বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব সংলাপ কাল শুরু
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব সংলাপ আগামীকাল ওয়াশিংটনে শুরু হচ্ছে। তৃতীয় দফার এ সংলাপে উন্নয়ন ও সুশাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা প্রাধান্য পাবে। সংলাপে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতিও গুরুত্ব পাবে।
দুই দিনের সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে পররাষ্ট্র সচিব বর্তমানে দ্বুাই আছেন। সেখান থেকে তিনি ওয়াশিংটন যাবেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন সে দেশের পররাষ্ট্র দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি উইন্ডি শারম্যান।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথমবারের মতো অংশীদারিত্ব সংলাপে মিলিত হচ্ছে। এর আগে ২৬ ও ২৭ মে ঢাকায় দ্বিতীয় অংশীদারিত্ব সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অংশীদারিত্ব সংলাপের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও নিরাপত্তা সংলাপ নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে অংশীদারিত্ব সংলাপে আলোচনা হয় সার্বিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক।
প্রধান বিরোধীদলীয় জোটের বর্জন সত্ত্বেও ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই নির্বাচনকে ‘অনস্বীকার্যভাবে ত্রুটিপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করে অধিকতর প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠনে সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছিল বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি হিসেবে বিবেচিত পশ্চিমা দেশটি। গত জুলাইয়ে সিনেট কমিটির শুনানিতে বাংলাদেশের জন্য মনোনীত রাষ্ট্রদূত স্টিফেন ব্লুম বার্নিকট যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একই অবস্থান তুলে ধরেন। তবে সম্প্রতি ঢাকায় বাংলাদেশ কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতির (ডিকাব) সাথে আলাপকালে বর্তমান রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে মন্তব্য করে বলেছেন, এর সমাধান বাংলাদেশকেই খুঁজে বের করতে হবে। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় অংশীদারিত্ব সংলাপে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার সর্বশেষ অবস্থান সরকারকে জানাতে পারে।
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ থাকলেও দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে দেশটি বাংলাদেশের সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র আর্মি-প্যাসিফিক (ইউএসএআরপিএসি) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথভাবে প্যাসিফিক আর্মি ম্যানেজমেন্ট সেমিনারের (প্যামস) আয়োজন করছে। এতে এশিয়া-প্যাসিফিক এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলের ২৩টি দেশের ঊর্ধ্বতন সেনা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যোগ দিতে ঢাকায় আসেন। এ ছাড়া ঢাকা-ওয়াশিংটন নিরাপত্তা সংলাপও যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাতের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। বিশেষ করে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিধান ও শ্রম অধিকার সমুন্নত রাখার ওপর যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সমন্বয়ের ভিত্তিতে তারা কাজ করছে। তৈরী পোশাক শিল্পের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে যুক্তরাষ্ট্র গত বছর বাংলাদেশে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে। এ সুবিধা পুনর্বহাল এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার প্রসঙ্গও অংশীদারিত্ব সংলাপের আলোচনায় আসতে পারে।
দুই দিনের সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে পররাষ্ট্র সচিব বর্তমানে দ্বুাই আছেন। সেখান থেকে তিনি ওয়াশিংটন যাবেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন সে দেশের পররাষ্ট্র দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি উইন্ডি শারম্যান।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথমবারের মতো অংশীদারিত্ব সংলাপে মিলিত হচ্ছে। এর আগে ২৬ ও ২৭ মে ঢাকায় দ্বিতীয় অংশীদারিত্ব সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অংশীদারিত্ব সংলাপের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও নিরাপত্তা সংলাপ নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে অংশীদারিত্ব সংলাপে আলোচনা হয় সার্বিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক।
প্রধান বিরোধীদলীয় জোটের বর্জন সত্ত্বেও ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই নির্বাচনকে ‘অনস্বীকার্যভাবে ত্রুটিপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করে অধিকতর প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠনে সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছিল বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি হিসেবে বিবেচিত পশ্চিমা দেশটি। গত জুলাইয়ে সিনেট কমিটির শুনানিতে বাংলাদেশের জন্য মনোনীত রাষ্ট্রদূত স্টিফেন ব্লুম বার্নিকট যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একই অবস্থান তুলে ধরেন। তবে সম্প্রতি ঢাকায় বাংলাদেশ কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতির (ডিকাব) সাথে আলাপকালে বর্তমান রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে মন্তব্য করে বলেছেন, এর সমাধান বাংলাদেশকেই খুঁজে বের করতে হবে। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় অংশীদারিত্ব সংলাপে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার সর্বশেষ অবস্থান সরকারকে জানাতে পারে।
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ থাকলেও দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে দেশটি বাংলাদেশের সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র আর্মি-প্যাসিফিক (ইউএসএআরপিএসি) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথভাবে প্যাসিফিক আর্মি ম্যানেজমেন্ট সেমিনারের (প্যামস) আয়োজন করছে। এতে এশিয়া-প্যাসিফিক এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলের ২৩টি দেশের ঊর্ধ্বতন সেনা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যোগ দিতে ঢাকায় আসেন। এ ছাড়া ঢাকা-ওয়াশিংটন নিরাপত্তা সংলাপও যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাতের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। বিশেষ করে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিধান ও শ্রম অধিকার সমুন্নত রাখার ওপর যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সমন্বয়ের ভিত্তিতে তারা কাজ করছে। তৈরী পোশাক শিল্পের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে যুক্তরাষ্ট্র গত বছর বাংলাদেশে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে। এ সুবিধা পুনর্বহাল এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার প্রসঙ্গও অংশীদারিত্ব সংলাপের আলোচনায় আসতে পারে।
No comments