, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। তার শ্বশুরবাড়ির
লোকরাও নদীভাঙনের কারণে নিজেদের ঘর ও জমি হারিয়েছে। এখন তারা একটি ভাড়া
বাড়িতে থাকেন। সুলতানা থাকেন তার শ্বশুরবাড়িতে। তিনি বিয়ের পরও নিজের
পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার শ্বশুরবাড়ি থেকে অনুমতি পাননি।
তিনি জানান, আমি আমার শিক্ষাজীবন উপভোগ করতাম। শিক্ষা ছাড়া জীবন খুবই কঠিন।
বিশ্বের যে কোন দেশের চেয়ে বাংলাদেশে ১৫ বছরেরও কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে হয় সবচেয়ে বেশি। দেশটির প্রায় ২৯ শতাংশ মেয়েরই বিয়ে হয় এ বয়সে। ১৮ বছর বয়সে বিয়ে হয় ৬৫ শতাংশ মেয়ের। অথচ এ বয়সে তারা সবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে। বাংলাদেশের দরিদ্র মেয়েরা রীতিমতো ঝড়ের ওপর দিয়ে যায়। দরিদ্রতা, সামাজিক চাপ, শিক্ষার সুযোগের অভাব- এসব কারণেই বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে সংঘটিত হয় বেশি। অনেক পরিবার মেয়েদের শিক্ষার ব্যয় নির্বাহ করতে পারে না। ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে, পরীক্ষার ফি, খাতা-কলমসহ অন্যান্য ব্যয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিউশন ফিও নেই, তার পরও এ অবস্থা। ওই সব পরিবার মনে করে, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাস করার অর্থ, মেয়েরা বিয়ের উপযুক্ত হয়ে গেছে। যৌতুকপ্রথাও বাল্যবিয়েকে উৎসাহিত করে। কেননা, একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে, কম বয়সী মেয়ের জন্য যৌতুক দিতে হয় কম। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বহু পরিবার দরিদ্রতার শিকার হয়। এর ফলে সেসব পরিবার সরাসরি বাল্যবিয়ের দিকে অগ্রসর হয়। ঠিক এমনটিই হয়েছে সুলতানার ক্ষেত্রে। আবার অনেক মেয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়, অপহরণের হুমকিও পায়। পুলিশের কাছ থেকে কোন সহায়তা না পেয়ে, ভীতসন্ত্রস্ত পরিবার মেয়েকে রক্ষা করতে বিয়ে দেয়াটাই সমাধান মনে করে। দেশের বিভিন্ন অংশে বহু মেয়ে নিজের জীবনের ওপর বাল্যবিয়ের প্রভাব বর্ণনা করতে গিয়ে প্রায় একই বাক্যই মুখে এনেছে: আমার জীবনটা ধ্বংস হয়ে গেছে।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও গবেষণা থেকেও এটিরই প্রতিফলন ঘটে। যেসব মেয়ের তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়, তাদের স্কুলে থাকার সম্ভাবনা কমে যায়। বাংলাদেশে বহু শিশু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পা রাখার আগেই ঝরে পড়ে। তাড়াতাড়ি গর্ভধারণের ফলে মেয়েরা মৃত্যুসহ বেশ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে থাকে। এ ঝুঁকির আওতায় থাকে তাদের সন্তানরাও। এসব মেয়ে আবার ঘরোয়া সহিংসতা ও নির্যাতনে ভোগার ঝুঁকিতেও থাকে। বেশ কিছু হৃদয়বিদারক ঘটনা নথিভুক্ত করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সেখানে দেখা গেছে, কিছু মেয়ে মারাত্মক নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামীকে ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু একপর্যায়ে উপায়ন্তর না দেখে আবার স্বামীর বাড়িতে ফিরতে রীতিমতো অনুনয় করতে হয় তাদের। কেননা, তাদের আসলে যাওয়ার কোন জায়গাই নেই।
বাল্যবিয়ে বন্ধে বাংলাদেশ সরকার আরও অনেক কিছুই করতে পারে, করা উচিতও। বাংলাদেশের স্বাক্ষরকৃত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ঘোষণা অনুযায়ীও, আইনগতভাবে বাংলাদেশ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য। এর মধ্যে রয়েছে নারীর ওপর বৈষম্য হ্রাস ও শিশু অধিকার রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়া। ২০১৪ সালে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছর বয়সের নিচে মেয়েদের বিয়ে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ ছাড়া ১৫-১৮ বছর বয়সী মেয়েদের বিয়ের হার এক-তৃতীয়াংস