বিদেশীদের বছরে ৫৫ হাজার গ্রীনকার্ড দিতে বিল- যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী বাংলাদেশীরাও এই সুবিধা পাবেন
আমেরিকার ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করা বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চতর ডিগ্রী গ্রহণের পর স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কংগ্রেসে শীঘ্রই একটি বিল পাস হচ্ছে। ১৮ সেপ্টেম্বর রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ল্যামার স্মিথ (টেক্সাস) এ সম্পর্কিত একটি বিল উত্থাপন করেছেন।
উল্লেখ্য, ল্যামার স্মিথ হচ্ছেন হাউসে জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান। এ বিল পাস হলে প্রতিবছর মাস্টার্স অথবা ডক্তরেট ডিগ্রী গ্রহণকারী ৫৫ হাজার জনকে গ্রীনকার্ড প্রদান করা যাবে। উল্লেখ্য, ডিভি লটারির বিকল্প হিসেবে এ বিলের প্রস্তাব করা হলো। আরও উল্লেখ্য, চলতি বছর থেকেই ডিভি লটারি থেকে বাংলাদেশ আউট হয়ে গেছে। এ বিল পাস হলে আমেরিকার বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশীরাও স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন। রিপাবলিকানদের এ বিল স্পন্সর করেছেন ৫০ জনের মতো। এর মধ্যে ডেমোক্র্যাট রয়েছেন মাত্র একজন। তিনিও টেক্সাসের এবং তাঁর নাম হচ্ছে হেনরি কুয়েলার। হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান দলের নেতা ভার্জিনিয়ার কংগ্রেসম্যান এরিক ক্যান্টর বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর এ বিলের ওপর ভোট হতে যাচ্ছে। হাউসে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় তা পাসে কোন শঙ্কা নেই বলে জানা গেছে। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেসম্যান (ডেমোক্র্যাট) জো লফগ্রীন আরেকটি বিল উত্থাপন করেছেন। সেটিতে বলা হয়েছে, সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথমেটিক্সে উচ্চতর ডিগ্রীধারীদের মধ্যে বছরে অন্তত ৫০ হাজার জনকে গ্রীনকার্ড প্রদান করতে হবে। এটি অবশ্য ডিভি লটারির বিকল্প হবে না। অপরদিকে সিনেটে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন নিউইয়র্কের সিনেটর চাক শ্যুমার। তিনি ১৮ সেপ্টেম্বর আরেকটি বিল উত্থাপন করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, দু’বছর মেয়াদী একটি পাইলট প্রোগ্রামের কথা, যার মাধ্যমে প্রতিবছর ৫৫ হাজার উচ্চ শিক্ষিত বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীকে গ্রীনকার্ড প্রদান করা যাবে। ডেমোক্র্যাটরা অবশ্য আশা করছেন ডিভি লটারি বন্ধ করে পারিবারিক কোটায় গ্রীনকার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধির। ল্যামার স্মিথ তাঁর বিলের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনকালে বলেছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর বিদেশী ছাত্রদের নিজ দেশে ফেরত যাবার ব্যাপারটি চালু রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। তাঁরা যদি আমেরিকায় বসবাসের সুযোগ পান তাহলে নিজেরা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সক্ষম হবেন এবং তাঁদের মেধায় উপকৃত হবে আমেরিকা।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাথ, কম্পিউটার সায়েন্স, ফিজিক্যাল সায়েন্সে যত ছাত্রছাত্রী গ্যাজুয়েশন করেছেন তার ৪৫% হলেন বিদেশী। ঐ একই শিক্ষাবর্ষে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভকারীদের ৫২% বিদেশী।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাথ, কম্পিউটার সায়েন্স, ফিজিক্যাল সায়েন্সে যত ছাত্রছাত্রী গ্যাজুয়েশন করেছেন তার ৪৫% হলেন বিদেশী। ঐ একই শিক্ষাবর্ষে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভকারীদের ৫২% বিদেশী।
No comments