সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই by মো: আবদুস সালিম
গুল মাকাই যার ছদ্মনাম তিনি হলেন পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলনে সদা ব্যস্ত থাকা কিশোরী মালালা ইউসুফজাই। মালালাকে বলা হয়ে থাকে অকুতোভয় শিক্ষা সংগ্রামী তরুণী। অথচ এই মালালাই জঙ্গি বা সন্ত্রাসীদের গুলি খেয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসেন। এর পর থেকে আন্দোলনে আরো মনোযোগ বাড়ে তার। সারা বিশ্বের মানুষ এখন তাকে চেনে। নারীশিক্ষা আন্দোলনে মালালা নিজেকে এমনভাবে জড়িয়ে ফেলেন, যার কারণে অল্প বয়সে শান্তিতে নোবেল পান। মালালা ইউসুফজাইয়ের জন্ম ১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় এক পাখতুন পরিবারে। তার বাবার নাম জিয়াউদ্দিন ইউসুফজাই। তিনি কবি। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার বাসনা বা ইচ্ছা ছিল মালালার। এখন ইচ্ছা হয়েছে রাজনীতিবিদ হওয়ার। তিনি মনে করেন, এ জগতে প্রবেশ করেও মানুষের সেবা করা যায়। অর্থাৎ মানবসেবাই যেন তার ইচ্ছা।
মালালা নারীশিক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন মাত্র ১১ বছর বয়স থেকেই। বিবিসির উর্দু বিভাগে লিখতে শুরু করেন ২০০৯ সালে। মনে করা হচ্ছে, বাবার লেখনী শক্তি পেয়েছেন মেয়ে মালালাও। শান্তির দূত মালালা পাকিস্তানের ‘জাতীয় যুব শান্তি পুরস্কার’ পান ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর। আর তারই নামে নামকরণ করা হয়েছে এ পুরস্কারটির। এটি হলো- ‘জাতীয় মালালা শান্তি পুরস্কার’। অর্থাৎ শান্তিতে নোবেল জয়ের আগেও এ সংক্রান্ত আরো পুরস্কার পেয়েছেন। মালালা নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন ২০১৩ সালে। আর তখন এ কিশোরীর বয়স ছিল মাত্র প্রায় ১৬ বছর। তবে তার হাতে ওঠেনি পুরস্কার। এবার তার হাতে উঠবে শান্তি পুরস্কার বাবদ (নোবেল) প্রায় সোয়া পাঁচ কোটি টাকা। অক্টোবর তার কাছে যেন এক বিশেষ মাস। যে মাসে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, সেই মাসেই পেলেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। অর্থাৎ এ মাসে যেমন আসে জীবনের ঝুঁকি, তেমনি আসে বড় ধরনের সফলতার পুরস্কার। এটি বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার। পুরস্কারের সূচনালগ্ন (১৯০১ সাল) থেকে আজ অবধি এত কম বয়সে এর আগে কেউ পায়নি নোবেল। এ দিকে তার নামে রয়েছে জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত আন্তর্জাতিক দিবস। জাতিসঙ্ঘ ‘মালালা দিবস’ ঘোষণা দেয় ২০১৩ সালের ১২ জুলাই তার ১৬তম জন্মদিনে। এরই মধ্যে এ কিশোরী লিখেছেন আত্মজীবনী। তা প্রকাশ পেয়েছে বই আকারে। নাম ‘আই অ্যাম মালালা : হাউ ওয়ান গার্ল স্টুড আপ ফর এডুকেশন অ্যান্ড চেঞ্জড দ্য ওয়ার্ল্ড’। বইটি অ্যামাজনের সর্বাধিক বিক্রীত বইয়ের তালিকায় ঠাঁই নিতে সক্ষম হয়। মালালা যখন নোবেল জয়ের খবর শুনতে পান তখন তিনি ছিলেন বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে। এতে বুঝা যায় জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে কতটা আগ্রহী মালালা। শিক্ষাঙ্গন, শিক্ষা উপকরণ প্রভৃতি যেন তার জীবন। মালালা বলেন, মারণাস্ত্র নয়, তার বদলে বই লও। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের যেসব দেশে মেয়ে বা নারীরা সবচেয়ে কম সংখ্যায় শিক্ষাকেন্দ্রে যায়, সেগুলোর মধ্যে পাকিস্তান প্রায় তৃতীয়। সেই নিরিখে বিচার করলে দেখা যায়, নিয়মিত পড়ালেখার প্রতি মালালার কত বেশি ঝোঁক বা আগ্রহ। মেয়েদের বিদ্যালয়ে যাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সোয়াত উপত্যকায় জঙ্গিরা। তারা মেয়েদের বিদ্যালয়গুলো উড়িয়ে দিচ্ছিল একের পর এক বোমা মেরে। তাদের সহিংসতার হাত থেকে রেহাই পায়নি মালালাও। গুরুতর আহত মালালাকে প্রথমে পাকিস্তানে ও পরে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য। বলা যেতে পারে অলৌকিকভাবে বেঁচে যান মালালা। এখনো তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। জঙ্গিরা শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম পরে শিক্ষাকেন্দ্রে যেতে বারণ করে। অথচ প্রার্থনার সময় তাদের রঙিন পোশাক পরতে নিষেধ আছে। মালালা কয়েক বছর ধরে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি পেয়েছেন একজন তরুণ শিক্ষানুরাগী হিসেবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মালালার এ বিশ্ব রেকর্ড ভাঙতে অনেক সময় লেগে যেতে পারে। কারণ তিনি নোবেল পুরস্কারের মতো পুরস্কার পেয়ে বিশ্ব রেকর্ডে ভূষিত হলেন মাত্র ১৭ বছর বয়সে। অপহৃত ছাত্রীদের মুক্তির দাবিতে মালালা প্রচারাভিযানে যান নাইজেরিয়ায়। তাদের জন্যও যেন মালালার ঘুম হারাম। জঙ্গিরা তাদের অপহরণ করে। এত ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে তাকে ভাবতে হচ্ছে নিজের পড়াশোনা নিয়েও। এত অল্প বয়সে এত বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন তো আর সবার ভাগ্যে জোটে না। অবশ্য এ জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে। পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হবে মনে করে ফেসবুক চালান না। এমনকি মুঠোফোনও নয়। মালালা মনে করেন, জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত ভালো কিছু করার। এ জন্য কৃচ্ছ্রতাও প্রয়োজন। মালালা এখন ভাসছেন অভিনন্দনের বন্যায়। সোস্যাল সাইট ফেসবুক, টুইটারে এখন যেন ‘টপ ট্রেন্ড’। তাকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছেÑ মহাকাশ থেকেও, যা আসে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে। পাকিস্তানে প্রতি মিনিটে পোস্ট করা হয়েছে গড়ে প্রায় ২০৪টি করে টুইট। এসবের মাধ্যমে মালালাকে নিয়ে গর্ব করছেন পাকিস্তানের অনেকেই।
মালালা মেয়ে শিশুদের শিক্ষার অধিকারের কথা বলে সাহস দেখিয়েছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হওয়া থেকে উঠে দাঁড়িয়ে প্রমাণ দিলো, ইচ্ছা থাকলে ভালো অনেক কিছুই করা যায়। আলফ্রেড নোবেল (নোবেল পুরস্কারের জনক) মনে করতেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার তাদেরই দেয়া হবে, যারা অশান্তি কমাতে ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত হবেন। মালালা বলেন, আমি যে সংগ্রাম শুরু করেছি বলা যেতে পারে তার নতুন যাত্রা শুরু হলো। আমি চাই, পৃথিবীর প্রতিটি শিশু স্কুলে যাক। ওরা অধিকার আদায়ে সোচ্চার হোক। এভাবেই মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জন সহজ হবে। মালালা বলেন, আমার এই পুরস্কার পৃথিবীর প্রতিটি শিশুর জন্য। জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেন, মালালা সাহসী মেয়ে। শান্তির সুশীল প্রবর্তক। আর এ কারণেই সারা বিশ্ব এখন তাকে চেনে। মালালা নারীশিক্ষার পক্ষে প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন আন্তর্জাতিকভাবে। তিনি যুক্ত রয়েছেন একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সাথে। মালালা মনে করেন, সব কিছুতেই লাভের আশা করা ঠিক নয়। এত অল্প বয়সে দু’টি বইও লিখেছেন তিনি। এগুলোর কাটতিও বেশ ভালো। তিনি শুধু জঙ্গিদেরই সমালোচক নয়, বরং নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক সব সংস্কৃতিরও ঘোর বিরোধী। পশ্চিমা বিদ্যালয়ে পড়লেও পোশাকে ধরে রেখেছেন স্বাতন্ত্র্য ও শালীনতা। তুলনামূলক লম্বা স্কার্ট এবং মাথায় স্কার্ফ পরেন ইউনিফর্মের সাথে মিলিয়ে। ২০১৩ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে সাক্ষাতে স্বদেশে মার্কিন ড্রোন হামলার তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, সেনাদলের পরিবর্তে বই পাঠান, অস্ত্রের বদলে কলম দিন। জঙ্গিদের গুলিতে আহত হলে মালালা ব্রিটেনের বার্মিংহামে দীর্ঘ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন। এখন তিনি বার্মিংহামে এজবাস্টন হাইস্কুলের ছাত্রী।
