অস্ত্রবাজদের হাতেই খুন আবদুল আলী by ওয়েছ খছরু
কোম্পানীগঞ্জে ৫ গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে
অর্ধশতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র। সীমান্ত দিয়েই এসব অস্ত্র এসেছে ভোলাগঞ্জ
নিয়ন্ত্রণকারী গ্রুপের অস্ত্রবাজদের হাতে। আর এসব অস্ত্র নিয়ে
কোম্পানীগঞ্জে একের পর এক খুনের মিছিল বাড়লেও প্রশাসন রয়েছে নির্বিকার। অথচ
অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। কোম্পানীগঞ্জ কোয়ারির জিরো
পয়েন্ট এলাকা দখলে নিয়ে একাধিকবার সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তায় নিয়োজিত
থাকা আনসার সদস্যদের গোলাগুলি হয়েছে। কিন্তু কখনওই হয় না অস্ত্র উদ্ধার
অভিযান। সর্বশেষ গত শুক্রবার গুলি করে খুন করা হয় ভোলাগঞ্জ কোয়ারির একাংশের
নিয়ন্ত্রক আবদুল আলীকে। এর আগে আপ্তাব আলী কালা চেয়ারম্যানের গ্রুপের
অস্ত্রবাজদের হাতে খুন হয়েছিল আবদুল আলী গ্রুপের দু’জন। স্থানীয়রা জানান,
কোম্পানীগঞ্জের নিয়ন্ত্রণকারী ৫ গ্রুপের হাতে রয়েছে পেশাদার অস্ত্রবাজরাও।
তাদের অস্ত্র চালনার ট্রেনিংও দেয়া হয়েছে। এসব অস্ত্রবাজই এখন
কোম্পানীগঞ্জের আতঙ্কের নাম। আর অস্ত্রের কারণেই কোম্পানীগঞ্জ এখন
সন্ত্রস্ত জনপদ হিসেবে গড়ে উঠেছে। ভোলাগঞ্জ কোয়ারির কারণে ‘টাকার খনি’
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ। এ কোয়ারি দখল নিয়ে বর্তমান শাসক দলের নেতারা বিভক্ত।
৬ বছর ধরে তারা কোয়ারি নিয়ে মুখোমুখি থাকায় শক্তি প্রদর্শনের প্রয়োজন পড়ে।
আর এ প্রয়োজন মেটাতে আনা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। আর এ সব আগ্নেয়াস্ত্র মজুত
রাখা হয়েছে নিরাপদ স্থানে। গত উপজেলা নির্বাচনের অস্ত্রের ব্যবহার ছিল
লক্ষণীয়। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পক্ষে দেয়া হয় অস্ত্রের মহড়াও। এ নিয়ে বেশ
কয়েকটি ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি হয়। একই অবস্থা ছিল গত
সংসদ নির্বাচনে। প্রশাসনের সামনেই অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
কোম্পানীগঞ্জ নিয়ন্ত্রণ করছে ৫টি গ্রুপ- যুবলীগ নেতা শামীম গ্রুপ, আওয়ামী লীগ নেতা আপ্তাব আলী কালা মিয়া, নিহত আলী আহমদের গ্রুপ, গ্রেপ্তারকৃত আলফু মিয়া গ্রুপ ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীরের গ্রুপ। গত ৫ বছরে অন্তত অর্ধশতবার নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে মুখোমুখি হয়েছে এরা। কোয়ারিতে হয়েছে গুলিবিনিময়। ৫টি গ্রুপের রয়েছে শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র। সব গ্রুপের নেতারা তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ওই আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রাখে। ৫টি গ্রুপে রয়েছে বেশ কয়েকজন অস্ত্রবাজ। আওয়ামী লীগ নেতা কালা মিয়ার গ্রুপের আজিম উদ্দিন, নিহত আলীমের গ্রুপের রুহেল, আলফু মিয়া গ্রুপের আলী হোসেন, আকদ্দস আলী, শামীম গ্রুপের জুয়েল ও জাহাঙ্গীর গ্রুপের আক্কাস কোম্পানীগঞ্জ ও ভোলাগঞ্জের মধ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে প্রকাশ্যে। শুক্রবার আবদুল আলী খুনের ঘটনার পর আলফু মিয়া গ্রুপের অস্ত্রবাজ আলী হোসেন ও আকদ্দস আলীর বিরুদ্ধে গুলি করে হত্যার অভিযোগ করেছেন নিহতের ভাই আবদুল হক। তিনি জানান, আলী হোসেন ও আকদ্দস আলী সরাসরি গুলি করে হত্যা করেছে তার ভাইকে। কোম্পানীগঞ্জের মানুষের কাছে আলী হোসেন ও আকদ্দস আলী অস্ত্রবাজ হিসেবে পরিচিত। এর আগেও তারা একাধিক ঘটনায় অস্ত্র ব্যবহার করেছে। শুক্রবার পাথর ব্যবসায়ী আবদুল আলীকে খুনের ঘটনায়ও বেশ কয়েকটি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। আর তাদের ছোড়া গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছিল আবদুল আলীর বুক ও শরীর। এর পাশাপাশি মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করা হয়। এর আগে ২০১৩ সালের ১১ই নভেম্বর আবদুল আলী বাহিনীর সঙ্গে আপ্তাব আলী কালা মিয়া গ্রুপের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই সময় কালা মিয়ার গ্রুপের নেতারা নুরুল আমীন ও হরমুজ আলী নামের দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার দিন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদর, হাসপাতাল এলাকায় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় উভয় গ্রুপ। এ সময় কালা মিয়ার গ্রুপের আজিম উদ্দিনসহ অস্ত্রবাজদের গুলিতে খুন হন ওই দুই ব্যক্তি। তাদের বিরুদ্ধে আবদুল আলী মামলা করেছিলেন। ২০১৩ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ কোয়ারি এলাকায় শামীম বাহিনীর কর্মীদের সঙ্গে আবদুল আলী গ্রুপের কর্মীদের গোলাগুলি ও সংঘর্ষ ঘটে। ওই দিন উভয় পক্ষের মধ্যে শতাধিক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আওয়ামী লীগ নেতা জৈন উদ্দিন ও জলফু মিয়াকেও গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। কোম্পানীগঞ্জের সুশীল সমাজের লোকজন গতকাল