সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর সত্য ভাষণ- রাজনীতির কাছে এত অসহায় হলে চলবে!
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
সত্য বলেন, কিন্তু কতটা বলেন? তিনি সম্প্রতি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক কারণেই
রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা যায় না।’ কথা সত্য, কিন্তু তিনি কোন
রাজনীতির কথা বলছেন? যে রাজনীতির তিনি একজন নেতা এবং যে রাজনীতি তাঁকে
মন্ত্রী করেছে, সেই রাজনীতির কাছে তিনি এত অসহায় হলে চলবে?
সঠিকভাবেই সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেছেন, রাস্তা দখলমুক্ত করতে না পারলে ষোলো লেন করেও যানজট দূর করা যাবে না। দখলদারেরা ক্ষমতাবান, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তাঁরা কি মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাবান? ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়কের যানজটসহ সব সমস্যা ও দুর্ঘটনা বন্ধে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রীর এ আন্তরিকতার বাস্তবায়ন করার কথা স্বয়ং সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর, তাঁর সহযোগিতা পাওয়ার কথা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর। কার্যত বাণী প্রদানই সার, বাস্তবে সকলই গরল ভেল।
এই দখলদারেরা রাস্তার জায়গা দখল করেন, বিলবোর্ড দখল করেন, মিছিল-মিটিংয়ের নামে চলাচল বন্ধ করেন। বিরোধী দলের দিক থেকে কোনো বাধা দেখা যাচ্ছে না, তাহলে সরকার নিজের লোকদের কাছেই পরাস্ত হচ্ছে!
ঢাকার রাজপথ যে অসংখ্য ‘ভিআইপি’র চাপে জর্জরিত, সেটা এখন বাস্তবতা। মন্ত্রী আরও বলেছেন, সাধারণ মানুষ আইন মানে, কিন্তু অসাধারণ মানুষেরা (ভিআইপি) আইন মানে না। যত্রতত্র বললেও কম বলা হয়, অধিকাংশ ব্যক্তিগত গাড়ি পার্ক করে রাখা হয় রাস্তায়। একজন বা দুজন মাত্র ব্যক্তি সড়কের দশ জন যাত্রী পরিবহনের সমান জায়গা দখল করে গাড়ি হাঁকান। কিন্তু পরিণামে ধনী ও গরিব, বিলাসী ও হতদরিদ্র—সব গাড়ি একই যানজটে আটকে থাকে। ব্যক্তিস্বার্থের অন্ধত্ব কতটা আত্মঘাতী হতে পারে, তা ঢাকার রাস্তার নৈরাজ্য দেখলেই বোঝা যায়।
ঢাকার যানজটের নারকীয় দশা মানুষের জীবন থেকে মূল্যবান সময় কেড়ে নিচ্ছে, খিটিমিটি করে তুলছে নাগরিক মেজাজ। গতি ও নিরাপত্তা ছাড়া নগর হয় না। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, কিছু একটা ঝাঁকি দিন, দিন বদলান, কথাকে কাজে পরিণত করুন।
সঠিকভাবেই সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেছেন, রাস্তা দখলমুক্ত করতে না পারলে ষোলো লেন করেও যানজট দূর করা যাবে না। দখলদারেরা ক্ষমতাবান, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তাঁরা কি মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাবান? ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়কের যানজটসহ সব সমস্যা ও দুর্ঘটনা বন্ধে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রীর এ আন্তরিকতার বাস্তবায়ন করার কথা স্বয়ং সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর, তাঁর সহযোগিতা পাওয়ার কথা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর। কার্যত বাণী প্রদানই সার, বাস্তবে সকলই গরল ভেল।
এই দখলদারেরা রাস্তার জায়গা দখল করেন, বিলবোর্ড দখল করেন, মিছিল-মিটিংয়ের নামে চলাচল বন্ধ করেন। বিরোধী দলের দিক থেকে কোনো বাধা দেখা যাচ্ছে না, তাহলে সরকার নিজের লোকদের কাছেই পরাস্ত হচ্ছে!
ঢাকার রাজপথ যে অসংখ্য ‘ভিআইপি’র চাপে জর্জরিত, সেটা এখন বাস্তবতা। মন্ত্রী আরও বলেছেন, সাধারণ মানুষ আইন মানে, কিন্তু অসাধারণ মানুষেরা (ভিআইপি) আইন মানে না। যত্রতত্র বললেও কম বলা হয়, অধিকাংশ ব্যক্তিগত গাড়ি পার্ক করে রাখা হয় রাস্তায়। একজন বা দুজন মাত্র ব্যক্তি সড়কের দশ জন যাত্রী পরিবহনের সমান জায়গা দখল করে গাড়ি হাঁকান। কিন্তু পরিণামে ধনী ও গরিব, বিলাসী ও হতদরিদ্র—সব গাড়ি একই যানজটে আটকে থাকে। ব্যক্তিস্বার্থের অন্ধত্ব কতটা আত্মঘাতী হতে পারে, তা ঢাকার রাস্তার নৈরাজ্য দেখলেই বোঝা যায়।
ঢাকার যানজটের নারকীয় দশা মানুষের জীবন থেকে মূল্যবান সময় কেড়ে নিচ্ছে, খিটিমিটি করে তুলছে নাগরিক মেজাজ। গতি ও নিরাপত্তা ছাড়া নগর হয় না। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, কিছু একটা ঝাঁকি দিন, দিন বদলান, কথাকে কাজে পরিণত করুন।
No comments