দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে দেড় মাসে শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চারটি গ্রামে
দুই পক্ষের সংঘর্ষের জের ধরে দেড় মাসে শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত শনিবার রাতে তিনটি বাড়িতে
ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপার পিড়াগাতি,
দিঘলগ্রাম, রুপদাহ ও আশুরহাট গ্রামে দুটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব
দেন নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের সদস্য দিঘলগ্রামের বাসিন্দা রইচ উদ্দিন। অন্য
পক্ষের নেতৃত্ব দেন একই গ্রামের আবদুল খালেক সরদার। তাঁরা দুজনই ক্ষমতাসীন
দলের সমর্থক। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায়ই গোলমাল
লেগে থাকে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
>>ঝিনাইদহের শৈলকুপার পিড়াগাতি গ্রামের আবদুল খালেক সরদারের বািড়র ঘরের দেয়াল শনিবার রাতে ভেঙে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন (ওপরে)। এর কয়েক দিন আগে রুপদাহ গ্রামে মিল্টন মিয়ার ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় (নিচে বাঁ থেকে প্রথম)। ২ অক্টোবর পিড়াগাতি গ্রামে পল্লি চিকিৎসক তোজাম্মেল হোসেনের টিনের ঘর ভাঙচুর এবং আধা পাকা ঘরটিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় l ছবি: প্রথম আলো
পিড়াগাতি
গ্রামের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে
গ্রামের পল্লি চিকিৎসক তোজাম্মেল হোসেনের বাড়ির সামনে দুই পক্ষের লোকজন
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০-১২ জন আহত হন। ওই ঘটনায় আহত ইকবাল হোসেন ঢাকায়
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ দিন পর মারা যান। ইকবাল হোসেন রইচ উদ্দিনের সমর্থক
ছিলেন। ইকবালের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ২ অক্টোবর আবদুল খালেকের
সমর্থকদের বাড়িঘরে ভাঙচুর শুরু হয়। চলে লুটপাট। সর্বশেষ শনিবার রাতে
মোহাম আলী, তরিকুল ইসলাম ও আবদুল খালেকের বাড়িতে দ্বিতীয় দফায় ভাঙচুর করা
হয়েছে। ঘটনার পর ইকবালের চাচা আমির হোসেন বাদী হয়ে আবদুল খালেক ও পল্লি
চিকিৎসক তোজাম্মেল হোসেনসহ ৬১ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া
ভাঙচুরের ঘটনায় এ পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই চারটি গ্রামের রেজাউল ইসলাম, বাহারুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, তোজাম্মেল হোসেন, আবদুস সালাম, আবদুল করিম, ইনতাজ আলী, আবু জাফর, নজরুল ইসলামসহ শতাধিক ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পিড়াগাতি গ্রামে দেখা যায়, তরিকুল ইসলাম ও তোজাম্মেল হোসেনের পাকা বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আবদুল খালেক বলেন, তাঁদের পক্ষের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ বাড়িছাড়া। যেসব বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, সেসব বাড়ির মালামালও লুট করা হয়েছে। এখনো ভাঙচুর ও লুটপাট চলছে। তিনি বলেন, মামলার ৬১ জন আসামির মধ্যে ৪৩ জন জামিন নিয়েছেন। এর পরও তাঁরা বাড়িতে যেতে পারছেন না।
রইচ উদ্দিন বলেন, ইকবাল হোসেন গোলমালের মধ্যে পড়ে আহত হন। প্রতিপক্ষের লোকজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ঘটনার পর কিছু ভাঙচুর হয়েছে। তবে বর্তমানে কোনো ভাঙচুর হচ্ছে না। শুক্রবারের ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে, তা তাঁরা জানেন না। তবে তাঁরা ওই ঘটনায় বাধা দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, খালেকের পক্ষের লোকজনই বরং দূর থেকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছগির মিয়া জানান, বর্তমানে এলাকা শান্ত আছে। নতুন করে ভাঙচুরের ঘটনা তাঁর জানা নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই চারটি গ্রামের রেজাউল ইসলাম, বাহারুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, তোজাম্মেল হোসেন, আবদুস সালাম, আবদুল করিম, ইনতাজ আলী, আবু জাফর, নজরুল ইসলামসহ শতাধিক ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পিড়াগাতি গ্রামে দেখা যায়, তরিকুল ইসলাম ও তোজাম্মেল হোসেনের পাকা বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আবদুল খালেক বলেন, তাঁদের পক্ষের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ বাড়িছাড়া। যেসব বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, সেসব বাড়ির মালামালও লুট করা হয়েছে। এখনো ভাঙচুর ও লুটপাট চলছে। তিনি বলেন, মামলার ৬১ জন আসামির মধ্যে ৪৩ জন জামিন নিয়েছেন। এর পরও তাঁরা বাড়িতে যেতে পারছেন না।
রইচ উদ্দিন বলেন, ইকবাল হোসেন গোলমালের মধ্যে পড়ে আহত হন। প্রতিপক্ষের লোকজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ঘটনার পর কিছু ভাঙচুর হয়েছে। তবে বর্তমানে কোনো ভাঙচুর হচ্ছে না। শুক্রবারের ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে, তা তাঁরা জানেন না। তবে তাঁরা ওই ঘটনায় বাধা দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, খালেকের পক্ষের লোকজনই বরং দূর থেকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছগির মিয়া জানান, বর্তমানে এলাকা শান্ত আছে। নতুন করে ভাঙচুরের ঘটনা তাঁর জানা নেই।
No comments