প্রবল বর্ষণে ধসে পড়ছে পাহাড়
কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে পাহাড় কেটে তৈরি করা অবৈধ ঘরবাড়ি l ছবি: প্রথম আলো |
প্রবল
বর্ষণের কারণে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে পড়ছে। স্থানীয়
সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার সকালে প্রবল বর্ষণের সময় শহরের কলাতলী পাহাড়ের
বিশাল একটি অংশ ধসে পড়ে।
পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দীপক শর্মা জানান, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত প্রবল বর্ষণে শহরের বৈদ্যঘোনা, পাহাড়তলী, লারপাড়া, ঘোনাপাড়া, খাজামঞ্জিল ও কলাতলী পাহাড়ের অন্তত আটটি অংশ ধসে পড়েছে। পাহাড় ধসের কারণে প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি জানান, শহরের ১২টির বেশি পাহাড়ে ১৬ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করছে অন্তত দুই লাখ মানুষ। এর মধ্যে চরম ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে প্রায় এক লাখ মানুষ। তাদের সেখান থেকে সরিয়ে আনা দরকার।
গত মঙ্গলবার কলাতলী পাহাড় ঘুরে দেখা যায়, উঁচু পাহাড় কেটে ঢালুতে তৈরি করা অসংখ্য ঘরবাড়ি নিচের দিকে হেলে পড়ছে। লোকজন গাছের খুঁটি দিয়ে ঘরবাড়ি রক্ষার চেষ্টা করছেন। সেখানকার বাসিন্দা কালু মিয়া জানান, তাঁর টিনের ঘর যেকোনো সময় নিচে ধসে পড়তে পারে। এ জন্য বৃষ্টি শুরু হলে স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে আতঙ্কে থাকেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বলেন, বর্ষণ শুরু হওয়ায় পাহাড়ের নরম মাটি ধসে পড়ছে। কিছু ঘরবাড়িও ধসে পড়ছে। তিনি বলেন, গত কয়েক মাসে অভিযান চালিয়ে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু এখনো অন্তত ১৬ হাজার অবৈধ স্থাপনা রয়ে গেছে।
কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. আয়াছুর রহমান বলেন, সারা বছর ধরে পাহাড় কাটা চলে। অনেকে বর্ষণের মধ্যেও পাহাড় কাটছে। বৃষ্টির পানির সঙ্গে পাহাড় কাটার মাটি নেমে এসে শহরের নালা ভরাট হচ্ছে। এতে পুরো শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র সরওয়ার কামাল বলেন, বর্ষাকাল এলেই পাহাড়ে বসবাসকারী লাখো মানুষকে নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। পাহাড় ধসে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু তারপরও লোকজনকে সরানো যাচ্ছে না। কারণ, তাদের থাকার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।
পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থেকে সরে যেতে মাইকিং : কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসরত পরিবারগুলোকে অন্যত্র সরে যেতে গতকাল বুধবার বিকেল থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, চার দিন ধরে টেকনাফে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাহাড়ধসের আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্র জানায়, গতকাল টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাফর আহমদের সভাপতিত্বে জরুরি সভা হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ ইকবাল ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ ইকবাল প্রথম আলোকে জানান, টানা চার দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ফকিরামোরা, ধুমপেরাংঘোনা, গিলাতলী, বৈদ্যেরঘোনা, নাজিরঘোনা, শিয়াইল্যারঘোনা, উরুমেরছড়া, পল্লানপাড়া, নাইট্যংপাড়া, কেরুনতলী, বরুইতলী, জাহালিয়াপাড়া, রোজারঘোনা, রঙ্গিখালী, উলুচামারী, লেচুয়াপ্রাং, পানখালী, সিকদারপাড়া, রোজারঘোনা, মিনাবাজার, রক্ষ্যইম, আমতলীসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী হাজারো পরিবারকে সরে যেতে বিকেল থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
২০১০ সালের ১৫ জুন টেকনাফসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়। ২০০৮ সালের ৪ ও ৬ জুলাই টেকনাফে পাহাড়ধসে ১৩ জন মারা যায়।
পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দীপক শর্মা জানান, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত প্রবল বর্ষণে শহরের বৈদ্যঘোনা, পাহাড়তলী, লারপাড়া, ঘোনাপাড়া, খাজামঞ্জিল ও কলাতলী পাহাড়ের অন্তত আটটি অংশ ধসে পড়েছে। পাহাড় ধসের কারণে প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি জানান, শহরের ১২টির বেশি পাহাড়ে ১৬ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করছে অন্তত দুই লাখ মানুষ। এর মধ্যে চরম ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে প্রায় এক লাখ মানুষ। তাদের সেখান থেকে সরিয়ে আনা দরকার।
গত মঙ্গলবার কলাতলী পাহাড় ঘুরে দেখা যায়, উঁচু পাহাড় কেটে ঢালুতে তৈরি করা অসংখ্য ঘরবাড়ি নিচের দিকে হেলে পড়ছে। লোকজন গাছের খুঁটি দিয়ে ঘরবাড়ি রক্ষার চেষ্টা করছেন। সেখানকার বাসিন্দা কালু মিয়া জানান, তাঁর টিনের ঘর যেকোনো সময় নিচে ধসে পড়তে পারে। এ জন্য বৃষ্টি শুরু হলে স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে আতঙ্কে থাকেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বলেন, বর্ষণ শুরু হওয়ায় পাহাড়ের নরম মাটি ধসে পড়ছে। কিছু ঘরবাড়িও ধসে পড়ছে। তিনি বলেন, গত কয়েক মাসে অভিযান চালিয়ে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু এখনো অন্তত ১৬ হাজার অবৈধ স্থাপনা রয়ে গেছে।
কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. আয়াছুর রহমান বলেন, সারা বছর ধরে পাহাড় কাটা চলে। অনেকে বর্ষণের মধ্যেও পাহাড় কাটছে। বৃষ্টির পানির সঙ্গে পাহাড় কাটার মাটি নেমে এসে শহরের নালা ভরাট হচ্ছে। এতে পুরো শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র সরওয়ার কামাল বলেন, বর্ষাকাল এলেই পাহাড়ে বসবাসকারী লাখো মানুষকে নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। পাহাড় ধসে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু তারপরও লোকজনকে সরানো যাচ্ছে না। কারণ, তাদের থাকার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।
পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থেকে সরে যেতে মাইকিং : কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসরত পরিবারগুলোকে অন্যত্র সরে যেতে গতকাল বুধবার বিকেল থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, চার দিন ধরে টেকনাফে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাহাড়ধসের আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্র জানায়, গতকাল টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাফর আহমদের সভাপতিত্বে জরুরি সভা হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ ইকবাল ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ ইকবাল প্রথম আলোকে জানান, টানা চার দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ফকিরামোরা, ধুমপেরাংঘোনা, গিলাতলী, বৈদ্যেরঘোনা, নাজিরঘোনা, শিয়াইল্যারঘোনা, উরুমেরছড়া, পল্লানপাড়া, নাইট্যংপাড়া, কেরুনতলী, বরুইতলী, জাহালিয়াপাড়া, রোজারঘোনা, রঙ্গিখালী, উলুচামারী, লেচুয়াপ্রাং, পানখালী, সিকদারপাড়া, রোজারঘোনা, মিনাবাজার, রক্ষ্যইম, আমতলীসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী হাজারো পরিবারকে সরে যেতে বিকেল থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
২০১০ সালের ১৫ জুন টেকনাফসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়। ২০০৮ সালের ৪ ও ৬ জুলাই টেকনাফে পাহাড়ধসে ১৩ জন মারা যায়।
No comments