মমতা আবারও বললেন আপস নয়-কংগ্রেসের প্রতি সত্য বিকৃত না করার আহবান
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ক্ষমতাসীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কোনো পরিকল্পনা আপাতত তাঁর নেই।
সরকার তাঁদের দাবি মেনে নিলে মন্ত্রিসভা থেকে দলের সদস্যদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আবারও বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু গতকাল বুধবার নিজের সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থান প্রকাশ করেছেন তিনি। তৃণমূলকে জোটে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কংগ্রেসের অবস্থানও অস্পষ্ট রয়েছে।
সরকারের আর্থিক কয়েকটি সিদ্ধান্তের জের ধরে গত মঙ্গলবার ইউপিএ জোট থেকে বের হয়ে আসার ঘোষণা দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, ভর্তুকি দেওয়া গ্যাস সিলিন্ডারের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া এবং খুচরা বাজারে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতিদানের বিরোধিতা করে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মমতা অভিযোগ করেন, তাঁর সঙ্গে আলোচনা না করেই সরকার এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউপিএ মন্ত্রিসভায় তৃণমূলের এক মন্ত্রী ও পাঁচ প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। তবে সরকার যদি লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম পাঁচ রুপি না বাড়িয়ে তিন থেকে চার রুপি বাড়ায়, খুচরা ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি উঠিয়ে নেয় এবং ভর্তুকি দেওয়া গ্যাস সিলিন্ডারের সংখ্যা বাড়ায়, তাহলে সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন বলেও জানান মমতা।
কলকাতার সাংবাদিকদের মমতা বলেন, 'আমার অবস্থানে অনড় থাকব আমি। পরিস্থিতি যা-ই দাঁড়াক না কেন, তৃণমূল মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন।' নিজের দাবি সম্পর্কে মমতা বলেন, 'একটি পরিবারকে বছরে অন্তত ভর্তুকি পাওয়া ২৪টি গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া উচিত। সরকার আর কতবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়াবে? খুচরা ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের সিদ্ধান্তও প্রত্যাহার করা উচিত।'
গত কয়েক দিনে কংগ্রেস নেতারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টার যে দাবি করেছেন, মমতা দৃঢ়তার সঙ্গে তা নাকচ করেছেন। তিনি বলেন, 'কংগ্রেস নেতারা যে আমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেননি, আমি তা স্পষ্ট করতে চাই। তুচ্ছ কয়েকটি চ্যানেল এ-সংক্রান্ত ভুল তথ্য দিচ্ছে ও সঠিক তথ্য আড়ালের চেষ্টা করছে।'
এদিকে তৃণমূলের সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসার পর গতকাল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতারা জরুরি বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের দিলি্লর বাসভবনে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা করেন তাঁরা। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তৃণমূলের ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো অবস্থান জানানো হয়নি। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এক বিবৃতিতে জানান, 'সরকার নিজের সিদ্ধান্তে অটল আছে। এখান থেকে পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী আগামী শুক্রবার তৃণমূল মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।' সূত্র : পিটিআই, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সরকারের আর্থিক কয়েকটি সিদ্ধান্তের জের ধরে গত মঙ্গলবার ইউপিএ জোট থেকে বের হয়ে আসার ঘোষণা দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, ভর্তুকি দেওয়া গ্যাস সিলিন্ডারের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া এবং খুচরা বাজারে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতিদানের বিরোধিতা করে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মমতা অভিযোগ করেন, তাঁর সঙ্গে আলোচনা না করেই সরকার এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউপিএ মন্ত্রিসভায় তৃণমূলের এক মন্ত্রী ও পাঁচ প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। তবে সরকার যদি লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম পাঁচ রুপি না বাড়িয়ে তিন থেকে চার রুপি বাড়ায়, খুচরা ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি উঠিয়ে নেয় এবং ভর্তুকি দেওয়া গ্যাস সিলিন্ডারের সংখ্যা বাড়ায়, তাহলে সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন বলেও জানান মমতা।
কলকাতার সাংবাদিকদের মমতা বলেন, 'আমার অবস্থানে অনড় থাকব আমি। পরিস্থিতি যা-ই দাঁড়াক না কেন, তৃণমূল মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন।' নিজের দাবি সম্পর্কে মমতা বলেন, 'একটি পরিবারকে বছরে অন্তত ভর্তুকি পাওয়া ২৪টি গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া উচিত। সরকার আর কতবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়াবে? খুচরা ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের সিদ্ধান্তও প্রত্যাহার করা উচিত।'
গত কয়েক দিনে কংগ্রেস নেতারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টার যে দাবি করেছেন, মমতা দৃঢ়তার সঙ্গে তা নাকচ করেছেন। তিনি বলেন, 'কংগ্রেস নেতারা যে আমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেননি, আমি তা স্পষ্ট করতে চাই। তুচ্ছ কয়েকটি চ্যানেল এ-সংক্রান্ত ভুল তথ্য দিচ্ছে ও সঠিক তথ্য আড়ালের চেষ্টা করছে।'
এদিকে তৃণমূলের সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসার পর গতকাল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতারা জরুরি বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের দিলি্লর বাসভবনে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা করেন তাঁরা। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তৃণমূলের ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো অবস্থান জানানো হয়নি। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এক বিবৃতিতে জানান, 'সরকার নিজের সিদ্ধান্তে অটল আছে। এখান থেকে পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী আগামী শুক্রবার তৃণমূল মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।' সূত্র : পিটিআই, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments