তেহরানকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিতে প্রস্তুত পরাশক্তিগুলো!
যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য পরাশক্তিগুলো ইরানকে উচ্চপ্রযুক্তির পারমাণবিক চুল্লি ও অন্যান্য সর্বাধুনিক সরঞ্জাম দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির মতো কর্মসূচিগুলো বাতিলে রাজি হলেই সেগুলো দেওয়া হবে। চলমান পারমাণবিক আলোচনা-সংশ্লিষ্ট একটি গোপন খসড়া নথিতে এ কথা রয়েছে। খবর এপির।
ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তি (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও জার্মানি) বর্তমানে একটি অন্তর্বর্তী সমঝোতায় রয়েছে। উভয় পক্ষ ৩০ জুনের মধ্যে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে উপনীত হওয়ার কথা রয়েছে। সে লক্ষ্যে গতকাল বুধবার থেকে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় নতুন দফা আলোচনা শুরুর কথা ছিল।
‘বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা’ শিরোনামের ওই নথিতে ইরানকে তার প্রায় সম্পন্ন আরাক ভারী পানির পারমাণবিক চুল্লির পরিবর্তে বেশ কিছু হালকা পানির চুল্লি সরবরাহ করা হবে। নির্মাণকাজ শেষ হলে আরাকের পারমাণবিক কেন্দ্রটি ইরানকে বছরে কয়েকটি বোমা তৈরির জন্য যথেষ্ট প্লুটোনিয়াম তৈরি করে দিতে পারে।
১৯ জুন লেখা ওই নথিতে আরাক চুল্লি পুনর্নির্মাণ, পারমাণবিক জ্বালানির জোগান দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের পাশাপাশি ইরানকে পারমাণবিক নিরাপত্তা, পারমাণবিক ওষুধ, গবেষণা, পারমাণবিক বর্জ্য অপসারণ ও অন্যান্য শান্তিপূর্ণ কাজগুলোতে সহায়তারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক কেন্দ্র ফোর্দো নিয়ে কী করা হবে, তার রূপরেখাও দেওয়া হয়েছে আট পৃষ্ঠার ওই নথিতে। এতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের পরিবর্তে আইসোটোপ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হবে।
এদিকে পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ে সমঝোতার প্রশ্নে অবস্থান কঠোর করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। গত মঙ্গলবার রাতে এক ভাষণে খামেনি জোর দিয়ে আবারও বলেন, প্রথমে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেই কেবল তেহরান তার স্পর্শকাতর পারমাণবিক অবকাঠামো ধ্বংস করবে।
ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তি (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও জার্মানি) বর্তমানে একটি অন্তর্বর্তী সমঝোতায় রয়েছে। উভয় পক্ষ ৩০ জুনের মধ্যে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে উপনীত হওয়ার কথা রয়েছে। সে লক্ষ্যে গতকাল বুধবার থেকে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় নতুন দফা আলোচনা শুরুর কথা ছিল।
‘বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা’ শিরোনামের ওই নথিতে ইরানকে তার প্রায় সম্পন্ন আরাক ভারী পানির পারমাণবিক চুল্লির পরিবর্তে বেশ কিছু হালকা পানির চুল্লি সরবরাহ করা হবে। নির্মাণকাজ শেষ হলে আরাকের পারমাণবিক কেন্দ্রটি ইরানকে বছরে কয়েকটি বোমা তৈরির জন্য যথেষ্ট প্লুটোনিয়াম তৈরি করে দিতে পারে।
১৯ জুন লেখা ওই নথিতে আরাক চুল্লি পুনর্নির্মাণ, পারমাণবিক জ্বালানির জোগান দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের পাশাপাশি ইরানকে পারমাণবিক নিরাপত্তা, পারমাণবিক ওষুধ, গবেষণা, পারমাণবিক বর্জ্য অপসারণ ও অন্যান্য শান্তিপূর্ণ কাজগুলোতে সহায়তারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক কেন্দ্র ফোর্দো নিয়ে কী করা হবে, তার রূপরেখাও দেওয়া হয়েছে আট পৃষ্ঠার ওই নথিতে। এতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের পরিবর্তে আইসোটোপ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হবে।
এদিকে পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ে সমঝোতার প্রশ্নে অবস্থান কঠোর করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। গত মঙ্গলবার রাতে এক ভাষণে খামেনি জোর দিয়ে আবারও বলেন, প্রথমে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেই কেবল তেহরান তার স্পর্শকাতর পারমাণবিক অবকাঠামো ধ্বংস করবে।
No comments