আইএসবিরোধী অভিযান- মার্কিন প্রস্তাবে বাংলাদেশের ‘না’ by রাহীদ এজাজ
ইরাক ও সিরিয়ায় তৎপর কট্টর
সুন্নিপন্থী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে যোগ
দেওয়ার মার্কিন প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়াশিংটনের
প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিয়ে ঢাকা স্পষ্ট করে বলেছে, কোনো সামরিক অভিযান নয়,
ইরাক ও সিরিয়ায় জাতিসংঘের নেতৃত্বে কোনো মানবিক সহায়তা কার্যক্রম শুরু
হলে বাংলাদেশ তাতে যোগ দেবে।
সরকারের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে গত শুক্রবার বলেন, চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক চিঠিতে বাংলাদেশকে আইএসবিরোধী অভিযানে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানায়। সপ্তাহ খানেক পর প্রস্তাবটি মৌখিকভাবে ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশ।
ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে নিয়েছে আইএস। সংগঠনটি আগে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট (আইএসআইএল) নামেও পরিচিত ছিল। আইএসবিরোধী জোটে বাংলাদেশকে যুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওয়াশিংটনে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় অংশীদারত্ব সংলাপে আইএস প্রসঙ্গে আলোচনা হবে। সেখানেও বাংলাদেশ একই অবস্থান তুলে ধরবে।
ঢাকা ও ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্র জানায়, বাংলাদেশের মতো অন্যতম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশকে আইএসবিরোধী অভিযানে যুক্ত করতে বিশেষভাবে আগ্রহী পাশ্চাত্যের দেশগুলো। তাদের ধারণা, এই অভিযানে বাংলাদেশের মতো দেশ যুক্ত হলে তা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশনের ফাঁকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ‘সিরিয়া: সাপোর্টিং মডারেট ভয়েসেস’ শীর্ষক এক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানানো হয়। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও তুরস্ক যৌথভাবে ওই বৈঠকের আয়োজন করেছিল। অন্যদের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই বৈঠকে অংশ নেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুয়ামুন কবীর গত শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, আইএসবিরোধী মার্কিন অভিযানে যোগ না দেওয়ার অবস্থানটি সঠিক এবং গত তিন দশকের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ, ২০০৩ সালে ইরাক ও আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত অনুরোধ সত্ত্বেও বাংলাদেশ তাতে সাড়া দেয়নি।
তবে সাবেক এই কূটনীতিকের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ও সামরিক বিশ্লেষক এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী। তিনি বলেন, আইএসবিরোধী অভিযানে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার আগে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিতে পারত। তা ছাড়া, নব্বইয়ে দশকের গোড়ার দিকে ইরাকের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযান ডেজার্ট স্টর্মে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছিল।
এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল একজন কূটনীতিক এই প্রতিবেদককে বলেন, শুধু আইএস নয়, সব ধরনের জঙ্গিবাদী সংগঠনের সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে বাংলাদেশ। তাই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ন্যূনতম ছাড় দেবে না। এ প্রক্রিয়ায় সম্প্রতি জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে আইএসের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ এটাও মনে করে, জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়া আইএসের মতো উগ্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনো সামরিক অভিযান চালানো সমীচীন হবে না। পাশাপাশি সিরিয়া ও ইরাকের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি বাংলাদেশ শ্রদ্ধাশীল, সেখানকার সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
সরকারের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে গত শুক্রবার বলেন, চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক চিঠিতে বাংলাদেশকে আইএসবিরোধী অভিযানে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানায়। সপ্তাহ খানেক পর প্রস্তাবটি মৌখিকভাবে ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশ।
ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে নিয়েছে আইএস। সংগঠনটি আগে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট (আইএসআইএল) নামেও পরিচিত ছিল। আইএসবিরোধী জোটে বাংলাদেশকে যুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওয়াশিংটনে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় অংশীদারত্ব সংলাপে আইএস প্রসঙ্গে আলোচনা হবে। সেখানেও বাংলাদেশ একই অবস্থান তুলে ধরবে।
ঢাকা ও ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্র জানায়, বাংলাদেশের মতো অন্যতম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশকে আইএসবিরোধী অভিযানে যুক্ত করতে বিশেষভাবে আগ্রহী পাশ্চাত্যের দেশগুলো। তাদের ধারণা, এই অভিযানে বাংলাদেশের মতো দেশ যুক্ত হলে তা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশনের ফাঁকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ‘সিরিয়া: সাপোর্টিং মডারেট ভয়েসেস’ শীর্ষক এক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানানো হয়। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও তুরস্ক যৌথভাবে ওই বৈঠকের আয়োজন করেছিল। অন্যদের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই বৈঠকে অংশ নেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুয়ামুন কবীর গত শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, আইএসবিরোধী মার্কিন অভিযানে যোগ না দেওয়ার অবস্থানটি সঠিক এবং গত তিন দশকের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ, ২০০৩ সালে ইরাক ও আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত অনুরোধ সত্ত্বেও বাংলাদেশ তাতে সাড়া দেয়নি।
তবে সাবেক এই কূটনীতিকের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ও সামরিক বিশ্লেষক এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী। তিনি বলেন, আইএসবিরোধী অভিযানে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার আগে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিতে পারত। তা ছাড়া, নব্বইয়ে দশকের গোড়ার দিকে ইরাকের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযান ডেজার্ট স্টর্মে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছিল।
এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল একজন কূটনীতিক এই প্রতিবেদককে বলেন, শুধু আইএস নয়, সব ধরনের জঙ্গিবাদী সংগঠনের সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে বাংলাদেশ। তাই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ন্যূনতম ছাড় দেবে না। এ প্রক্রিয়ায় সম্প্রতি জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে আইএসের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ এটাও মনে করে, জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়া আইএসের মতো উগ্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনো সামরিক অভিযান চালানো সমীচীন হবে না। পাশাপাশি সিরিয়া ও ইরাকের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি বাংলাদেশ শ্রদ্ধাশীল, সেখানকার সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
No comments