নিরাপত্তার জন্য জামায়াত কোন হুমকি নয় -প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ধর্মনিরপেক্ষতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ। বর্তমানে উদার শক্তিগুলো দেশ শাসন করছে। গালফ নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার তিনি তিন দিনের সফরে যান সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এ দিনই রাতে তার ওই সাক্ষাৎকারটি নেন সাংবাদিক বিনসার আবদুল কাদের। এতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমার সরকার ধর্মভিত্তিক জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীল অবস্থান নিয়েছে। তাদেরকে সমূলে উৎখাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমার সরকার। গত সাড়ে পাঁচ বছরে এ লক্ষ্যে আমরা উল্লেখ করার মতো অর্জন করেছি। তার মতে, বিবেচ্য মাত্রায় কমেছে জঙ্গিবাদ। এখন বাংলাদেশের সমাজকে নেতৃত্ব দিচ্ছে উদার শক্তিগুলো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসকে যথেষ্ট ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে আমাদের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ এখন প্রায় সন্ত্রাসমুক্ত। ভারত উপমহাদেশে কট্টর ধর্মীয় আদর্শ অনুসরণকারী দল জামায়াতে ইসলামী। প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিদ্বন্দ্বী এই দলটি সম্পর্কে বলেন, গত ৬০ বছর বা তারও বেশি সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশে উল্লেখ করার মতো রাজনৈতিক জায়গা করে নিতে পারে নি জামায়াত। আমি মনে করি না যে, এখানে তারা কোনদিন শক্ত অবস্থান করে নিতে পারবে। তারা নিরাপত্তার জন্য আদৌ কোন হুমকি হবে না। দারিদ্র্য নিরসন, খাদ্য সরবরাহ, আশ্রয়, স্বাস্থ্য সেবা, পয়ঃনিষ্কাশন, শিক্ষা, কর্ম সংস্থান ও জনগণকে ক্ষমতায়ন করার মতো মৌলিক বিষয়গুলোতে যদি দক্ষিণ এশিয়ার নেতারা এক থাকেন তাহলে আভ্যন্তরীণ এবং বাইরের কোন শক্তি আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। পাকিস্তানে তালেবান ও অন্য কট্টরপন্থি শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে সরকার। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ কোন ইস্যু বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোন প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি না।
ভারত উপমহাদেশের যুবকরা ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গি দল আইসিসে যোগ দিয়েছে- এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ থেকে এখনও কাউকে আইসিসে যোগ দেয়ার কথা তিনি শোনেন নি। এ জন্য তিনি গর্বিত। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি না যে, আইসিস কারও জন্য বড় কোন হুমকি। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো সম্পদ রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর। এ বিষয়টি শেষ হয়ে যেতে সময় প্রয়োজন। আমার দেশ এ সব শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে আরব দেশগুলোর পাশে রয়েছে। যখনই প্রয়োজন হবে আমরা তাদের আহ্বানে সাড়া দেবো। তিনি বলেন, ইরাক ও সিরিয়ার অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে বাংলাদেশ। ওই সব দেশে শান্তিপূর্ণ একটি সমাধান দেখতে চায় বাংলাদেশ। সিরিয়া ও ইরাক সঙ্কটে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সহায়তা কর্মসূচিতেই শুধু অংশ নেবে তার দেশ।
ভারত উপমহাদেশের যুবকরা ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গি দল আইসিসে যোগ দিয়েছে- এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ থেকে এখনও কাউকে আইসিসে যোগ দেয়ার কথা তিনি শোনেন নি। এ জন্য তিনি গর্বিত। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি না যে, আইসিস কারও জন্য বড় কোন হুমকি। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো সম্পদ রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর। এ বিষয়টি শেষ হয়ে যেতে সময় প্রয়োজন। আমার দেশ এ সব শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে আরব দেশগুলোর পাশে রয়েছে। যখনই প্রয়োজন হবে আমরা তাদের আহ্বানে সাড়া দেবো। তিনি বলেন, ইরাক ও সিরিয়ার অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে বাংলাদেশ। ওই সব দেশে শান্তিপূর্ণ একটি সমাধান দেখতে চায় বাংলাদেশ। সিরিয়া ও ইরাক সঙ্কটে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সহায়তা কর্মসূচিতেই শুধু অংশ নেবে তার দেশ।
No comments