বখাটের পাশবিক নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী শিশু by এম মাঈন উদ্দিন
মিরসরাইয়ে আট বছর বয়সী শারীরিক, মানসিক ও বাকপ্রতিবন্ধী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। উপজেলার ধূম ইউনিয়নের উত্তর মোবারক ঘোনা গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের ছেলে হোরা মিয়া খেলা থেকে ডেকে নিয়ে শিশুটির হাত বেঁধে এবং মুখ চেপে ধরে পাশবিক এই নির্যাতন চালায়। গত ৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টায় উত্তর মোবারক ঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ দিকে ধর্ষণের প্রায় ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি। ধর্ষণের ঘটনার একমাত্র হোতা পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তবে পুলিশের দাবি আসামিকে গ্রেফতার করার জোর চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গ্রামের অন্যান্য শিশুর সাথে খেলার সময় এলাকার অটোরিকশাচালক লম্পট হোরা প্রতিবন্ধী ওই শিশুকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় প্রচণ্ড রক্তপাত হয়ে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা নির্যাতিত ওই শিশুকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (মাস্তাননগর হাসপাতাল) ভর্তি করান। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চমেকে স্থানান্তর করেন।
ওই দিন বেলা ২টায় প্রতিবন্ধী ওই শিশুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মুমূর্ষু শিশুটিকে তার মা-বাবা চমেকে না নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। এ সময় ওই পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, চমেকে নিয়ে যাওয়ার মতো সামর্থ্য না থাকায় শিশুটিকে তারা বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে জোরারগঞ্জ থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) মো: আলমগীর হোসেন ধর্ষিতা মেয়েটিকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে চমেকে পাঠান।
ধর্ষিতা শিশুর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে জন্ম থেকে মানসিক, শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী। গ্রামের অন্য ছেলেপুলেদের সাথে খেলা করার সময় হোরা নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমার অসুস্থ মেয়েটির ওপর পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমি ওই লম্পটের উপযুুক্ত শাস্তি চাই।’
ধূম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ভোলার কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি ধর্ষক এবং ধর্ষিতা উভয় পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেছি। ধর্ষকের পরিবারকে বলেছি মেয়েটির চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে।’ আপনি কি বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করছেন? জানতে চাইলে ভোলা বলেন, ‘আগে মেয়েটি সুস্থ হোক, তারপর কী হবে দেখা যাবে।’ এ ধরনের বিষয় স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা যায় কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘অবশ্য এটি ধামাচাপা দেয়ার মতো ঘটনা নয়।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জোরারগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো: মাঈন উদ্দিন জানান, ‘এ ঘটনায় ধর্ষক হোরা মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি দু-এক দিনের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করতে পারব।’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গ্রামের অন্যান্য শিশুর সাথে খেলার সময় এলাকার অটোরিকশাচালক লম্পট হোরা প্রতিবন্ধী ওই শিশুকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় প্রচণ্ড রক্তপাত হয়ে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা নির্যাতিত ওই শিশুকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (মাস্তাননগর হাসপাতাল) ভর্তি করান। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চমেকে স্থানান্তর করেন।
ওই দিন বেলা ২টায় প্রতিবন্ধী ওই শিশুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মুমূর্ষু শিশুটিকে তার মা-বাবা চমেকে না নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। এ সময় ওই পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, চমেকে নিয়ে যাওয়ার মতো সামর্থ্য না থাকায় শিশুটিকে তারা বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে জোরারগঞ্জ থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) মো: আলমগীর হোসেন ধর্ষিতা মেয়েটিকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে চমেকে পাঠান।
ধর্ষিতা শিশুর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে জন্ম থেকে মানসিক, শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী। গ্রামের অন্য ছেলেপুলেদের সাথে খেলা করার সময় হোরা নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমার অসুস্থ মেয়েটির ওপর পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমি ওই লম্পটের উপযুুক্ত শাস্তি চাই।’
ধূম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ভোলার কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি ধর্ষক এবং ধর্ষিতা উভয় পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেছি। ধর্ষকের পরিবারকে বলেছি মেয়েটির চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে।’ আপনি কি বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করছেন? জানতে চাইলে ভোলা বলেন, ‘আগে মেয়েটি সুস্থ হোক, তারপর কী হবে দেখা যাবে।’ এ ধরনের বিষয় স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা যায় কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘অবশ্য এটি ধামাচাপা দেয়ার মতো ঘটনা নয়।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জোরারগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো: মাঈন উদ্দিন জানান, ‘এ ঘটনায় ধর্ষক হোরা মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি দু-এক দিনের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করতে পারব।’
No comments