জানিয়েছেন, কোম্পানীগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। যে গ্রুপের হাতে যত বেশি অত্যাধুনিক অস্ত্র সে গ্রুপ তত বেশি শক্তিশালী বলে জানান তারা। এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জের ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, আবদুল আলী খুনের ঘটনার পর আলফু মিয়ার কাছ থেকে একনলা একটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ ঘটনার পর নতুন করে অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে, আবদুল আলী খুনের ঘটনায় গতকাল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরে শোক র্যালি করেছে এলাকাবাসী। কোম্পানীগঞ্জ এলাকাবাসী সদরে র্যালির পর খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে। ওদিকে, ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত আলফু মিয়া সিলেটের আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়ে তার গ্রুপের হাতে আবদুল আলী খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ নিয়ন্ত্রণ করছে ৫টি গ্রুপ- যুবলীগ নেতা শামীম গ্রুপ, আওয়ামী লীগ নেতা আপ্তাব আলী কালা মিয়া, নিহত আলী আহমদের গ্রুপ, গ্রেপ্তারকৃত আলফু মিয়া গ্রুপ ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীরের গ্রুপ। গত ৫ বছরে অন্তত অর্ধশতবার নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে মুখোমুখি হয়েছে এরা। কোয়ারিতে হয়েছে গুলিবিনিময়। ৫টি গ্রুপের রয়েছে শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র। সব গ্রুপের নেতারা তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ওই আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রাখে। ৫টি গ্রুপে রয়েছে বেশ কয়েকজন অস্ত্রবাজ। আওয়ামী লীগ নেতা কালা মিয়ার গ্রুপের আজিম উদ্দিন, নিহত আলীমের গ্রুপের রুহেল, আলফু মিয়া গ্রুপের আলী হোসেন, আকদ্দস আলী, শামীম গ্রুপের জুয়েল ও জাহাঙ্গীর গ্রুপের আক্কাস কোম্পানীগঞ্জ ও ভোলাগঞ্জের মধ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে প্রকাশ্যে। শুক্রবার আবদুল আলী খুনের ঘটনার পর আলফু মিয়া গ্রুপের অস্ত্রবাজ আলী হোসেন ও আকদ্দস আলীর বিরুদ্ধে গুলি করে হত্যার অভিযোগ করেছেন নিহতের ভাই আবদুল হক। তিনি জানান, আলী হোসেন ও আকদ্দস আলী সরাসরি গুলি করে হত্যা করেছে তার ভাইকে। কোম্পানীগঞ্জের মানুষের কাছে আলী হোসেন ও আকদ্দস আলী অস্ত্রবাজ হিসেবে পরিচিত। এর আগেও তারা একাধিক ঘটনায় অস্ত্র ব্যবহার করেছে। শুক্রবার পাথর ব্যবসায়ী আবদুল আলীকে খুনের ঘটনায়ও বেশ কয়েকটি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। আর তাদের ছোড়া গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছিল আবদুল আলীর বুক ও শরীর। এর পাশাপাশি মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করা হয়। এর আগে ২০১৩ সালের ১১ই নভেম্বর আবদুল আলী বাহিনীর সঙ্গে আপ্তাব আলী কালা মিয়া গ্রুপের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই সময় কালা মিয়ার গ্রুপের নেতারা নুরুল আমীন ও হরমুজ আলী নামের দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার দিন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদর, হাসপাতাল এলাকায় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় উভয় গ্রুপ। এ সময় কালা মিয়ার গ্রুপের আজিম উদ্দিনসহ অস্ত্রবাজদের গুলিতে খুন হন ওই দুই ব্যক্তি। তাদের বিরুদ্ধে আবদুল আলী মামলা করেছিলেন। ২০১৩ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ কোয়ারি এলাকায় শামীম বাহিনীর কর্মীদের সঙ্গে আবদুল আলী গ্রুপের কর্মীদের গোলাগুলি ও সংঘর্ষ ঘটে। ওই দিন উভয় পক্ষের মধ্যে শতাধিক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আওয়ামী লীগ নেতা জৈন উদ্দিন ও জলফু মিয়াকেও গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। কোম্পানীগঞ্জের সুশীল সমাজের লোকজন গতকাল জানিয়েছেন, কোম্পানীগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। যে গ্রুপের হাতে যত বেশি অত্যাধুনিক অস্ত্র সে গ্রুপ তত বেশি শক্তিশালী বলে জানান তারা। এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জের ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, আবদুল আলী খুনের ঘটনার পর আলফু মিয়ার কাছ থেকে একনলা একটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ ঘটনার পর নতুন করে অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে, আবদুল আলী খুনের ঘটনায় গতকাল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরে শোক র্যালি করেছে এলাকাবাসী। কোম্পানীগঞ্জ এলাকাবাসী সদরে র্যালির পর খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে। ওদিকে, ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত আলফু মিয়া সিলেটের আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়ে তার গ্রুপের হাতে আবদুল আলী খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে।
No comments