অবাস্তব পরিকল্পনা-জনগণের অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহারই কাম্য
রাষ্ট্রের তথা জনগণের অর্থে যেকোনো পরিকল্পনাই নেওয়া হোক না কেন, সবার আগে তার উপযোগিতা এবং প্রাপ্ত সুবিধার কথা ভাবতে হয়। ভাবতে হয় সর্বোচ্চ প্রয়োজনের কথাও। কিন্তু বাংলাদেশে প্রায়ই সেটি আমরা উপেক্ষিত হতে দেখি। যেমন_এমন অনেক জায়গায় সেতু বা কালভার্ট বানানো হয়, যার তেমন কোনো উপযোগিতাই নেই।
আবার অনেক জায়গায় একটি সেতুর জন্য হাজার হাজার মানুষকে বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সম্প্রতি চট্টগ্রামে সার্কুলার ট্রেন চালু করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার উপযোগিতা নিয়েও ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। একটি সহযোগী দৈনিকে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের মালামাল পরিবহনের জন্য ব্রিটিশ আমলে নির্মিত রেলপথ ধরেই সার্কুলার ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৯ কোটি টাকা। সাড়ে ১৬ কিলোমিটার এই সার্কুলার রেলপথের ১৪ কিলোমিটারই পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের সংরক্ষিত এলাকা এবং বিমানবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে, যেখানে সর্বসাধারণের চলাচল নিষেধ। তাহলে এই সার্কুলার ট্রেনের যাত্রী কারা হবে? সেই ট্রেন কি লাভজনকভাবে চলতে পারবে?
যানজটের দিক থেকে ঢাকার পরই চট্টগ্রামের অবস্থান। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রামে যানজট দিন দিন বাড়তেই থাকবে। এ অবস্থায় শহরের যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে এমনভাবেই সার্কুলার রেলপথটি নির্মাণ করা প্রয়োজন। বন্দরের মধ্যে পুরনো যে রেলপথটি আছে তা সংস্কার করে মালামাল পরিবহনের জন্য আলাদাভাবে বিশেষ ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু সর্বসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ এলাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক যাত্রীবাহী কোচযুক্ত সার্কুলার ট্রেন পরিচালনা কতটা জরুরি_স্বাভাবিকভাবেই এ প্রশ্ন এসে যায়। রেলেরই অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একে অর্থের অপচয় বলে মন্তব্য করেছেন। উল্লেখ্য, সার্কুলার ও কমিউটার ট্রেন পৃথিবীর সব আধুনিক ও উন্নত শহরের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। কিন্তু সর্বত্রই তা বাস্তবসম্মতভাবে চালু করা হয়। জানা গেছে, উল্লিখিত সার্কুলার রেলের প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। কাজেই চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে সার্কুলার রেলপথের সর্বোচ্চ ব্যবহারের বিষয়টি পুনরায় ভেবে দেখা উচিত। এ ছাড়া ঢাকা-জয়দেবপুর, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী থেকে ড্রাইডক পর্যন্ত সার্কুলার ট্রেন চালুর যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। বিশেষ করে জয়দেবপুর ও নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে ঢাকার সার্কুলার ট্রেন অতি দ্রুত চালু হওয়া প্রয়োজন। এতে ঢাকার ওপর মানুষের অতিরিক্ত চাপ অনেকটাই কমে যাবে। বহু মানুষ জয়দেবপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে অফিস করতে পারবে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা-ময়মনসিংহ এবং ঢাকা-ভৈরব পর্যন্ত দ্রুতগামী সার্কুলার বা কমিউটার ট্রেন চালু করাটাও খুব জরুরি। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা গেলে সড়কের ওপর চাপ অনেক কমে যাবে। আমাদের যেহেতু সাধ্য সীমিত, তাই সীমিত অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার করাটাই হবে যুক্তিযুক্ত। প্রকল্পও নিতে হবে সেভাবেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে। আমরা মনে করি, বিজ্ঞ পরিকল্পনাবিদ ও নীতিনির্ধারকরা উপযুক্ত বিবেচনাই আমাদের উপহার দেবেন।
যানজটের দিক থেকে ঢাকার পরই চট্টগ্রামের অবস্থান। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রামে যানজট দিন দিন বাড়তেই থাকবে। এ অবস্থায় শহরের যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে এমনভাবেই সার্কুলার রেলপথটি নির্মাণ করা প্রয়োজন। বন্দরের মধ্যে পুরনো যে রেলপথটি আছে তা সংস্কার করে মালামাল পরিবহনের জন্য আলাদাভাবে বিশেষ ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু সর্বসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ এলাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক যাত্রীবাহী কোচযুক্ত সার্কুলার ট্রেন পরিচালনা কতটা জরুরি_স্বাভাবিকভাবেই এ প্রশ্ন এসে যায়। রেলেরই অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একে অর্থের অপচয় বলে মন্তব্য করেছেন। উল্লেখ্য, সার্কুলার ও কমিউটার ট্রেন পৃথিবীর সব আধুনিক ও উন্নত শহরের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। কিন্তু সর্বত্রই তা বাস্তবসম্মতভাবে চালু করা হয়। জানা গেছে, উল্লিখিত সার্কুলার রেলের প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। কাজেই চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে সার্কুলার রেলপথের সর্বোচ্চ ব্যবহারের বিষয়টি পুনরায় ভেবে দেখা উচিত। এ ছাড়া ঢাকা-জয়দেবপুর, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী থেকে ড্রাইডক পর্যন্ত সার্কুলার ট্রেন চালুর যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। বিশেষ করে জয়দেবপুর ও নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে ঢাকার সার্কুলার ট্রেন অতি দ্রুত চালু হওয়া প্রয়োজন। এতে ঢাকার ওপর মানুষের অতিরিক্ত চাপ অনেকটাই কমে যাবে। বহু মানুষ জয়দেবপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে অফিস করতে পারবে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা-ময়মনসিংহ এবং ঢাকা-ভৈরব পর্যন্ত দ্রুতগামী সার্কুলার বা কমিউটার ট্রেন চালু করাটাও খুব জরুরি। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা গেলে সড়কের ওপর চাপ অনেক কমে যাবে। আমাদের যেহেতু সাধ্য সীমিত, তাই সীমিত অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার করাটাই হবে যুক্তিযুক্ত। প্রকল্পও নিতে হবে সেভাবেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে। আমরা মনে করি, বিজ্ঞ পরিকল্পনাবিদ ও নীতিনির্ধারকরা উপযুক্ত বিবেচনাই আমাদের উপহার দেবেন।
No comments