আতঙ্কে ভুগছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাও বিরক্তিকর!
কোপায় এখনো কোপ বসাতে পারেনি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার কেউই! |
আনলাকি
সেভেন! ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে সাত সংখ্যাটি চির দুঃখের সমার্থক হয়ে
থাকবে। আতঙ্কেরও কি নয়? ব্রাজিল জাতীয় দলের গোলকিপিং কোচ ক্লদিও তাফারেল
মনে করেন, গত বিশ্বকাপের আতঙ্ক এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি
ব্রাজিল। সেই ছাপ দেখা যাচ্ছে কোপা আমেরিকায় তাদের খেলায়। বিশ্বকাপের
পর ১৩ ম্যাচের ১২টিতেই জিতেছে ব্রাজিল। টানা দশ ম্যাচে জিতে এসে কোপা
আমেরিকা শুরু করেছিল কার্লোস দুঙ্গার দল। মনে হচ্ছিল, বিশ্বকাপের শেষ দুই
ম্যাচে নিজেদের মাঠে দশ গোল হজম করার ধাক্কা তারা কাটিয়ে উঠেছে। কিন্তু
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ফিরতেই ব্রাজিল যেন আবারও ‘নার্ভাস’। কোপায় গ্রুপ
পর্বের দুই ম্যাচে তারা জিতেছে ন্যূনতম ব্যবধানে। আর এক ম্যাচে তো হেরেই
গেছে। এর মধ্যে হারাতে হয়েছে অধিনায়ক নেইমারকেও।
আর্জেন্টিনাও কি খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় আছে? লিওনেল মেসি, সার্জিও আগুয়েরো, কার্লোস তেভেজ, গঞ্জালো হিগুয়েইন, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া—কী বড় বড় সব নাম! এর মধ্যে প্রথম চারজন মিলে গত ক্লাব মৌসুমে করেছেন ১৪৮ গোল। সেই আর্জেন্টিনা তিন ম্যাচে করেছে চার গোল! প্যারাগুয়ের সঙ্গে ২-২ ড্র। উরুগুয়ে আর জ্যামাইকার বিপক্ষে জয় এসেছে মাত্র ১-০ গোলের স্কোরলাইনে! অন্য কেউ নয়, খোদ কোচ জেরার্ডো মার্টিনো শিষ্যদের খেলা দেখে বলছেন, আর্জেন্টিনা খুব ‘বোরিং’ ফুটবল খেলছে।
আর্জেন্টিনা হয়তো একের পর এক টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হয়েছে, অঘটনের শিকার হয়েছে। কিন্তু সমর্থকদের তার পরও মনে রাখার মতো কোনো না কোনো রোমাঞ্চ উপহার দিয়ে গেছে। সেই আর্জেন্টিনাই এবার একঘেয়ে? বিরক্তিকর? খেলছে ঘুমপাড়ানি ফুটবল! সেই অভিযোগও কিনা কোচের তরফ থেকে।
কে জানে, হয়তো শিষ্যদের কথার চাবুকে ঘা মেরে ঘুম তাড়ানোর চেষ্টা করলেন মার্টিনো। হয়তো একই চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাফারেলও। সামনেই আবার কঠিন পরীক্ষা এই দুই দলের জন্যই। ব্রাজিলকে হারিয়ে দেওয়া কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। পরদিন ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনাকে ড্রয়ে বাধ্য করা প্যারাগুয়ে মুখোমুখি হবে ব্রাজিলের।
১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী দলের এক নম্বর গোলরক্ষক ছিলেন। ব্রাজিল তাদের পাঁচ বিশ্ব শিরোপার মধ্যে সেবারই সবচেয়ে লড়াই করে, সংগ্রাম করে জিতেছে। সেই দলটার কাছ থেকেই তাই অনুপ্রেরণা নিতে বলছেন তাফারেল।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার কঠিন পথ এখানেই শেষ হচ্ছে না। কোয়ার্টার বাধা পেরোতে পারলে সেমিফাইনালেই যে পরস্পর পরস্পরের মুখোমুখি হবে তারা!
আর্জেন্টিনাও কি খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় আছে? লিওনেল মেসি, সার্জিও আগুয়েরো, কার্লোস তেভেজ, গঞ্জালো হিগুয়েইন, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া—কী বড় বড় সব নাম! এর মধ্যে প্রথম চারজন মিলে গত ক্লাব মৌসুমে করেছেন ১৪৮ গোল। সেই আর্জেন্টিনা তিন ম্যাচে করেছে চার গোল! প্যারাগুয়ের সঙ্গে ২-২ ড্র। উরুগুয়ে আর জ্যামাইকার বিপক্ষে জয় এসেছে মাত্র ১-০ গোলের স্কোরলাইনে! অন্য কেউ নয়, খোদ কোচ জেরার্ডো মার্টিনো শিষ্যদের খেলা দেখে বলছেন, আর্জেন্টিনা খুব ‘বোরিং’ ফুটবল খেলছে।
আর্জেন্টিনা হয়তো একের পর এক টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হয়েছে, অঘটনের শিকার হয়েছে। কিন্তু সমর্থকদের তার পরও মনে রাখার মতো কোনো না কোনো রোমাঞ্চ উপহার দিয়ে গেছে। সেই আর্জেন্টিনাই এবার একঘেয়ে? বিরক্তিকর? খেলছে ঘুমপাড়ানি ফুটবল! সেই অভিযোগও কিনা কোচের তরফ থেকে।
কে জানে, হয়তো শিষ্যদের কথার চাবুকে ঘা মেরে ঘুম তাড়ানোর চেষ্টা করলেন মার্টিনো। হয়তো একই চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাফারেলও। সামনেই আবার কঠিন পরীক্ষা এই দুই দলের জন্যই। ব্রাজিলকে হারিয়ে দেওয়া কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। পরদিন ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনাকে ড্রয়ে বাধ্য করা প্যারাগুয়ে মুখোমুখি হবে ব্রাজিলের।
১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী দলের এক নম্বর গোলরক্ষক ছিলেন। ব্রাজিল তাদের পাঁচ বিশ্ব শিরোপার মধ্যে সেবারই সবচেয়ে লড়াই করে, সংগ্রাম করে জিতেছে। সেই দলটার কাছ থেকেই তাই অনুপ্রেরণা নিতে বলছেন তাফারেল।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার কঠিন পথ এখানেই শেষ হচ্ছে না। কোয়ার্টার বাধা পেরোতে পারলে সেমিফাইনালেই যে পরস্পর পরস্পরের মুখোমুখি হবে তারা!
No comments