নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ছয় মাস- তদন্তে ধীরগতি, এখনই অভিযোগপত্র নয়
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলার অভিযোগপত্র শিগগিরই আদালতে দাখিল করার পরিকল্পনা নেই। অপরাধী শনাক্ত হলেও মামলা নিয়ে কিছুটা ধীরে চলার নির্দেশ রয়েছে ওপর মহলের। তাই কবে এর তদন্ত শেষ হবে, তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। আজ সোমবার এ ঘটনার ছয় মাস পূর্ণ হচ্ছে। গতকাল রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, এত বড় মামলার জন্য মাত্র ছয় মাস কোনো সময় নয়। সবকিছু গুছিয়ে তদন্ত শেষ করতে আরও সময় লাগবে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন র্যাব সদস্যকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বারবার হাজির হতে বলার পরও তাঁরা হাজির হচ্ছেন না। জানতে চাইলে র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান বলেন, তাঁরা হাজির না হলে অন্য আসামি যেভাবে ধরা হয়, সেভাবে তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ শহরের কাছ থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করে র্যাব। এরপর ৩০ এপ্রিল ছয়জনের এবং পরদিন একজনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে। এ ঘটনায় আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এ মামলাটি তদন্ত করছে। জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মামুনুর রশিদ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। মামলাটি এখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাঞ্চল্যকর মামলা মনিটরিং সেলে নেওয়া হয়নি। জেলা পুলিশই এটা তদন্ত করছে।
নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মামলার এজাহারে তিনি যাঁদের নাম উল্লেখ করেছেন, পুলিশ এখন পর্যন্ত তাঁদের কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। অভিযোগপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রধান আসামি নূর হোসেনকে দেশে ফেরত আনার জন্য অপেক্ষা করবে কি না, জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মহিদ উদ্দিন বলেন, নূর হোসেনকে ফেরত আনার ব্যাপারটি সরকারের। তবে তাঁকে পাওয়া না গেলেও পুলিশ নিজের মতো করে তদন্ত শেষ করবে। ভারতের কারাগারে আটক নূর হোসেনকে ফেরত আনা যাবে কি না, জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁকে আনার ব্যাপারে আমরা বেশ আশাবাদী। দেখা যাক কী হয়।’
তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, নিহত নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম এ ঘটনার জন্য ছয় কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার যে দাবি করেছেন, তার কোনো প্রমাণ মেলেনি। শহিদুল ইসলাম এ নিয়ে এখন আর কোনো কথা বলতে চান না। তিনি এখন পুলিশি পাহারায় বসবাস করছেন। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে র্যা বের সাবেক তিন কর্মকর্তা ছাড়াও নূর হোসেনের সহযোগী চার্চিল ও আলী মোহাম্মদসহ ১২ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সর্বশেষ র্যা ব সদস্য রুহুল আমিনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঈদুল আজহার পরদিন পটুয়াখালী থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই ঘটনার সময় নৌকায় উপস্থিত ছিলেন।
আর অপহরণ ও খুনের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সাতজন। তাঁরা হলেন: পথচারী শহীদুল, তাঁর মেয়ে রাবেয়া আক্তার, শাহীনুল ইসলাম, র্যা ব সদস্য আবদুস সামাদ, আবদুস সালাম, আবদুর রাজ্জাক ও আলী আজম।
তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সাত খুনের মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার মতো যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ তাঁদের হাতে এসেছে। বিশেষ করে র্যা ব-১১-এর সাবেক দুই কর্মকর্তা আরিফ হোসেন ও এম এম রানার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ধরে তদন্ত চালিয়ে খুনের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন তাঁরা।
