ষোল বছরেই ‘চাইল্ড পর্ন’ ছবির মাস্টারমাইন্ড!
বয়স মাত্র ষোল। কিন্তু মাথাটি এর মধ্যেই
দর্শনীয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে। অন্তত পুলিশের কাছে তো বটেই। না হলে এই বয়সী
ছেলে-মেয়েরা সাধারণত যে সব চিন্তা-ভাবনা বা শখে অভ্যস্ত থাকে তার ধারে কাছ
দিয়েও যায় না জারেড কাইল হেনরি। কী এমন করেছে সে? এই বয়সেই পর্ন ছবি নিয়ে
যাকে বলে গবেষণা করে ফেলেছে বলা চলে। কারণ ১০০টিরও বেশি পর্ন ভিডিওতে মুখ
দেখানো হয়ে গেছে তার। যেগুলো ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, যদি
সোজা কথায় এ কাজে রাজি না হয়, তাহলে মারধর করতেও পিছপা হয় না জারেড!
পুলিশের অনুমান, ১০০টি শুধু নজরে এসেছে। এমন আরো অনেক নাবালিকা রয়েছে যাদের
জারেড জোর করে পর্ন ভিডিও তুলতে বাধ্য করেছে। ঘটনায় বিস্মিত তার বন্ধুরাও।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক তারই এক বন্ধু জানায়, ‘আমি তো স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি
জারেড এমন কাজ করতে পারে।’ আর পাঁচটা কিশোরের মতোই সে ফোরিডার প্লান্ট
সিটি হাই স্কুলে পড়ে। আপাতপক্ষে তাকে দেখে এমনটা ঘুণারেও বোঝা যায় না যে,
তার মগজের মধ্যে এমন ভয়ানক বুদ্ধি খেলা করে। অপরাধের মাত্র দেখে
প্রাপ্তবয়স্কদের ধারায় তার উপর মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্তত ৯২টি চাইল্ড
পর্ন ভিডিও তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে চারবার সে শারীরিক
অত্যাচর করে পর্ন ভিডিও তুলতে বাধ্য করেছে। জারেডের অনলাইনে চাইল্ড পর্ন
আপলোড ঘটনাটি প্রথম রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের নজরে আসে। পরে তারা
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানায়। তার পর সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে তার বাড়িতে
হানা দেয় পুলিশ। আপাতত জারেডের ঠিকানা হিলসবার্গ কাউন্টি জেল। প্রায় ৮ লাখ
মার্কিন ডলার মূল্যের বন্ডের জামিন ধার্য করেছে। ফলে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার
আশা নেই বললেই চলে।
No comments