সতর্ক থাকলে সাফল্য আসবেই by সাব্বিন হাসান
বিশ্বখ্যাতি জেনিফার লরেন্স নামে। ডাকনাম জেলো। বয়স সবে ২৩। তবে এরই মধ্যে গড়েছেন রেকর্ডের পর রেকর্ড। জিতেছেন অস্কার। সবশেষ আলোচনায় এসেছেন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড-এ নাম লিখিয়ে। হলিউড অভিনয় জগতের সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে গিনেস বুকে সফল অভিনেত্রী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন লরেন্স। এর মধ্য দিয়ে নতুন বিশ্বরেকর্ডও গড়লেন লরেন্স।
খুব কম সময়ে হলিউডে সেরা অভিনেত্রীর খেতাব জিতে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত রেকর্ড গড়েছেন অস্কারজয়ী লরেন্স। এ সাফল্যের দাবিদার লরেন্স অভিনীত বিখ্যাত ছবি হাঙ্গার গেমস। এ ছবির কেটনিস এভারডিন চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বনে যান কোটি কোটি ভক্তের স্বপ্নের নায়িকা। লরেন্স অভিনীত হাঙ্গার গেমস এর সিক্যুয়াল ক্যাচিং ফায়ার বিশ্বজুড়ে ৯০ কোটি পাউন্ডেরও বেশি ব্যবসা করে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে উইন্টারস বন ছবির মধ্য দিয়ে হলিউডে নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় লরেন্সের। এ ছাড়াও ব্যবসাসফল ছবির ঝুলিতে আছে হাঙ্গার গেমস ও ক্যাচিং ফায়ার, এক্স ম্যান ও এক্স ম্যানের সিক্যুয়াল ডেইস অব ফিউচার পাস্ট এবং আমেরিকান হেসেলের মতো বেশ কিছু ছবি।
এদিকে ২০১৩ সালে সিলভার লিনিংস প্লেবুক ছবির জন্য সবচেয়ে কম বয়সের অভিনেত্রী হিসেবে জয় করেন অস্কার অ্যাওয়ার্ড। সময়ের আলোচিত সেরেনা ছবিতে ব্র্যাডলি কুপারের বিপরীতে অভিনয়ের সুদক্ষতা আরও একবার প্রমাণ করেছেন লরেন্স। সুজান কলিন্সের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত দ্য হাঙ্গার গেমস কিশোরী ক্যাটনিস এভারডিনের জীবন সংগ্রামের কাহিনী নিয়ে নির্মিত। ক্যাটনিস চরিত্রে কিশোরী হয়েও অভিনয়ের দক্ষতা ছড়িয়েছেন। মূলত এ ছবির জন্যই ২০১৩ সালে ২২ বছর ১৯৩ দিন বয়সে হলিউডের দ্বিতীয় কনিষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার জয় করেন লরেন্স।
এর আগে ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত “উইন্টারস বোন” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় লরেন্সের অভিষেক হয়। রাসেল ও ডেভিড পরিচালিত সিলভার লাইনিংস প্লেবুক চলচ্চিত্রের জন্য ২০১৩ সালে জেনিফার লরেন্স অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড পান। ব্যক্তিজীবনে লরেন্স খুবই মিশুক। তবে অহংকার বিষয়টি খুব একটা বোঝা যায় না। এত অল্প বয়সে খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছে নিজেকে সামলে নেয়ার কৌশলটা লরেন্স ভালোই রপ্ত করেছেন। তবে সময়ের সমালোচনা খ্যাতির বিড়ম্বনা হিসেবে লরেন্সকেও সমীহ করেনি।
এসব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনায় লরেন্স মৃদু হেসে জানালেন, আমি জানতাম না বিতর্কিত বিষয়গুলো আমার ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলবে। আর এ ধরনের ঘটনায় আমি শংকিতও। রঙিন পর্দার পেশাজীবী হলেও আমি একজন পাবলিক ফিগার। একজন অভিনেত্রী। এজন্য অনেক কিছুই সামলে নিয়ে এগোতে হয়। ব্যক্তিজীবনে আমার পছন্দই সব। সুতরাং আমার পছন্দের বিরুদ্ধে এমন কিছু হোক তা আমি কখনোই মেনে নেব না। এমন কিছু সত্যিই বিরক্তিকর। আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই স্বাধীন বিশ্বে বসবাস করি।