হ্রাসের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। ২০৪১ সালের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে সম্পূর্ণ বন্ধে তার সরকারের লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। তার লক্ষ্য যদি অর্জিত হয়ও, আগামী ২৬ বছর ধরে বাল্যবিয়ে হতেই থাকবে। তবে এসব লক্ষ্যমাত্রা ইঙ্গিত দেয় যে সরকার এসব ইস্যুর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। কিন্তু ওই ঘোষণার কয়েক মাস পর শেখ হাসিনার সরকার একটি ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত নেয়। সেটি হলো, মেয়েদের বিয়ের আইনি বয়স ১৮ থেকে ১৬-তে নামিয়ে আনা।
বাংলাদেশের অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় দাতা হিসেবে ২০১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশকে প্রায় ২৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার সাহায্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া সারাবিশ্বে বাল্যবিয়ে বন্ধের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রাখছে আমেরিকা। ইউনাইটেড স্টেটস অ্যাজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি লক্ষ্যও নির্মাণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অর্থায়ন প্রকল্প বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বাল্যবিয়ে বন্ধে কাজ করছে। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি ও শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র অর্থায়নের বেলায় আরও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যাতে বাল্যবিয়ে বন্ধে পদ্ধতিগত ও আইনি সংস্কার হতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশ বা অন্য কোথাও যুক্তরাষ্ট্র যেসব খাতে সহায়তা দিয়ে থাকে, সেসব খাতের পদ্ধতিগত পরিবর্তনের দিকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার সরকারের উচিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক পর্যায়ে বাল্যবিয়ে বন্ধে আরও পদক্ষেপ নিতে চাপ দেয়া। সময় যতদূর যাচ্ছে, বাংলাদেশের আরেকটি প্রজন্ম বাল্যবিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ ক্ষেত্রে অনেক কিছু করার আছে, করা উচিতও।
বিশ্বের যে কোন দেশের চেয়ে বাংলাদেশে ১৫ বছরেরও কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে হয় সবচেয়ে বেশি। দেশটির প্রায় ২৯ শতাংশ মেয়েরই বিয়ে হয় এ বয়সে। ১৮ বছর বয়সে বিয়ে হয় ৬৫ শতাংশ মেয়ের। অথচ এ বয়সে তারা সবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে। বাংলাদেশের দরিদ্র মেয়েরা রীতিমতো ঝড়ের ওপর দিয়ে যায়। দরিদ্রতা, সামাজিক চাপ, শিক্ষার সুযোগের অভাব- এসব কারণেই বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে সংঘটিত হয় বেশি। অনেক পরিবার মেয়েদের শিক্ষার ব্যয় নির্বাহ করতে পারে না। ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে, পরীক্ষার ফি, খাতা-কলমসহ অন্যান্য ব্যয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিউশন ফিও নেই, তার পরও এ অবস্থা। ওই সব পরিবার মনে করে, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাস করার অর্থ, মেয়েরা বিয়ের উপযুক্ত হয়ে গেছে। যৌতুকপ্রথাও বাল্যবিয়েকে উৎসাহিত করে। কেননা, একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে, কম বয়সী মেয়ের জন্য যৌতুক দিতে হয় কম। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বহু পরিবার দরিদ্রতার শিকার হয়। এর ফলে সেসব পরিবার সরাসরি বাল্যবিয়ের দিকে অগ্রসর হয়। ঠিক এমনটিই হয়েছে সুলতানার ক্ষেত্রে। আবার অনেক মেয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়, অপহরণের হুমকিও পায়। পুলিশের কাছ থেকে কোন সহায়তা না পেয়ে, ভীতসন্ত্রস্ত পরিবার মেয়েকে রক্ষা করতে বিয়ে দেয়াটাই সমাধান মনে করে। দেশের বিভিন্ন অংশে বহু মেয়ে নিজের জীবনের ওপর বাল্যবিয়ের প্রভাব বর্ণনা করতে গিয়ে প্রায় একই বাক্যই মুখে এনেছে: আমার জীবনটা ধ্বংস হয়ে গেছে।