মালালা নারীশিক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন মাত্র ১১ বছর বয়স থেকেই। বিবিসির উর্দু বিভাগে লিখতে শুরু করেন ২০০৯ সালে। মনে করা হচ্ছে, বাবার লেখনী শক্তি পেয়েছেন মেয়ে মালালাও। শান্তির দূত মালালা পাকিস্তানের ‘জাতীয় যুব শান্তি পুরস্কার’ পান ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর। আর তারই নামে নামকরণ করা হয়েছে এ পুরস্কারটির। এটি হলো- ‘জাতীয় মালালা শান্তি পুরস্কার’। অর্থাৎ শান্তিতে নোবেল জয়ের আগেও এ সংক্রান্ত আরো পুরস্কার পেয়েছেন। মালালা নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন ২০১৩ সালে। আর তখন এ কিশোরীর বয়স ছিল মাত্র প্রায় ১৬ বছর। তবে তার হাতে ওঠেনি পুরস্কার। এবার তার হাতে উঠবে শান্তি পুরস্কার বাবদ (নোবেল) প্রায় সোয়া পাঁচ কোটি টাকা। অক্টোবর তার কাছে যেন এক বিশেষ মাস। যে মাসে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, সেই মাসেই পেলেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। অর্থাৎ এ মাসে যেমন আসে জীবনের ঝুঁকি, তেমনি আসে বড় ধরনের সফলতার পুরস্কার। এটি বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার। পুরস্কারের সূচনালগ্ন (১৯০১ সাল) থেকে আজ অবধি এত কম বয়সে এর আগে কেউ পায়নি নোবেল। এ দিকে তার নামে রয়েছে জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত আন্তর্জাতিক দিবস। জাতিসঙ্ঘ ‘মালালা দিবস’ ঘোষণা দেয় ২০১৩ সালের ১২ জুলাই তার ১৬তম জন্মদিনে। এরই মধ্যে এ কিশোরী লিখেছেন আত্মজীবনী। তা প্রকাশ পেয়েছে বই আকারে। নাম ‘আই অ্যাম মালালা : হাউ ওয়ান গার্ল স্টুড আপ ফর এডুকেশন অ্যান্ড চেঞ্জড দ্য ওয়ার্ল্ড’। বইটি অ্যামাজনের সর্বাধিক বিক্রীত বইয়ের তালিকায় ঠাঁই নিতে সক্ষম হয়। মালালা যখন নোবেল জয়ের খবর শুনতে পান তখন তিনি ছিলেন বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে। এতে বুঝা যায় জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে কতটা আগ্রহী মালালা। শিক্ষাঙ্গন, শিক্ষা উপকরণ প্রভৃতি যেন তার জীবন। মালালা বলেন, মারণাস্ত্র নয়, তার বদলে বই লও। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের যেসব দেশে মেয়ে বা নারীরা সবচেয়ে কম সংখ্যায় শিক্ষাকেন্দ্রে যায়, সেগুলোর মধ্যে পাকিস্তান প্রায় তৃতীয়। সেই নিরিখে বিচার করলে দেখা যায়, নিয়মিত পড়ালেখার প্রতি মালালার কত বেশি ঝোঁক বা আগ্রহ। মেয়েদের বিদ্যালয়ে যাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সোয়াত উপত্যকায় জঙ্গিরা। তারা মেয়েদের বিদ্যালয়গুলো উড়িয়ে দিচ্ছিল একের পর এক বোমা মেরে। তাদের সহিংসতার হাত থেকে রেহাই পায়নি মালালাও। গুরুতর আহত মালালাকে প্রথমে পাকিস্তানে ও পরে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য। বলা যেতে পারে অলৌকিকভাবে বেঁচে যান মালালা। এখনো তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। জঙ্গিরা শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম পরে শিক্ষাকেন্দ্রে যেতে বারণ করে। অথচ প্রার্থনার সময় তাদের রঙিন পোশাক পরতে নিষেধ আছে। মালালা কয়েক বছর ধরে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি পেয়েছেন একজন তরুণ শিক্ষানুরাগী হিসেবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মালালার এ বিশ্ব রেকর্ড ভাঙতে অনেক সময় লেগে যেতে পারে। কারণ তিনি নোবেল পুরস্কারের মতো পুরস্কার পেয়ে বিশ্ব রেকর্ডে ভূষিত হলেন মাত্র ১৭ বছর বয়সে। অপহৃত ছাত্রীদের মুক্তির দাবিতে মালালা প্রচারাভিযানে যান নাইজেরিয়ায়। তাদের জন্যও যেন মালালার ঘুম হারাম। জঙ্গিরা তাদের অপহরণ করে। এত ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে তাকে ভাবতে হচ্ছে নিজের পড়াশোনা নিয়েও। এত অল্প বয়সে এত বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন তো আর সবার ভাগ্যে জোটে না। অবশ্য এ জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে। পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হবে মনে করে ফেসবুক চালান না। এমনকি মুঠোফোনও নয়। মালালা মনে করেন, জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত ভালো কিছু করার। এ জন্য কৃচ্ছ্রতাও প্রয়োজন। মালালা এখন ভাসছেন অভিনন্দনের বন্যায়। সোস্যাল সাইট ফেসবুক, টুইটারে এখন যেন ‘টপ ট্রেন্ড’। তাকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছেÑ মহাকাশ থেকেও, যা আসে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে। পাকিস্তানে প্রতি মিনিটে পোস্ট করা হয়েছে গড়ে প্রায় ২০৪টি করে টুইট। এসবের মাধ্যমে মালালাকে নিয়ে গর্ব করছেন পাকিস্তানের অনেকেই।
মালালা মেয়ে শিশুদের শিক্ষার অধিকারের কথা বলে সাহস দেখিয়েছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হওয়া থেকে উঠে দাঁড়িয়ে প্রমাণ দিলো, ইচ্ছা থাকলে ভালো অনেক কিছুই করা যায়। আলফ্রেড নোবেল (নোবেল পুরস্কারের জনক) মনে করতেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার তাদেরই দেয়া হবে, যারা অশান্তি কমাতে ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত হবেন। মালালা বলেন, আমি যে সংগ্রাম শুরু করেছি বলা যেতে পারে তার নতুন যাত্রা শুরু হলো। আমি চাই, পৃথিবীর প্রতিটি শিশু স্কুলে যাক। ওরা অধিকার আদায়ে সোচ্চার হোক। এভাবেই মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জন সহজ হবে। মালালা বলেন, আমার এই পুরস্কার পৃথিবীর প্রতিটি শিশুর জন্য। জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেন, মালালা সাহসী মেয়ে। শান্তির সুশীল প্রবর্তক। আর এ কারণেই সারা বিশ্ব এখন তাকে চেনে। মালালা নারীশিক্ষার পক্ষে প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন আন্তর্জাতিকভাবে। তিনি যুক্ত রয়েছেন একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সাথে। মালালা মনে করেন, সব কিছুতেই লাভের আশা করা ঠিক নয়। এত অল্প বয়সে দু’টি বইও লিখেছেন তিনি। এগুলোর কাটতিও বেশ ভালো। তিনি শুধু জঙ্গিদেরই সমালোচক নয়, বরং নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক সব সংস্কৃতিরও ঘোর বিরোধী। পশ্চিমা বিদ্যালয়ে পড়লেও পোশাকে ধরে রেখেছেন স্বাতন্ত্র্য ও শালীনতা। তুলনামূলক লম্বা স্কার্ট এবং মাথায় স্কার্ফ পরেন ইউনিফর্মের সাথে মিলিয়ে। ২০১৩ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে সাক্ষাতে স্বদেশে মার্কিন ড্রোন হামলার তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, সেনাদলের পরিবর্তে বই পাঠান, অস্ত্রের বদলে কলম দিন। জঙ্গিদের গুলিতে আহত হলে মালালা ব্রিটেনের বার্মিংহামে দীর্ঘ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন। এখন তিনি বার্মিংহামে এজবাস্টন হাইস্কুলের ছাত্রী।
No comments