বিনা দোষে ২৫ বছর জেলে, ক্ষতিপূরণ ৪৮ কোটি টাকা
যুক্তরাষ্ট্রে বিনা দোষে ২৫ বছর কারাদণ্ড ভোগ করায় এক ব্যক্তিকে ৬২ লাখ ৫০ হাজার ডলার দিতে রাজি হয়েছে নিউইয়র্কের কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশি টাকায় তা ৪৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বেশি। খুন না করেও ওই ব্যক্তিকে খুনি সাব্যস্ত হয়ে সাজা খাটতে হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, আদালত নির্দোষ ঘোষণা করার পর ২০১৪ সালের এপ্রিলে জোনাথন ফ্লেমিং (৫৩) ছাড়া পান। তাঁর জীবনের প্রায় অর্ধেকটা সময় কারাগারে কাটাতে হয়েছে।
এক বন্ধুকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ১৯৮৯ সালে ফ্লেমিং দণ্ডিত হন। যদিও ওই সময় তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে ছিলেন।
নিউইয়র্ক সিটির হিসাবাধ্যক্ষ স্কট স্ট্রিঙ্গার বলেন, ‘ফ্লেমিং একটি অপরাধের জন্য তাঁর জীবনের প্রায় অর্ধেকটা সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। ওই সময়ের সাক্ষ্য-তথ্য অনুযায়ী তিনি ওই অপরাধ করেননি। আমরা তাঁকে হারানো সময় ফিরিয়ে দিতে পারব না। তিনি যে অন্যায়ের শিকার হয়েছেন, এ জন্য তাঁকে ক্ষতিপূরণ দিতে পারি।’
এ বিষয়ের এক সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষর করার পর ফ্লেমিং তাঁর মুমূর্ষু মাকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন বলে তাঁর আইনজীবী পল কলান ও মার্টিন এডেলম্যান জানিয়েছেন। এক যৌথ বিবৃতিতে তিনি জানান, সমঝোতায় পাওয়া অর্থ দিয়ে জোনাথন ও তাঁর পরিবার নতুনভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন।
গত বছর গার্ডিয়ানের সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্লেমিং বলেন, ‘যখন আমাকে বলা হলো আমি মুক্তি পেয়েছি, তখন কারাগারের বিছানার ওপর বসে ১০ মিনিট ধরে কেঁদেছি।’ মাত্র ৯৩ ডলার নিয়ে তিনি জেল থেকে বের হন। একটি কাজ পেতে হোটেল থেকে হোটেলে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
গার্ডিয়ানকে ফ্লেমিং বলেন, ‘যেহেতু আমি নির্দোষ, কাজেই আমাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।’
১৯৮৯ সালের ১৪ আগস্ট রাত নয়টা ২৭ মিনিটে ফ্লোরিডার একটি হোটেলে ওঠেন ফ্লেমিং। এর চার ঘণ্টা আগে ফ্লোরিডা থেকে প্রায় এক হাজার মাইল দূরে ব্রুকলিনে ড্যারিল রাশ খুন হয়েছিলেন।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন অধ্যাপকের নেতৃত্বে ব্রুকলিনের বিশেষ ইউনিট ফ্লেমিংসহ আরও বেশ কয়েকজনের দণ্ডাদেশের বিষয় খতিয়ে দেখে। এতে ফ্লেমিং নির্দোষ থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, আদালত নির্দোষ ঘোষণা করার পর ২০১৪ সালের এপ্রিলে জোনাথন ফ্লেমিং (৫৩) ছাড়া পান। তাঁর জীবনের প্রায় অর্ধেকটা সময় কারাগারে কাটাতে হয়েছে।
এক বন্ধুকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ১৯৮৯ সালে ফ্লেমিং দণ্ডিত হন। যদিও ওই সময় তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে ছিলেন।
নিউইয়র্ক সিটির হিসাবাধ্যক্ষ স্কট স্ট্রিঙ্গার বলেন, ‘ফ্লেমিং একটি অপরাধের জন্য তাঁর জীবনের প্রায় অর্ধেকটা সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। ওই সময়ের সাক্ষ্য-তথ্য অনুযায়ী তিনি ওই অপরাধ করেননি। আমরা তাঁকে হারানো সময় ফিরিয়ে দিতে পারব না। তিনি যে অন্যায়ের শিকার হয়েছেন, এ জন্য তাঁকে ক্ষতিপূরণ দিতে পারি।’
এ বিষয়ের এক সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষর করার পর ফ্লেমিং তাঁর মুমূর্ষু মাকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন বলে তাঁর আইনজীবী পল কলান ও মার্টিন এডেলম্যান জানিয়েছেন। এক যৌথ বিবৃতিতে তিনি জানান, সমঝোতায় পাওয়া অর্থ দিয়ে জোনাথন ও তাঁর পরিবার নতুনভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন।
গত বছর গার্ডিয়ানের সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্লেমিং বলেন, ‘যখন আমাকে বলা হলো আমি মুক্তি পেয়েছি, তখন কারাগারের বিছানার ওপর বসে ১০ মিনিট ধরে কেঁদেছি।’ মাত্র ৯৩ ডলার নিয়ে তিনি জেল থেকে বের হন। একটি কাজ পেতে হোটেল থেকে হোটেলে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
গার্ডিয়ানকে ফ্লেমিং বলেন, ‘যেহেতু আমি নির্দোষ, কাজেই আমাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।’
১৯৮৯ সালের ১৪ আগস্ট রাত নয়টা ২৭ মিনিটে ফ্লোরিডার একটি হোটেলে ওঠেন ফ্লেমিং। এর চার ঘণ্টা আগে ফ্লোরিডা থেকে প্রায় এক হাজার মাইল দূরে ব্রুকলিনে ড্যারিল রাশ খুন হয়েছিলেন।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন অধ্যাপকের নেতৃত্বে ব্রুকলিনের বিশেষ ইউনিট ফ্লেমিংসহ আরও বেশ কয়েকজনের দণ্ডাদেশের বিষয় খতিয়ে দেখে। এতে ফ্লেমিং নির্দোষ থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
No comments