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও গবেষণা থেকেও এটিরই প্রতিফলন ঘটে। যেসব মেয়ের তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়, তাদের স্কুলে থাকার সম্ভাবনা কমে যায়। বাংলাদেশে বহু শিশু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পা রাখার আগেই ঝরে পড়ে। তাড়াতাড়ি গর্ভধারণের ফলে মেয়েরা মৃত্যুসহ বেশ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে থাকে। এ ঝুঁকির আওতায় থাকে তাদের সন্তানরাও। এসব মেয়ে আবার ঘরোয়া সহিংসতা ও নির্যাতনে ভোগার ঝুঁকিতেও থাকে। বেশ কিছু হৃদয়বিদারক ঘটনা নথিভুক্ত করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সেখানে দেখা গেছে, কিছু মেয়ে মারাত্মক নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামীকে ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু একপর্যায়ে উপায়ন্তর না দেখে আবার স্বামীর বাড়িতে ফিরতে রীতিমতো অনুনয় করতে হয় তাদের। কেননা, তাদের আসলে যাওয়ার কোন জায়গাই নেই।
বাল্যবিয়ে বন্ধে বাংলাদেশ সরকার আরও অনেক কিছুই করতে পারে, করা উচিতও। বাংলাদেশের স্বাক্ষরকৃত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ঘোষণা অনুযায়ীও, আইনগতভাবে বাংলাদেশ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য। এর মধ্যে রয়েছে নারীর ওপর বৈষম্য হ্রাস ও শিশু অধিকার রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়া। ২০১৪ সালে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছর বয়সের নিচে মেয়েদের বিয়ে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ ছাড়া ১৫-১৮ বছর বয়সী মেয়েদের বিয়ের হার এক-তৃতীয়াংস হ্রাসের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। ২০৪১ সালের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে সম্পূর্ণ বন্ধে তার সরকারের লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। তার লক্ষ্য যদি অর্জিত হয়ও, আগামী ২৬ বছর ধরে বাল্যবিয়ে হতেই থাকবে। তবে এসব লক্ষ্যমাত্রা ইঙ্গিত দেয় যে সরকার এসব ইস্যুর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। কিন্তু ওই ঘোষণার কয়েক মাস পর শেখ হাসিনার সরকার একটি ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত নেয়। সেটি হলো, মেয়েদের বিয়ের আইনি বয়স ১৮ থেকে ১৬-তে নামিয়ে আনা।
বাংলাদেশের অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় দাতা হিসেবে ২০১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশকে প্রায় ২৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার সাহায্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া সারাবিশ্বে বাল্যবিয়ে বন্ধের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রাখছে আমেরিকা। ইউনাইটেড স্টেটস অ্যাজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি লক্ষ্যও নির্মাণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অর্থায়ন প্রকল্প বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বাল্যবিয়ে বন্ধে কাজ করছে। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি ও শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র অর্থায়নের বেলায় আরও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যাতে বাল্যবিয়ে বন্ধে পদ্ধতিগত ও আইনি সংস্কার হতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশ বা অন্য কোথাও যুক্তরাষ্ট্র যেসব খাতে সহায়তা দিয়ে থাকে, সেসব খাতের পদ্ধতিগত পরিবর্তনের দিকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার সরকারের উচিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক পর্যায়ে বাল্যবিয়ে বন্ধে আরও পদক্ষেপ নিতে চাপ দেয়া। সময় যতদূর যাচ্ছে, বাংলাদেশের আরেকটি প্রজন্ম বাল্যবিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ ক্ষেত্রে অনেক কিছু করার আছে, করা উচিতও।
No comments