অবশেষে বাংলাদেশের টেস্ট–জয়
লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০১। কিন্তু এই
লক্ষ্যমাত্রাই একটা পর্যায়ে অনেক কঠিন হয়ে দেখা দিচ্ছিল বাংলাদেশের জন্য।
কিন্তু অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিং সব আশঙ্কাকে দূরে
ঠেলে দারুণ এক জয় এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এটি
বাংলাদেশের পঞ্চম জয়। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয়। ২০১৩ সালে এই
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই সর্বশেষ টেস্ট জয়টি বাংলাদেশ তুলেছিল জিম্বাবুয়ের
মাটিতেই।
মুশফিকুর রহিমের ২৩ আর মাহমুদউল্লাহর ২৮ রানের দুটি কার্যকর ইনিংসই আজ বাংলাদেশের জয়ের পথ পরিষ্কার করেছে। ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে কোনো রান না তুলে ৩ উইকেট হারিয়ে ইনিংসের শুরুতে যে বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ, সেটা থেকে বের করে দলকে বের করে নিয়ে আসে মূলত এই দুটি ইনিংস। তবে ৮২ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর টেইল এন্ডার তাইজুল ইসলামের অপরাজিত ১৫ রান শেষ পর্যন্ত এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণই বিবেচিত হচ্ছে।
কেবল গুরুত্বপূর্ণ? তাইজুল তো আজ ক্ষেত্রই প্রস্তুত করে দিয়েছেন বাংলাদেশের বিজয়ে। টেস্টের তৃতীয় দিন সকাল থেকেই তাঁর বাঁ হাতি স্পিন যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, সেই ধ্বংসযজ্ঞই যে শেষ অবধি প্রস্তুত করে দিয়েছে জয়ের আনন্দ-মঞ্চ।
মুশফিকুর রহিমের ২৩ আর মাহমুদউল্লাহর ২৮ রানের দুটি কার্যকর ইনিংসই আজ বাংলাদেশের জয়ের পথ পরিষ্কার করেছে। ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে কোনো রান না তুলে ৩ উইকেট হারিয়ে ইনিংসের শুরুতে যে বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ, সেটা থেকে বের করে দলকে বের করে নিয়ে আসে মূলত এই দুটি ইনিংস। তবে ৮২ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর টেইল এন্ডার তাইজুল ইসলামের অপরাজিত ১৫ রান শেষ পর্যন্ত এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণই বিবেচিত হচ্ছে।
কেবল গুরুত্বপূর্ণ? তাইজুল তো আজ ক্ষেত্রই প্রস্তুত করে দিয়েছেন বাংলাদেশের বিজয়ে। টেস্টের তৃতীয় দিন সকাল থেকেই তাঁর বাঁ হাতি স্পিন যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, সেই ধ্বংসযজ্ঞই যে শেষ অবধি প্রস্তুত করে দিয়েছে জয়ের আনন্দ-মঞ্চ।
>>টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলিং এখন তাইজুলেরই ছবি: শামসুল হক
তাইজুল
আজ ঢুকে গেছেন ইতিহাসে। তাঁর ৮/৩৯ হচ্ছে এই মুহূর্তে টেস্ট ক্রিকেটে
বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান। বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত টেস্ট
ম্যাচেও এটি কোনো বোলারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। টেস্ট ইতিহাসেও জায়গা
পাচ্ছেন তিনি। তাইজুলের এই বোলিং টেস্ট ক্রিকেটের ৩০তম সেরা
বোলিং-পরিসংখ্যান।
সকাল থেকেই বাঁ হাতি স্পিনের অনুপম প্রদর্শনীতে মেতেছিলেন এই তাইজুল। প্রতিটি বলই ফেলছিলেন একেবারে ঠিক জায়গায়। তাঁর বলের টার্ন-বাউন্সে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরা। ভুসিমুজি সিবান্দাকে দিনের ষষ্ঠ ওভারে দারুণ এক বলে মুশফিকের শিকারে পরিণত করেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি তিনি। একে একে ফিরিয়ে দিয়েছেন চাকাভা, সিকান্দার রাজা, চিগুম্বুরা, এরভিন, পানিয়াঙ্গারা, চাতারা ও কামুনগোজিকে। প্রতিটি উইকেটই ছিল বাঁ-হাতি স্পিনের ক্লাসিকাল নিদর্শন। কন্ডিশন ও উইকেট বিচারে আজ মিরপুরের মাঠে তাইজুল হয়ে উঠেছিলেন অসম্ভব ভয়ংকর।
তাইজুল যা বাকী রেখেছিলেন তা কুড়িয়েছেন শাহাদাত আর সাকিব। শাহাদাত দারুণ এক ইনকার্টারে বোল্ড করেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে। সাকিব ফেরান নিউম্বুকে।
দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১৪ রানে অলআউট হয়ে বাংলাদেশের জয়ের ক্ষেত্র তৈরি করে দেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরাই। কিন্তু জিম্বাবুইয়ান বোলাররা অত সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিল না। সেটা তারা বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের গোটা রানতাড়াতেই। আজ ভয়ংকর হয়ে উঠেছিরলন চিগুম্বুরা। তিনি ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনি নাড়িয়ে দেন বাংলাদেশের ব্যাটিং। পানিয়াঙ্গারা নেন ২ উইকেট। তবে শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ আর মুশফিকের দৃঢ়তায় কোনো অপ্রত্যাশিত অপ্রাপ্তি সঙ্গী হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের।
সকাল থেকেই বাঁ হাতি স্পিনের অনুপম প্রদর্শনীতে মেতেছিলেন এই তাইজুল। প্রতিটি বলই ফেলছিলেন একেবারে ঠিক জায়গায়। তাঁর বলের টার্ন-বাউন্সে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরা। ভুসিমুজি সিবান্দাকে দিনের ষষ্ঠ ওভারে দারুণ এক বলে মুশফিকের শিকারে পরিণত করেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি তিনি। একে একে ফিরিয়ে দিয়েছেন চাকাভা, সিকান্দার রাজা, চিগুম্বুরা, এরভিন, পানিয়াঙ্গারা, চাতারা ও কামুনগোজিকে। প্রতিটি উইকেটই ছিল বাঁ-হাতি স্পিনের ক্লাসিকাল নিদর্শন। কন্ডিশন ও উইকেট বিচারে আজ মিরপুরের মাঠে তাইজুল হয়ে উঠেছিলেন অসম্ভব ভয়ংকর।
তাইজুল যা বাকী রেখেছিলেন তা কুড়িয়েছেন শাহাদাত আর সাকিব। শাহাদাত দারুণ এক ইনকার্টারে বোল্ড করেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে। সাকিব ফেরান নিউম্বুকে।
দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১৪ রানে অলআউট হয়ে বাংলাদেশের জয়ের ক্ষেত্র তৈরি করে দেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরাই। কিন্তু জিম্বাবুইয়ান বোলাররা অত সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিল না। সেটা তারা বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের গোটা রানতাড়াতেই। আজ ভয়ংকর হয়ে উঠেছিরলন চিগুম্বুরা। তিনি ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনি নাড়িয়ে দেন বাংলাদেশের ব্যাটিং। পানিয়াঙ্গারা নেন ২ উইকেট। তবে শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ আর মুশফিকের দৃঢ়তায় কোনো অপ্রত্যাশিত অপ্রাপ্তি সঙ্গী হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের।
No comments