২৪ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী নগ্ন ছবি ফাঁসের পরে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, হলিউডের তরুণ এ অভিনেত্রীকে খুব কমই রাগ, কান্না আর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখেছেন ভক্তরা। গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে লরেন্স সুস্পষ্ট করে বলেছিলেন, রাগ আর কান্না সম্পর্কে কথা বলতে আমার মোটেও ভালো লাগে না। এসব একান্তই ব্যক্তিগত অনুভূতি। তাই ব্যক্তিগত বিষয় ব্যক্তিগতই থাকা ভালো।
বিশ্বের তরুণ বিনোদনপ্রেমীদের কাছে লরেন্স শুধু একটি চরিত্র নয়। বরং বাস্তব উপস্থিতি। সরব কণ্ঠস্বর। ভবিষ্যতের এক সুদর্শন নারী চরিত্র। সায়েন্স ফিকশন নিয়ে বানানো চলচ্চিত্রে অভিনয়ের দক্ষতার জন্য অনেকের কাছেই লরেন্স বনে গেছেন স্বপ্নকন্যা। সারা জীবনের অভিনয়ের পরও অনেকের ভাগ্যে অস্কার জোটেনা। সেখানে জীবনের পা বাড়িয়েই অস্কারের মতো বিশ্বমানের স্বীকৃতি লরেন্সকে তার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছে।
সমালোচনাকে সামলে নিয়ে এগিয়ে যেতে শিখেছেন লরেন্স। অনবদ্য অভিনয়ের সঙ্গে শিক্ষাজীবনকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে বলেছেন লরেন্স। তরুণদের দারুণভাবে উৎসাহিত করার কৌশলটা ভালোই জানেন তিনি। এজন্য যে কোনো সাক্ষাৎকারেই লরেন্স তরুণদের ক্যারিয়ার গড়তে পরামর্শ দেন।
সম্প্রতি প্রযুক্তি অপচর্চার কারণে দারুণভাবে সমালোচনার তোপে পড়েছেন অস্কারজয়ী লরেন্স। মামলাতেও জড়িয়ে পড়েছেন। শুধু তিনি একাই নন, তার বন্ধুমহলও এ অপসংস্কৃতির মুখোমুখি হয়েছেন। এ ঘটনার পর প্রযুক্তিচর্চায় তরুণদের আরও সচেতন হতে বলেছেন তিনি। ব্যক্তিজীবনের সব কিছুকেই ফ্রেমে না আনার পরামর্শও দিয়েছেন।
আধুনিক জীবনে তরুণ বয়সেই লরেন্স পেয়েছেন সম্মান, অর্থ, বিশ্বজোড়া খ্যাতি আর অস্কার। তাই সামনের সময়ে গুছিয়ে পা ফেলতেই লরেন্স এখন দারুণ মনোযোগী। কেননা বিশ্বের কোটি কোটি ভক্তের কাছে তিনি হয়ে উঠতে চান আদর্শ, সফল আর তারুণ্যের প্রতীক।
খুব কম সময়ে হলিউডে সেরা অভিনেত্রীর খেতাব জিতে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত রেকর্ড গড়েছেন অস্কারজয়ী লরেন্স। এ সাফল্যের দাবিদার লরেন্স অভিনীত বিখ্যাত ছবি হাঙ্গার গেমস। এ ছবির কেটনিস এভারডিন চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বনে যান কোটি কোটি ভক্তের স্বপ্নের নায়িকা। লরেন্স অভিনীত হাঙ্গার গেমস এর সিক্যুয়াল ক্যাচিং ফায়ার বিশ্বজুড়ে ৯০ কোটি পাউন্ডেরও বেশি ব্যবসা করে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে উইন্টারস বন ছবির মধ্য দিয়ে হলিউডে নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় লরেন্সের। এ ছাড়াও ব্যবসাসফল ছবির ঝুলিতে আছে হাঙ্গার গেমস ও ক্যাচিং ফায়ার, এক্স ম্যান ও এক্স ম্যানের সিক্যুয়াল ডেইস অব ফিউচার পাস্ট এবং আমেরিকান হেসেলের মতো বেশ কিছু ছবি।
এদিকে ২০১৩ সালে সিলভার লিনিংস প্লেবুক ছবির জন্য সবচেয়ে কম বয়সের অভিনেত্রী হিসেবে জয় করেন অস্কার অ্যাওয়ার্ড। সময়ের আলোচিত সেরেনা ছবিতে ব্র্যাডলি কুপারের বিপরীতে অভিনয়ের সুদক্ষতা আরও একবার প্রমাণ করেছেন লরেন্স। সুজান কলিন্সের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত দ্য হাঙ্গার গেমস কিশোরী ক্যাটনিস এভারডিনের জীবন সংগ্রামের কাহিনী নিয়ে নির্মিত। ক্যাটনিস চরিত্রে কিশোরী হয়েও অভিনয়ের দক্ষতা ছড়িয়েছেন। মূলত এ ছবির জন্যই ২০১৩ সালে ২২ বছর ১৯৩ দিন বয়সে হলিউডের দ্বিতীয় কনিষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার জয় করেন লরেন্স।
এর আগে ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত “উইন্টারস বোন” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় লরেন্সের অভিষেক হয়। রাসেল ও ডেভিড পরিচালিত সিলভার লাইনিংস প্লেবুক চলচ্চিত্রের জন্য ২০১৩ সালে জেনিফার লরেন্স অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড পান। ব্যক্তিজীবনে লরেন্স খুবই মিশুক। তবে অহংকার বিষয়টি খুব একটা বোঝা যায় না। এত অল্প বয়সে খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছে নিজেকে সামলে নেয়ার কৌশলটা লরেন্স ভালোই রপ্ত করেছেন। তবে সময়ের সমালোচনা খ্যাতির বিড়ম্বনা হিসেবে লরেন্সকেও সমীহ করেনি।
এসব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনায় লরেন্স মৃদু হেসে জানালেন, আমি জানতাম না বিতর্কিত বিষয়গুলো আমার ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলবে। আর এ ধরনের ঘটনায় আমি শংকিতও। রঙিন পর্দার পেশাজীবী হলেও আমি একজন পাবলিক ফিগার। একজন অভিনেত্রী। এজন্য অনেক কিছুই সামলে নিয়ে এগোতে হয়। ব্যক্তিজীবনে আমার পছন্দই সব। সুতরাং আমার পছন্দের বিরুদ্ধে এমন কিছু হোক তা আমি কখনোই মেনে নেব না। এমন কিছু সত্যিই বিরক্তিকর। আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই স্বাধীন বিশ্বে বসবাস করি।
২৪ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী নগ্ন ছবি ফাঁসের পরে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, হলিউডের তরুণ এ অভিনেত্রীকে খুব কমই রাগ, কান্না আর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখেছেন ভক্তরা। গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে লরেন্স সুস্পষ্ট করে বলেছিলেন, রাগ আর কান্না সম্পর্কে কথা বলতে আমার মোটেও ভালো লাগে না। এসব একান্তই ব্যক্তিগত অনুভূতি। তাই ব্যক্তিগত বিষয় ব্যক্তিগতই থাকা ভালো।
বিশ্বের তরুণ বিনোদনপ্রেমীদের কাছে লরেন্স শুধু একটি চরিত্র নয়। বরং বাস্তব উপস্থিতি। সরব কণ্ঠস্বর। ভবিষ্যতের এক সুদর্শন নারী চরিত্র। সায়েন্স ফিকশন নিয়ে বানানো চলচ্চিত্রে অভিনয়ের দক্ষতার জন্য অনেকের কাছেই লরেন্স বনে গেছেন স্বপ্নকন্যা। সারা জীবনের অভিনয়ের পরও অনেকের ভাগ্যে অস্কার জোটেনা। সেখানে জীবনের পা বাড়িয়েই অস্কারের মতো বিশ্বমানের স্বীকৃতি লরেন্সকে তার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছে।
সমালোচনাকে সামলে নিয়ে এগিয়ে যেতে শিখেছেন লরেন্স। অনবদ্য অভিনয়ের সঙ্গে শিক্ষাজীবনকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে বলেছেন লরেন্স। তরুণদের দারুণভাবে উৎসাহিত করার কৌশলটা ভালোই জানেন তিনি। এজন্য যে কোনো সাক্ষাৎকারেই লরেন্স তরুণদের ক্যারিয়ার গড়তে পরামর্শ দেন।
সম্প্রতি প্রযুক্তি অপচর্চার কারণে দারুণভাবে সমালোচনার তোপে পড়েছেন অস্কারজয়ী লরেন্স। মামলাতেও জড়িয়ে পড়েছেন। শুধু তিনি একাই নন, তার বন্ধুমহলও এ অপসংস্কৃতির মুখোমুখি হয়েছেন। এ ঘটনার পর প্রযুক্তিচর্চায় তরুণদের আরও সচেতন হতে বলেছেন তিনি। ব্যক্তিজীবনের সব কিছুকেই ফ্রেমে না আনার পরামর্শও দিয়েছেন।
আধুনিক জীবনে তরুণ বয়সেই লরেন্স পেয়েছেন সম্মান, অর্থ, বিশ্বজোড়া খ্যাতি আর অস্কার। তাই সামনের সময়ে গুছিয়ে পা ফেলতেই লরেন্স এখন দারুণ মনোযোগী। কেননা বিশ্বের কোটি কোটি ভক্তের কাছে তিনি হয়ে উঠতে চান আদর্শ, সফল আর তারুণ্যের প্রতীক।
No comments