দুই কর্মকর্তার মধ্যে র্যা ব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার (অব.) এম এম রানা আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, খুনের ঘটনায় র্যা ব সদস্যদের সঙ্গে নূর হোসেনের কয়েকজন সহযোগীও ছিলেন। অপহৃত সাতজনকে ইনজেকশন দিয়ে হত্যা, গাড়ি থেকে লাশ নৌকায় তোলা এবং ইট বেঁধে তা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কাজে তাঁরা র্যা বকে সহায়তা করেছেন। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য সদস্যরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মেজর আরিফ হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, অধিনায়ক তারেক সাঈদের নির্দেশেই তিনি সাতজনকে গুম করেছেন। তবে তারেক সাঈদ জবানবন্দিতে এ ধরনের কোনো কথা বলেননি। আরিফ বলেন, আটক সাতজনকে নিয়ে ২৭ এপ্রিল দুপুরে নরসিংদীর তারাব পৌঁছেই তিনি অধিনায়ককে ফোন করে এ খবর দিয়ে পরবর্তী দিকনির্দেশনা চান। তখন অধিনায়ক বলেন, কোনো প্রত্যক্ষদর্শী রাখা যাবে না, সাতজনকেই গুম করতে হবে।
জবানবন্দির আরেক জায়গায় মেজর আরিফ বলেন, ওই রাতে ট্রলারটি কাঁচপুর ব্রিজের নিচে আসার পর তিনি অধিনায়ককে ফোন করে সর্বশেষ তথ্য দিয়ে জানান, সাতজনকেই গুম করার জন্য তাঁরা প্রস্তুত। তখন তারেক সাঈদ বলেন, এগিয়ে যাও (গো অ্যাহেড)।
তবে তারেক সাঈদ জবানবন্দিতে বলেছেন, অপহরণের দিনেই রাত আড়াইটার দিকে তিনি নৌকা ঘাটে পৌঁছাবার ২০-২৫ মিনিট পর আরিফ সেখানে আসেন। কিছুক্ষণ কথা বলার পর তিনি মেজর আরিফকে তাঁর লোকজনসহ আসামিদের (অপহৃত সাত) নিয়ে র্যা ব সদর দপ্তরে যেতে বলেন। তখন আরিফ জানায়, আসামিদের মেরে ফেলা হয়েছে। কেন মারা হয়েছে জানতে চাইলে আরিফ জানান, তাঁকে চিনে ফেলেছে বলে নজরুলকে মারা হয়েছে। আর অন্যরা দেখেছে বলে ভয়ে সবাইকে মারা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সূত্র জানায়, অপহরণ, খুন ও লাশ গুমের সঙ্গে যুক্ত এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন র্যা ব-১১-এর এমন ২৩ সদস্যের নাম-পরিচয় তাঁদের হাতে এসেছে। এদের মধ্যে পরিদর্শক ছালাম শিকদার ও আবদুস সামাদ ছাড়া অন্য সবাইকে ওই ঘটনার পর র্যা ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তিন র্যা ব কর্মকর্তাসহ সবার স্বীকারোক্তি, প্রত্যক্ষদর্শী, নূর হোসেনের দেহরক্ষী ও ঘনিষ্ঠজনদের স্বীকারোক্তিতে এখন পর্যন্ত ২৩ র্যা ব সদস্যসহ ৩৮ জনের নাম এসেছে। এঁদের তালিকা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ২৩ জন র্যা ব সদস্যকে নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের কার্য্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন র্যাব সদস্যকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বারবার হাজির হতে বলার পরও তাঁরা হাজির হচ্ছেন না। জানতে চাইলে র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান বলেন, তাঁরা হাজির না হলে অন্য আসামি যেভাবে ধরা হয়, সেভাবে তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ শহরের কাছ থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করে র্যাব। এরপর ৩০ এপ্রিল ছয়জনের এবং পরদিন একজনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে। এ ঘটনায় আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এ মামলাটি তদন্ত করছে। জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মামুনুর রশিদ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। মামলাটি এখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাঞ্চল্যকর মামলা মনিটরিং সেলে নেওয়া হয়নি। জেলা পুলিশই এটা তদন্ত করছে।
নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মামলার এজাহারে তিনি যাঁদের নাম উল্লেখ করেছেন, পুলিশ এখন পর্যন্ত তাঁদের কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। অভিযোগপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রধান আসামি নূর হোসেনকে দেশে ফেরত আনার জন্য অপেক্ষা করবে কি না, জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মহিদ উদ্দিন বলেন, নূর হোসেনকে ফেরত আনার ব্যাপারটি সরকারের। তবে তাঁকে পাওয়া না গেলেও পুলিশ নিজের মতো করে তদন্ত শেষ করবে। ভারতের কারাগারে আটক নূর হোসেনকে ফেরত আনা যাবে কি না, জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁকে আনার ব্যাপারে আমরা বেশ আশাবাদী। দেখা যাক কী হয়।’
তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, নিহত নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম এ ঘটনার জন্য ছয় কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার যে দাবি করেছেন, তার কোনো প্রমাণ মেলেনি। শহিদুল ইসলাম এ নিয়ে এখন আর কোনো কথা বলতে চান না। তিনি এখন পুলিশি পাহারায় বসবাস করছেন। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে র্যা বের সাবেক তিন কর্মকর্তা ছাড়াও নূর হোসেনের সহযোগী চার্চিল ও আলী মোহাম্মদসহ ১২ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সর্বশেষ র্যা ব সদস্য রুহুল আমিনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঈদুল আজহার পরদিন পটুয়াখালী থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই ঘটনার সময় নৌকায় উপস্থিত ছিলেন।
আর অপহরণ ও খুনের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সাতজন। তাঁরা হলেন: পথচারী শহীদুল, তাঁর মেয়ে রাবেয়া আক্তার, শাহীনুল ইসলাম, র্যা ব সদস্য আবদুস সামাদ, আবদুস সালাম, আবদুর রাজ্জাক ও আলী আজম।
তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সাত খুনের মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার মতো যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ তাঁদের হাতে এসেছে। বিশেষ করে র্যা ব-১১-এর সাবেক দুই কর্মকর্তা আরিফ হোসেন ও এম এম রানার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ধরে তদন্ত চালিয়ে খুনের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন তাঁরা।
দুই কর্মকর্তার মধ্যে র্যা ব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার (অব.) এম এম রানা আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, খুনের ঘটনায় র্যা ব সদস্যদের সঙ্গে নূর হোসেনের কয়েকজন সহযোগীও ছিলেন। অপহৃত সাতজনকে ইনজেকশন দিয়ে হত্যা, গাড়ি থেকে লাশ নৌকায় তোলা এবং ইট বেঁধে তা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কাজে তাঁরা র্যা বকে সহায়তা করেছেন। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য সদস্যরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মেজর আরিফ হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, অধিনায়ক তারেক সাঈদের নির্দেশেই তিনি সাতজনকে গুম করেছেন। তবে তারেক সাঈদ জবানবন্দিতে এ ধরনের কোনো কথা বলেননি। আরিফ বলেন, আটক সাতজনকে নিয়ে ২৭ এপ্রিল দুপুরে নরসিংদীর তারাব পৌঁছেই তিনি অধিনায়ককে ফোন করে এ খবর দিয়ে পরবর্তী দিকনির্দেশনা চান। তখন অধিনায়ক বলেন, কোনো প্রত্যক্ষদর্শী রাখা যাবে না, সাতজনকেই গুম করতে হবে।
জবানবন্দির আরেক জায়গায় মেজর আরিফ বলেন, ওই রাতে ট্রলারটি কাঁচপুর ব্রিজের নিচে আসার পর তিনি অধিনায়ককে ফোন করে সর্বশেষ তথ্য দিয়ে জানান, সাতজনকেই গুম করার জন্য তাঁরা প্রস্তুত। তখন তারেক সাঈদ বলেন, এগিয়ে যাও (গো অ্যাহেড)।
তবে তারেক সাঈদ জবানবন্দিতে বলেছেন, অপহরণের দিনেই রাত আড়াইটার দিকে তিনি নৌকা ঘাটে পৌঁছাবার ২০-২৫ মিনিট পর আরিফ সেখানে আসেন। কিছুক্ষণ কথা বলার পর তিনি মেজর আরিফকে তাঁর লোকজনসহ আসামিদের (অপহৃত সাত) নিয়ে র্যা ব সদর দপ্তরে যেতে বলেন। তখন আরিফ জানায়, আসামিদের মেরে ফেলা হয়েছে। কেন মারা হয়েছে জানতে চাইলে আরিফ জানান, তাঁকে চিনে ফেলেছে বলে নজরুলকে মারা হয়েছে। আর অন্যরা দেখেছে বলে ভয়ে সবাইকে মারা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সূত্র জানায়, অপহরণ, খুন ও লাশ গুমের সঙ্গে যুক্ত এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন র্যা ব-১১-এর এমন ২৩ সদস্যের নাম-পরিচয় তাঁদের হাতে এসেছে। এদের মধ্যে পরিদর্শক ছালাম শিকদার ও আবদুস সামাদ ছাড়া অন্য সবাইকে ওই ঘটনার পর র্যা ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তিন র্যা ব কর্মকর্তাসহ সবার স্বীকারোক্তি, প্রত্যক্ষদর্শী, নূর হোসেনের দেহরক্ষী ও ঘনিষ্ঠজনদের স্বীকারোক্তিতে এখন পর্যন্ত ২৩ র্যা ব সদস্যসহ ৩৮ জনের নাম এসেছে। এঁদের তালিকা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ২৩ জন র্যা ব সদস্যকে নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের কার্য্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
No comments