মোবাইল কোর্ট অ্যাক্টের প্রস্তাবিত সংশোধনী আইনের শাসনের পরিপন্থি
দোষ
স্বীকার না করলেও শাস্তি দেয়ার বিধান যুক্ত করে মোবাইল কোর্ট আইন সংশোধন
করা হলে তা আইনের শাসনের পরিপন্থি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বার কাউন্সিলের
ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের
আওতায় সাজার পরিমাণ বাড়ানোর প্রয়োজন হলে ওই আইনে বিচারিক ক্ষমতা জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেটদের ওপর ন্যস্ত করতে হবে। তা না হলে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের
উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে এবং হয়রানির শিকার হবে নিরীহ জনগণ। গতকাল বার
কাউন্সিলে এক সংবাদ সম্মেলনে মোবাইল কোর্ট আইন সংশোধন না করার জন্যও তিনি
সরকারের প্রতি আহবান জানান। সংবাদ সম্মেলনে বার কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য
ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ
উপস্থিত ছিলেন। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার
বিভাগ পৃথককরণের পর থেকে সরকার নানাভাবে বিচার বিভাগের উপর প্রাধান্য
বিস্তারের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে মোবাইল কোর্ট আইন সংশোধন করে
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারিক ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার।
এজন্য ব্যক্তি দোষ স্বীকার না করলেও তাকে শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে দিতে চাচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, সরকার নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেটদের খুশি করার জন্যই এ আইন সংশোধন করছে। এ সংশোধনীর
রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহার হবে।
গত ২২শে জুন মন্ত্রিসভা মোবাইল কোর্ট (সংশোধন) আইন ২০১৫-এর খসড়া ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। এতে দোষ স্বীকার না করলেও সাক্ষ্য ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তকে দণ্ড দিতে পারবেন এমন বিধান সংযুক্ত করা হয়। এছাড়া বলা হয়, অভিযুক্ত পালিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে মামলা করার হুকুম দিতে পারবেন ম্যাজিস্ট্রেট। আইন বিশেষজ্ঞরা প্রস্তাবিত সংশোধনীর বিরোধিতা করছেন।
গত ২২শে জুন মন্ত্রিসভা মোবাইল কোর্ট (সংশোধন) আইন ২০১৫-এর খসড়া ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। এতে দোষ স্বীকার না করলেও সাক্ষ্য ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তকে দণ্ড দিতে পারবেন এমন বিধান সংযুক্ত করা হয়। এছাড়া বলা হয়, অভিযুক্ত পালিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে মামলা করার হুকুম দিতে পারবেন ম্যাজিস্ট্রেট। আইন বিশেষজ্ঞরা প্রস্তাবিত সংশোধনীর বিরোধিতা করছেন।
No comments