উদীচী ঢাকা মহানগর সম্মেলন কাল শুরু- সংস্কৃতি সংবাদ
উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের নবম সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার থেকে। এবারের সম্মেলনের সেগান রাখা হয়েছে জাতীয় ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা চরণ ‘ঊষার দুয়ারে হানি’ আঘাত, আমরা আনিব রাঙা প্রভাত।
’ সকাল ১০টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন দেশের বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী খাদেমুল ইসলাম বসুনিয়া। সম্মেলনের অন্যান্য অনুষ্ঠান সংগঠিত হবে শিল্পকলা একাডেমীর সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে। এতে অতিথি থাকবেন, প্রখ্যাত ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী, কার্টুনিস্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক শিশির ভট্টাচার্য্য, আদিবাসী নেত্রী রেবেকা সরেন, উদীচী কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল আলমসহ দেশের বরেণ্য শিল্পী, বু্িদ্ধজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা।
এ উপলক্ষে বুধবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা মহানগর উদীচীর সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের আহ্বায়ক অমিত রঞ্জন দে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতির সংগ্রামে উদীচী একটি অনিবার্য উচ্চারণ। যে সংগঠনটি আজন্ম লড়ে আসছে অপসংস্কৃতি, কূপম-ূকতা, গোঁড়ামি, ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও সমস্ত সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। লড়ে আসছে একটি প্রগতিশীল সংস্কৃতিবান্ধব সমাজ গঠনের লক্ষ্যে। উদীচী বিশ্বাস করে যে বর্তমানের অন্ধকার, অনিশ্চিত ও বন্ধ্যা সময়ে সংস্কৃতির সকল কর্মীর সম্মিলিত করাঘাতেই আসতে পারে মুক্তির দিশা। আসতে পারে নতুন দিনের আহ্বান। এ সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে নগরের আওতাভুক্ত ১০টি থানা শাখার সম্মেলন। বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠানে গণসঙ্গীত পরিবেশন করবেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত গণসঙ্গীত শিল্পী তুষার দে। এবারের আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ থাকবে উদীচীর নৃত্য বিভাগের পরিবেশনায় ‘রায়বেশে’ নৃত্য। অতীতকালে মূলত যুদ্ধকৌশল হিসেবে এ শৈলীর উদ্ভব হলেও কালের পরিক্রমায় তা নৃত্যশৈলীতে পরিণত হয়। বিলুপ্তপ্রায় এ নৃত্যশৈলীকে পুনরুজ্জীবনের প্রয়াসে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উদীচীর নৃত্যশিল্পীরা। দুই দিনের সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে মহানগর সংসদ ও এর অন্তর্ভুক্ত শাখাসমূহের কর্মী এবং আমন্ত্রিত শিল্পীরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শীশ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক এ এন রাশেদা, নিবাস দে, মজহারুল ইসলাম বাবলা, জামশেদ আনোয়ার তপন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদসহ উদীচী ঢাকা মহানগর ও কেন্দ্রীয় সংসদের নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতির সংগ্রামে উদীচী একটি অনিবার্য উচ্চারণ। এ সংগঠনটি আজন্ম লড়ে আসছে অপসংস্কৃতি, কূপম-ূকতা, গোঁড়ামি, ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও সমস্ত সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। একটি প্রগতিশীল সমাজ ব্যাবস্থা গাড়াই এ সংগঠনের লক্ষ্য। সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কৃষক নেতা, শিল্পী সংগ্রামী সত্যেন সেন তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা থেকেই বেছে নিয়েছিলেন গণসংস্কৃতি আন্দোলনের পথ। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী’। এটি আজ দেশের বৃহত্তম একটি সংগঠন। দেশে ও বিদেশে দুইশ’ পঞ্চাশটিরও বেশি শাখা গণমানুষের সংস্কৃতি বিকাশে মুক্তিযুদ্ধের উদ্ভবপর্ব থেকে শুরু করে ৪৩ বছর ধরে শিল্পকলার সকল মাধ্যমে ভূমিকা রেখে চলেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের নবম সম্মেলন সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
উদ্বোধনী দিনে থাকছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, কাউন্সিল অধিবেশন এবং সন্ধ্যায় সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্যানুষ্ঠান।
এ উপলক্ষে বুধবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা মহানগর উদীচীর সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের আহ্বায়ক অমিত রঞ্জন দে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতির সংগ্রামে উদীচী একটি অনিবার্য উচ্চারণ। যে সংগঠনটি আজন্ম লড়ে আসছে অপসংস্কৃতি, কূপম-ূকতা, গোঁড়ামি, ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও সমস্ত সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। লড়ে আসছে একটি প্রগতিশীল সংস্কৃতিবান্ধব সমাজ গঠনের লক্ষ্যে। উদীচী বিশ্বাস করে যে বর্তমানের অন্ধকার, অনিশ্চিত ও বন্ধ্যা সময়ে সংস্কৃতির সকল কর্মীর সম্মিলিত করাঘাতেই আসতে পারে মুক্তির দিশা। আসতে পারে নতুন দিনের আহ্বান। এ সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে নগরের আওতাভুক্ত ১০টি থানা শাখার সম্মেলন। বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠানে গণসঙ্গীত পরিবেশন করবেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত গণসঙ্গীত শিল্পী তুষার দে। এবারের আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ থাকবে উদীচীর নৃত্য বিভাগের পরিবেশনায় ‘রায়বেশে’ নৃত্য। অতীতকালে মূলত যুদ্ধকৌশল হিসেবে এ শৈলীর উদ্ভব হলেও কালের পরিক্রমায় তা নৃত্যশৈলীতে পরিণত হয়। বিলুপ্তপ্রায় এ নৃত্যশৈলীকে পুনরুজ্জীবনের প্রয়াসে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উদীচীর নৃত্যশিল্পীরা। দুই দিনের সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে মহানগর সংসদ ও এর অন্তর্ভুক্ত শাখাসমূহের কর্মী এবং আমন্ত্রিত শিল্পীরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শীশ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক এ এন রাশেদা, নিবাস দে, মজহারুল ইসলাম বাবলা, জামশেদ আনোয়ার তপন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদসহ উদীচী ঢাকা মহানগর ও কেন্দ্রীয় সংসদের নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতির সংগ্রামে উদীচী একটি অনিবার্য উচ্চারণ। এ সংগঠনটি আজন্ম লড়ে আসছে অপসংস্কৃতি, কূপম-ূকতা, গোঁড়ামি, ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও সমস্ত সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। একটি প্রগতিশীল সমাজ ব্যাবস্থা গাড়াই এ সংগঠনের লক্ষ্য। সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কৃষক নেতা, শিল্পী সংগ্রামী সত্যেন সেন তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা থেকেই বেছে নিয়েছিলেন গণসংস্কৃতি আন্দোলনের পথ। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী’। এটি আজ দেশের বৃহত্তম একটি সংগঠন। দেশে ও বিদেশে দুইশ’ পঞ্চাশটিরও বেশি শাখা গণমানুষের সংস্কৃতি বিকাশে মুক্তিযুদ্ধের উদ্ভবপর্ব থেকে শুরু করে ৪৩ বছর ধরে শিল্পকলার সকল মাধ্যমে ভূমিকা রেখে চলেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের নবম সম্মেলন সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
উদ্বোধনী দিনে থাকছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, কাউন্সিল অধিবেশন এবং সন্ধ্যায় সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্যানুষ্ঠান।
No comments